ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষাংশের জুলু যোদ্ধারা (পিছনে কিছু ইউরোপিয়ান যোদ্ধাও আছে) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
---|---|
কোয়া-জুলু নাটাল প্রদেশ: ৭৬ লক্ষ[১] গটেং প্রদেশ: ১৯ লক্ষ[১] | |
ভাষা | |
জুলু, এছাড়াও রয়েছে ইংরেজি বা আফ্রিকান বা পর্তুগীজ অথবা ঝোসার মত অন্যান্য আফ্রিকান উপজাতীয় ভাষা। | |
ধর্ম | |
খৃস্টান, মূর্তিপূজক | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
বান্টু মাটাবেলি |
জুলু প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ লোকের একটি জনগোষ্ঠীর নাম যাদের বসবাস আফ্রিকা মহাদেশে। তাদের মূল বসতি হল দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়া-জুলু নাটাল প্রদেশে (Kwa-Zulu Natal)। তারা জুলু ভাষায় কথা বলে যা বান্টু ভাষা পরিবার থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। তবে জুলু ভাষার সবচেয়ে সমসাময়িক পূর্বপুরুষ হল উনগুনি (Nguni) নামক একটি জনগোষ্ঠীর ভাষা। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে জুলুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তখন কৃষ্ণকায় জুলুদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেখা হত। কিন্তু বর্তমানে তারা সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত এবং তাদের অধিকার বর্তমানে সংরক্ষিত রয়েছে।
জুলুদের উৎপত্তি উত্তর কোয়া-জুলু নাটাল প্রদেশের একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থেকে। জুলু জাতির জনক হিসেবে অভিহিত করা হয় জুলু কান্টোমভেলাকে যিনি ১৭০৯ সালে জুলু জাতির গোড়াপত্তন করেন। তখন এই প্রদেশটিতে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উনগুনি জ্ঞাতিগোষ্ঠীর বসতি ছিল যাদের অপর নাম হল ইমজি।
শাকা জুলু ছিলেন জুলুদের প্রধান নেতা সেনযানগাকোনার (Senzangakona) অবৈধ সন্তান। তিনি ১৭৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সেনযানগাকোনা সে এবং তার মাকে নির্বাসনে পাঠায় এবং তারা উদ্বাস্তু হিসেবে থেথোয়াদের (Mthethwa) আশ্রয় লাভ করে। শাকা থেথোয়া প্রধান ডিংগিশোইয়োর (Dingiswayo) অধীনে যুদ্ধ করেন। সেনযানগাকোনার মৃত্যুর পর ডিংগিশোইয়ো জুলুদের প্রধান হবার জন্য শাকাকে সাহায্য করে এবং শাকা প্রধান হন। তারা দুজনে সর্বদাই সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়। কিন্তু এক যুদ্ধে রাজা জোইদে (Zwide) কর্তৃক ডিংগিশোইয়ো নিহত হয়। এরপর থেথোয়ারা শাকাকে রাজা মেনে নেয় এবং তারা সবাই জুলু নামধারণ করে। শাকাকে হত্যা করে তার পর সিংহাসনে আরোহণ করে তারই সৎ ভাই ডিনগান। ডিনগান শাকার অপর সৎ ভাই উমলাঙ্গানার সহযোগিতা নিয়েছিল।
ডিনগান এবং রেটিফের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে ডিনগান টুগেলা নদীর দক্ষিণ থেকে জিমভুবু নদী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা ভুরত্রেকারদের অধীনত্বে ছেড়ে দেয়। ডিনগানের সেনাবাহিনী কাছাকাছি স্থানে বসবাসকারী প্রায় ৫০০ ভুরত্রেকার নারী পুরুষের একটি দলের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের হত্যা করে। এই ঘটনার স্থানটিকে বর্তমানে উইনেন (Weenen: ডাচ ভাষায় যার অর্থ: কাঁদা) নামে অভিহিত করা হয়। এরপর জীবিত ভুরত্রেকাররা আন্দ্রিস প্রেটোরিয়াসকে নতুন নেতা নির্বাচিত করে। ১৮৩৮ সালের ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে ৪৭০ জন ভুরত্রেকারদের একটি জনপদে হামলা চালায় যা ব্লাড রিভার যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। এই যুদ্ধে প্রেটোরিয়াসের নোতৃত্বে ভুরত্রেকারদের কাছে ডিনগানের বাহিনী সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এই যুদ্ধের পর ডিনগান তার রাজকীয় সকল সম্পত্তি পুড়িয়ে দিয়ে উত্তরের দিকে পালিয়ে যায়। এই সুযোগে ডিনগানের সৎ ভাই পান্ডা ১৭,০০০ সৈন্যের একটি দল নিয়ে স্বদেশ ত্যাগ করে এবং প্রেটোরিয়াস ও ভুরত্রকার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ডিনগানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ডিনগান আধৃনিক সোয়াজিল্যান্ড সীমান্তের নিকটে নিহত হয়। এরপর পান্ডা জুলু জাতির ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।
১৮৪৩ সালে পান্ডা রাজ্যের মধ্যে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত একটি শ্রেণীগোষ্ঠীকে রাজ্য হতে অপসারণের আদেশ দেয়। এতে প্রচুর মানুষ হতাহতের শিকার হয় এবং অনেক শরণার্থী পার্শবর্তী রাজ্যসমূহে আশ্রয় নেয়। ১৮৫৬ সালে সোয়াজিল্যান্ড পান্ডার দখলে আসে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগেই পান্ডার দুই পুত্র কেটেওয়্যায়ো এবং উমবেলাজি সিংহাসন দখলের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। ১৮৫৬ সালে চূড়ান্ত রকমের যুদ্ধে উমবেলাজি নিহত হয় এবং কেটেওয়্যায়ো অবৈধভাবে পিতার শাসনভার পরিচালনা করতে থাকে। ১৮৭২ সালে পান্ডার মৃত্যুর পর কেটেওয়্যায়ো শাসনক্ষমতা দখল করে।
১৮৭৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তারিখে ইংরেজ প্রতিনিধিদল কেটেওয়্যায়োর প্রতিনিধিত্বকারী ১৪ জন গোষ্ঠী প্রধানের নিকট একটি চরমপত্র পেশ করে। চরমপত্রের শর্তাবলি ছিল অযৌক্তিক এবং কেটেওয়্যায়োর কাছে সেগুলোকে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়। এ থেকেই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইংরেজরা ডিসেম্বরের শেষদিকে থুকেলা নদী পার হয়ে কেটেওয়্যায়োর সাম্রাজ্যের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১৮৭৯ সালের প্রথম দিকে যুদ্ধের সূচনা হয়। প্রথম পর্যায়ে ২২ জানুয়ারি তারিখে সংঘটিত ইসান্ডলোয়ানার যুদ্ধে (Battle of Isandlwana) জুলুরা ইংরেজদের পরাজিত করে। কিন্তু ৪ জুলাই তারিখে সংঘটিত উলুন্ডির যুদ্ধে জুলুদের পরাজয়ের মাধ্যমে অ্যাংলো-জুলু যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। জুলুদের পরাজয়ের এক মাস পর কেটেওয়্যায়োকে আটক করা হয় এবং ইংরেজরা তাকে কেপ টাউনে নির্বাসিত করে। পরে তিনি আবার জুলুল্যান্ডে ফিরে যাবার অনুমতি পান। পরবর্তীতে কেটেওয়্যায়ো উলুন্ডিতে ১৩ জন পাতিরাজার একজন উজিমভেবু কর্তৃক আক্রান্ত হন। এই যুদ্ধ বো জাতির ভাড়াটে যোদ্ধারা উজিমভেবুর সাথে যোগ দেয়। এতে কেটেওয়্যায়ো আহত অবস্থায় পলায়ন করে। ১৮৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেটেওয়্যায়ো মৃত্যুবরণ করে। তার পুত্র ডিনিজুলু পরবর্তী রাজা হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়; তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।
ডিনিজুলু একটি বিশাল অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেন। এই ঘটনায় ব্রিটিশরা সতর্ক হয়ে য্য় এবং একে সহজচে মেনে নিতে পারেনি। ১৮৮৭ সালে তারা জুলুল্যান্ড দখল করে নিয়েছিলো। এসব যুদ্ধের সাথে ডিনিজুলু সম্পৃক্ত ছিল এবং এর ফলে তাকে আটক করা হয় এবং বিশ্বাসঘাতকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং গণ সহিংসতার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। ১৮৮৯ সালে ডিনিজুলুকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল।
পৃথকীকরণ নীতির (Apartheid) আওতায় জুলু জনগোষ্ঠীর জন্য একটি নিজস্ব আবাসভূমি তৈরি করা হয়েছিল যার নাম দেয়া হয় কোয়া-জুলু। ১৯৭০ সালে বান্টু মাতৃভূমি নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে বলা হয় যে, জুলু জনগোষ্ঠীর সবাইকে দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকত্ব ত্যাগ করে কোয়া জুলুর নাগরিক হতে হবে। কোয়া-জুলুর বাইরে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ জুলুকে জোরপূর্বক কোয়া জুলুর ভিতরে আনা হয়। ১৯৯৩ সালে কোয়া জুলুতে ৫২ লক্ষ জুলু বসবাস করতো এবং এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য স্থানে বসবাসকারী জুলুদের সংখ্যা ছিল আনুমানিক ২০ লক্ষ। কোয়-জুলু হল গুটিকতক বিচ্ছিন্ন ভূমিখন্ডের সমষ্টি যার বর্তমান নাম কোয়া-জুলু নাটাল।
১৯৭৫ সালে বুথেলেজি ইনকাথা ইয়া কোয়া-জুলু নামে একটি দল গঠন করে যা ছিল আনকাথা ফ্রিডম পার্টির পূর্বসূরি। এটি মূলত রাজ্য পৃথকীকরণ প্রতিরোধের একটি আন্দোলন হিসেবে জন্মলাভ করেছিল; তবে অন্য দল ANC এর তুলনায় এই দলের চিন্তাধারা ছিল বেশ রক্ষণশীল। যেমন ইনকাথা সশস্ত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধে ছিল। প্রথমদিকে ইনকাথার সাথে ANC এর সুসম্পর্ক থাকলেও ১৯৮০ সালের পর থেকে এই সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। কারণ ইনকাথার চিন্তাধারা অনেকটা পৃথকীকরণের হোতা ব্রিটিশ সরকারের মর্জি অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছিল। ১৯৮৫ সাল থেকে বিরুদ্ধবাদী আন্দোলন সশস্ত্র রুপ নিতে শুরু করে এবং এর ফলে রক্তাক্ত অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। বিরোধীরা তখন থেকেই এ কে ৪৭ রাইফেল ব্যবহার শুরু করে। প্রথমদিকে ইনকাথা এবং ANC এর মধ্যে সহিংসতা শুরু হয় এবং উভয়পক্ষই ব্যাপক হতাহতের সৃষ্টি করে। পুরো আশির দশক জুড়ে এই সহিংসতা অব্যাহত থাকে এবং নব্বইয়ের দশকে তা আরও বেগবান হয়। পরিশেষে ১৯৯৪ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আধুনিক জুলু জনগণ শহর এবং গ্রাম উভয় অঞ্চলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে। যদিও কোয়-জুলু নাটালই এখনও তাদের মাতৃভূমি হিসেবে স্বীকৃত, তথাপি জুলুদের অনেকেই এখন পার্শ্ববর্তী গটেং প্রদেশের তুলনামূলক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখে সেখানে বসতি গড়েছে। অবশ্য এই প্রদেশেরও সবচেয়ে বেশি কথিত ভাষা হচ্ছে জুলু ভাষা।
জুলুরা দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতেও উল্লেকযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রাক্তন এবং বর্তমান উভয় উপ রাষ্ট্রপতিই ছিলেন জুলু জাতির। তারা হলেন যথাক্রমে জ্যাকব জুমা এবং ফুমজিল উমলাম্বো-উংগুকা (Phumzile Mlambo-Ngcuka)।
জুলু এবং তাদের সাথে উনগুনি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত সঙ্গীত বিশেষ প্রশংসার দাবীদার। বিশেষ করে আফ্রিকার সকল মানুষেরই একটি সাধারণ বিশ্বাস হল গানের মাধ্যমে আবেগ ও অনুভূতির যে বহিঃপ্রকাশ এবং আদান প্রদান ঘটানো সম্ভব তা কথোপকথন বা এরকম অন্য কিছুর দ্বারা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। জুলু সঙ্গীতে সুর, তাল এবং লয়ের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে, বিশেষত লয়ের মূর্ছনা। জুলুরা লয়কে সাধারণত ইসিগুবুডু নামে অভিহিত করে থাকে যার অর্থ করা যেতে পারে; পশুর উন্নত শিং, নিগূঢ় অনুভূতি ইত্যাদি। মাসকান্ডা এবং উমবাকাঞ্জা অন্য দুটি প্রভাবশালী জুলু সঙ্গীতধারা। কয়েকজন সুপরিচিত ও বিখ্যাত মাসকান্ডি সঙ্গীতশিল্পীর মধ্যে রয়েছে, ফুজেখেমেসি এবং ফাজোমনিয়ামা।
জুলু সঙ্গীত আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বেশ পরিচিতির দাবীদার; কারণ অনেক সময়ই শেতাঙ্গ গায়কেরা তাদের গানের সাথে জুলু গায়কদের সহকারী গায়ক হিসেবে নিয়ে থাকেন। মাঝে মাঝে জুলু সঙ্গীত নির্মাতাদের অনেক গানই পরদেশীরা গেয়ে থাকেন। এর একটি উদাহরণ হল পল সাইমন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জনি ক্লেগ। জনি ক্লেগের এ ধরনের একটি গান হল Wimoweh। ক্লেগের এ ধরনের আরো কিছু গান সুর বিখ্যাত ব্যান্ড দল বাউ ওয়াউ ওয়াউ এর একটি অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল। বাউ ওয়াউ ওয়াউ এবং জনি ক্লেগের গান ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই জুলু সঙ্গীত অবহেলার শিকার হয়ে এসেছে এবং অনেকটাই সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
তবে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে সফল একমাত্র জুলু গায়ক দল লেডিস্মিথ ব্ল্যাক মাম্বাজো জুলু সঙ্গীত এবং প্রথাকে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয় করতে সমর্থ হয়। পল সাইমনের গ্রেসল্যান্ড নামক অ্যালবামে কাজ করে সফলতা পাওয়ার পর তারা অনেক তারকা নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে এবং দুই দুই বার গ্র্যামি পুরস্কার লাভ করে।
জুলু জনগোষ্ঠীর ভাষা হল জুলু বা ইসিজুলু যা বান্টু ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে জুলু ভাষা হল বান্টু ভাষার উনগুনি উপগোষ্ঠীর ভাষাশ্রেণীর অন্তর্গত। জুলু দক্ষিণ আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি কথিত ভাষা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় অর্ধেক মানুষই এই ভাষা বুঝতে পারে। অনেক জুল জনগণ আবার ইংরেজি, পর্তুগিজ, শেষত্থো ইত্যাদী ভাষায় কথা বলে যার সবগুলোই দক্ষিণ আফ্রকিআর দাপ্তরিক ভাষার অন্তগর্ঙত। দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট ১১টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে।
মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়েতে বসবাসকারী জুলুরা খৃস্টান (রোমান ক্যাথলিক অথবা প্রোটেস্ট্যান্ট)। তবে জিম্বাবুয়েতে অনেক জুলুই আধা খৃস্টান এবং আধা প্রকৃতি পূজারী। অন্যান্য সব জুলুই প্রকৃতি পূজারী।[২]
দক্ষিণ আফ্রিকার উপজাতি |
সম্পাদনা |
আফ্রিকানার | অ্যাংলো-আফ্রিকান | এশিয় | বুশম্যান | কেপ মালয় | কালার্ড | গ্রিকুয়া | ডেবেলে | সোথো | সোঙ্গা | সোয়াজি | সোয়ানা | ভেন্ডা | ঝোসা | জুলু |