জুদি পাহাড় | |
---|---|
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ২,১১৮ মিটার (৬,৯৪৯ ফুট) |
তালিকাভুক্তি | |
ভূগোল | |
অবস্থান | মসুল, ইরাক, তুরস্ক |
মূল পরিসীমা | আরারাত, |
জুদি পাহাড় বা জাবাল আল- জুডি, আরবি: ٱلْجُوْدِيّ , কুর্দি: Cûdî [১] তুর্কি: Cudi আরামাইক সিরীয়: ܩܪܕܘ কারদু নামে পরিচিত। এটা হচ্ছে [২] নূহ এর নবুওয়াতে সময়ের ঘটনা অথবা মহা প্লাবণের পর যে পাহাড়ে নৌকাটি থেমে ছিল এবং তিনি বসতি স্থাপন করেছিলেন সেই যায়গা। আর এটা কুরআন, ১১:৪৪ ) [১] আয়াত দ্বারা ইসলামী বিশ্বাস ও খ্রিস্টান রীতি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
জুদি পাহাড়ের ঘটনা কুরআন এর সূরা হুদ এ নির্দিষ্টভাবে বর্ণিত আছে। সেখানে বলা হয়েছে, জমিনকে আদেশ করা হলো, হে জমিন, তোমার পানি গিলে ফেলো, আর হে আকাশ, ক্ষান্ত হও। আর পানি হ্রাস করা হলো এবং কাজ শেষ হয়ে গেলো, আর জুদি পাহাড়ে নৌকা ভিড়ল এবং ঘোষণা করা হলো, দুরাত্মা কাফির নিফাত যাক। সুরা হুদ : ৪৪।
এমনিভাবে আল -হাসান ইবনে আহমদ আল -হামদানির বইতে বলা হয়েছে (যিনি ৩৬০ হিজরী বা ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেছিলেন), এ নৌকাটি জুদি পাহাড়ে থেমেছিল।
জুদি পাহাড় বর্তমানেও এ নামে পরিচিত। স্থানটি নূহ আ এর মূল আবাসভূমি, ইরাকের মোসেল শহরের উত্তরে ইবন ওমর দ্বীপের অদূরে আর্মেনিয়া সীমান্তে অবস্থিত। বস্তুতঃ এটি একটি পর্বতমালার অংশবিশেষের নাম। এর অপর এক অংশের নাম আরারাত পর্বত। তাওরাতের বর্ণনা মতে, নূহ আ এর নৌকা আরারাত পর্বত এ ভিড়েছিল। তবে উভয় বর্ণনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কেননা জুদি পাহাড় আরারাত পর্বতমালার একটি অংশ। ইরাকের বিভিন্নস্থানে উক্ত নৌকার ভগ্ন টুকরা এখনো অনেকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, যা বরকতের জন্য সংরক্ষিত হয় এবং রোগ ব্যাধিতে ব্যবহার হয়।[৩]
|তারিখ=
(সাহায্য)