জিয়া স্মৃতি জাদুঘর চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত একটি জাদুঘর। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর স্মৃতি রক্ষার্থে বর্তমানে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯১৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এই ভবনটি নির্মাণ করে। পূর্বে এটি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম সফরকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের ৪ নং কক্ষে উঠেন। ৩০ মে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। সে বছরের ৩ জুন সার্কিট হাউসকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য সরকারি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং ১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন করা হয়। এখানে জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত বেশ কিছু সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এটি মূলত রাষ্ট্রপতি বীরউত্তম জিয়াউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানেই ইতিহাসের অন্যতম একটি হত্যাকান্ডের কিছু নমুনা আছে। এখানে একটি লাইব্রেরীও আছে।[১] স্মৃতি জাদুঘরটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত।
এটি জিয়াউর রহমান কেন্দ্রিক স্মৃতি জাদুঘর হলেও এখানে তার ব্যক্তিগত বেশ কিছু সামগ্রী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন ও দুর্লভ ফটোগ্রাফ সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিটারটি যা দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জিয়াউর রহমান প্রথমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা জারী করেছিলেন।
জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে মোট ১৭ টি গ্যালারি রয়েছে।
২০০৬ তে নির্মিত ভবনটির পিছনভাগে একটি নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ভবনে একটি সেমিনার হল ও লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়েছে।