![]() |
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
জুনায়েদ জামশেদ | |
---|---|
جنید جمشید | |
![]() | |
জন্ম | [১][২] | ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪
মৃত্যু | ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ | (বয়স ৫২)
মৃত্যুর কারণ | বিমান দূর্ঘটনা[৩] |
সমাধি | দারুল উলুম করাচি[৪] |
পেশা | সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার (১৯৮৭-২০০৪), নাত আবৃত্তিকারক (২০০২-২০১৬), ইসলাম ধর্মপ্রচারক, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর |
কর্মজীবন | ১৯৮৭-২০১৬ |
উচ্চতা | ১.৮৬ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি) |
দাম্পত্য সঙ্গী | নায়হা জুনায়েদ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | ফৌজিয়া কাসুরি সিরিন জাহাঙ্গীর |
পুরস্কার | সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (মরণোত্তর) (২০১৮) তমঘা-ই-ইমতিয়াজ (২০০৭)[৫] |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
বাদ্যযন্ত্র | ভোকাল, গিটার |
লেবেল | পিটিভি স্টুডিও, ইএমআই, পাকিস্তান স্টুডিওস, পেপসি পাকিস্তান ইনক. |
জুনায়েদ জামশেদ খান (উর্দু: جنید جمشید) (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ – ৭ ডিসেম্বর ২০১৬) ছিলেন একজন পাকিস্তানি গায়ক-গীতিকার, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন ডিজাইনার, অভিনেতা এবং ইসলাম ধর্মপ্রচারক। লাহোরের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সঙ্গীত জীবনে মনোনিবেশ করার আগে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর হয়ে বেসামরিক ঠিকাদার এবং প্রকৌশলী হিসাবে কিছু সময়ের জন্য কাজ করেন।[৬][৭][৮] ভাইটাল সাইনসের কণ্ঠশিল্পী হিসাবে জামশেদ দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। তাদের ১৯৮৭ সালের অ্যালবাম, ভাইটাল সাইনস ১-এ হিট হওয়া একক সঙ্গীত "দিল দিল পাকিস্তান" এবং "তুম মিল গায়ে" অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যালবামের বাণিজ্যিক সাফল্য পাকিস্তানের রক সঙ্গীত শিল্পের বিকাশে সহায়তা করেছিল।
১৯৯৪ সালে তিনি তার প্রথম একক অ্যালবাম "জুনায়েদ অব ভাইটাইল সাইনস" প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে, ১৯৯৯ সালে "উস রাহ পার" এবং ২০০২ সালে "দিল কি বাত" প্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে জামশেদ তার প্রকৌশল ও সঙ্গীত কর্মজীবন উভয়ই ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে, তিনি ইসলাম ধর্মীয় কার্যকলাপে নিজেকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি টিভিতে নাশিদ আবৃত্তি ও সিডিতে তা প্রকাশ করেন। জামশেদ "জে" ("জে ডট" হিসাবে পড়ুন) নামের একটি পোশাক বুটিকেরও মালিক ছিলেন, যেটির পাকিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকটি এবং বিদেশেও কিছু আউটলেট রয়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জামশেদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ আনা হয় এবং একইবছরের ডিসেম্বরে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি মানুষকে অপমান ও ভুল করার জন্য ক্ষমা চান।[৯][১০] জুনায়েদ জামশেদ ও তার স্ত্রী ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর হ্যাভেলিয়ানে পিআইএ ফ্লাইট ৬৬১ বিধ্বস্ত হলে মারা যান। বিমানটি চিত্রাল থেকে ইসলামাবাদের দিকে যাচ্ছিল। তিনি তাবলিগ জামাতের মিশনের জন্য চিত্রালে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে ইসলামাবাদে ফিরে আসতেছিল।[১১][১২]
জুনায়েদ জামশেদ করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জামশেদ আকবর খান পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং তার মা নাফিজা আকবর খান ছিলেন লোহারু রাজ্যের নবাবের নাতনী।[১৩] তার মামা সাহেবজাদা জাহাঙ্গির,[১৪] ডাকনাম "চিকো", ছিলেন লন্ডনভিত্তিক একজন ব্যবসায়ী, যিনি ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। তার এক মামাতো ভাই শেরি জাহাঙ্গির পিটিভি'র ক্লাসিক নাটক "জিন্নাহ সে কায়েদ"-এ এম.এ. জিন্নাহ হিসাবে অভিনয়ের জন্য বেশি পরিচিত ছিলেন এবং অন্যজন কাফিল জাহাঙ্গীর, ইংল্যান্ড-ভিত্তিক একজন ঘরোয়া ক্রিকেটার ছিলেন। যিনি হার্টফোর্ডশায়ারের হয়ে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন।[১৫] অন্যান্য আত্মীয়দের মধ্যে রয়েছে রাজনীতিবিদ ফৌজিয়া কাসুরি,[১৬] যিনি তার খালা ছিলেন। এছাড়াও, অভিনেতা অ্যালি খান ছিল তার চাচাতো ভাই।[১৭] সৌদি আরবের ইয়ানবু আল বাহরের একটি আন্তর্জাতিক বোর্ডিং হাই স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর, জামশেদ ফাইটার পাইলট হতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার দুর্বল দৃষ্টিশক্তির কারণে তা করতে পারেন নি। এরপর তিনি লাহোরের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, যেখানে তিনি যন্ত্র প্রকৌশলে মেজর ঘোষণা করার আগে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯০ সালে জামশেদ যন্ত্র প্রকৌশলে বিএসসি ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[১৮]
জুনায়েদ জামশেদ ও তার পরিবার ৭ই ডিসেম্বর ২০১৬ সালে চিত্রাল থেকে ইসলামাবাদে যাওয়ার সময় পিআইএ ফ্লাইট ৬৬১ দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চিত্রালে তাবলিগ জামাতের একটি মিশনে ছিলেন ও বিমানে করে ইসলামাবাদে ফিরছিলেন।[১১][১৯] তিনি সংসদ মসজিদে শুক্রবারের খুতবা দেওয়ার পথে যাচ্ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গিয়েছেন। ২০১৮ সালে, জামশেদ দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (মরণোত্তর) এর জন্য মনোনীত হন।[২০]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; TRT death
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিJunaid Jamshed is my nephew..I was the first one to listen to the cassette of Dil Dil Pakistan, right after its recording.Now, Naya Pakistan