অন্যান্য নাম | জিলেবি, জুলবিয়া (মধ্যপ্রাচ্য), জালেবি, জেরি (নেপাল) |
---|---|
প্রকার | মিষ্টান্ন |
উৎপত্তিস্থল | পশ্চিম এশিয়া (জালাবিয়েহ বা লাকমত আল কাদি) ভারত (জিলাপি) |
অঞ্চল বা রাজ্য | দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া |
পরিবেশন | সাধারণত গরম গরম |
প্রধান উপকরণ | ময়দা, জাফরান, ঘি, চিনি, গোলাপ জল |
ভিন্নতা | অমৃতি, শাহী জিলাপি |
১৩০ প্রতিটিতে কিলোক্যালরি | |
অন্যান্য তথ্য | ফাফড়া |
জিলাপি বা জিলিপি এক মজার মিষ্টি খাবার। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে যথা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশে এই মিষ্টান্নটি জনপ্রিয়। বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে জিলাপি পাওয়া যায় না।
জিলাপির সর্বাধিক পুরনো লিখিত বর্ণনা পাওয়া যায় মুহম্মদ বিন হাসান আল-বোগদাদীর লিখিত ১৩শ শতাব্দীর রান্নার বইতে, যদিও মিসরের ইহুদিরা এর আগেই খাবারটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিল। ইরানে এই মিষ্টান্ন জেলেবিয়া নামে পরিচিত, যা সাধারণত রমযান মাসে গরীব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানরা জিলাপি নিয়ে আসে। বাংলাদেশে রমযান মাসে ইফতারিতে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার।[১] মধ্যযুগে পারসি ভাষাভাষি তুর্কিরা খাবারটিকে ভারতবর্ষে নিয়ে আসে। [২] ১৫শ’ শতকের ভারতে জিলাপিকে ”কুন্ডলিকা” বলা হত।[৩] ১৬০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে সংস্কৃত ভাষায় রচিত গ্রন্থ গুন্যগুনবধিনী তে জিলাপি প্রস্তুত করার জন্য যে উপাদানের তালিকা পাওয়া তার সাথে আধুনিক জিলাপি রন্ধন প্রক্রিয়ার সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে। [৪]
এই খাবারের নামসমূহের মধ্যে রয়েছে (তেলুগু: జిలేబి;হিন্দি: जलेबी; কন্নড়: ಜಿಲೇಬಿ; নেপালী जिल्फी/जेरी; উর্দু: جلیبی; মালয়ালম: ജിലേബി; মারাঠি: जिलेबी/जिलबी; সিংহলী: පැණි වළලු; গুরুমুখী: ਜਲੇਬੀ/جلیبی জালেবি; তামিল: ஜிலேபி; পশতু: ځلوبۍ źəlobəi; ফার্সি: زولبیا জুলবিয়া; আরবি: زلابية জালাবিয়াহ্ মিশরে المشبك মোশাব্বাক; সিন্ধি: جلیبی;).
আটা, বেসন এবং ইষ্ট এর আঠালো মিশ্রণকে এককেন্দ্রিক ভাবে ২ বা ৩ প্যাঁচ দিয়ে গরম তেলের উপর ফেলা হয়। বেশ ভাজা হয়ে গেলে আগে থেকে বানানো চিনির রসেতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে বানানো হয় জিলাপি।
জিলাপি সাধারণভাবে গরম গরম পরিবেশিত হয়। জিলাপি তৈরির জন্য প্লাস্টিকের সসের বোতলে জিলাপির ব্যাটার ঢুকিয়ে জিলাপি তৈরি করলে অনেক বেশি সোজা হয়।