জিনেট এলেনর উইর্জ সিবিই (জন্ম নাম অল্টওয়েগ; ৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৩০ – ১৮ই জুন ২০২১)[১] ছিলেন একজন ব্রিটিশ ফিগার স্কেটার। তিনি মহিলাদের একক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ১৯৫২ সালের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন, ১৯৪৮ সালের অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী, ১৯৫১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং একজন দ্বি (১৯৫১ এবং ১৯৫২) ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন।
জিনেট ১৯৩০ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২][৩] তিনি লিভারপুলে বড় হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন একজন স্কটিশ[৪] এবং বাবা ছিলেন সুইস।[৫] তিনি একজন প্রতিযোগী টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন, স্কেটিং-এ মনোযোগ দেওয়ার জন্য খেলা ছেড়ে দেওয়ার আগে, ১৯৪৭ সালে তিনি উইম্বলডনে জুনিয়র ফাইনালে পৌঁছেছিলেন।
জিনেটের প্রশিক্ষক ছিলেন জ্যাক গার্শউইলার। জিনেট তাঁর শক্তিশালী কম্পালসারি ফিগারের (ফিগার স্কেটিংয়ের একটি বিভাগ) জন্য পরিচিত ছিলেন।[৫] তিনি ১৯৪৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে সুইজারল্যান্ডের সেন্ট মরিটজে[৬] ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন যথাক্রমে কানাডার বারবারা অ্যান স্কট এবং অস্ট্রিয়ার ইভা পাওলিকে। ১৯৫১ সালে, তিনি জুরিখে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে এবং মিলানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয় মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়েছিলেন।
ভিয়েনায় ১৯৫২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জিনেট সফলভাবে তাঁর মহাদেশীয় শিরোপা রক্ষা করেছিলেন। নরওয়ের অসলোতে ১৯৫২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনলি অ্যালব্রাইট এবং ফ্রান্সের জ্যাকলিন ডু বিফের[৬] সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।[৩] তিনি শীতকালীন অলিম্পিকে ব্যক্তিগত স্বর্ণপদক জয়ী প্রথম ব্রিটিশ মহিলা হয়েছিলেন। ভ্যাঙ্কুভারে ২০১০ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে পর্যন্ত তাঁর কৃতিত্ব অক্ষুণ্ণ ছিল, এরপর অ্যামি উইলিয়ামস স্কেলিটন ক্রীড়া বিভাগে সোনা জিতে তাঁর সমকক্ষ হয়েছিলেন।[৭] জিনেট ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ মহিলা যিনি শীতকালীন অলিম্পিকে দুটি পৃথক পদক (স্বর্ণ এবং ব্রোঞ্জ) জিতেছিলেন।
অলিম্পিক জয়ের পর, জিনেট হাঁটুর আঘাতের কারণে লাভজনক পেশাদার জীবন ছেড়ে দেন। ১৯৫৩ সালে, তাঁকে কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ল্ড ফিগার স্কেটিং হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[৮]
স্কেটিং থেকে অবসর নেওয়ার পর, জিনেট সুইজারল্যান্ডের পেস্তালোজি চিলড্রেনস ভিলেজে কাজ করেছেন।[৯] তিনি সুইস স্কেটার সুসি উইর্জের ভাই মার্ক উইর্জকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের হয় যায়। তাঁদের চার সন্তান ছিল,[৫] তাঁদের মেয়ে ক্রিস্টিনা উইর্জ সুইজারল্যান্ডের ১৯৮৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লিং দলের সদস্য ছিলেন।[১০] ২০২১ সালের জুনে, সুইজারল্যান্ডে জিনেটের মৃত্যুর ঘোষণা করা হয়েছিল।[১১]
আন্তর্জাতিক | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
ঘটনা | ১৯৪৭ | ১৯৪৮ | ১৯৪৯ | ১৯৫০ | ১৯৫১ | ১৯৫২ |
শীতকালীন অলিম্পিক | ৩য় | ১ম | ||||
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ | ৫ম | ৪র্থ | ৩য় | ২য় | ১ম | |
ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | ৪র্থ | ৫ম | ৩য় | ২য় | ১ম | ১ম |
জাতীয় | ||||||
ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নশিপ | ১ম | ১ম | ১ম | ১ম |
টেমপ্লেট:নেভিগেশন অলিম্পিকচ্যাম্পিয়ন্স ফিগার স্কেটিং মহিলা টেমপ্লেট:নেভিগেশন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন্স ফিগার স্কেটিং মহিলা টেমপ্লেট:নেভিগেশন ইউরোপীয়চ্যাম্পিয়ন্স ফিগার স্কেটিং মহিলা টেমপ্লেট:নেভিগেশন ব্রিটিশচ্যাম্পিয়ন্স ফিগার স্কেটিং মহিলা