ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম | ২০ আগস্ট ১৯৮০ | ||
জন্ম স্থান | লিয়াওনিগ, চীন | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | জুয়ানজো এভারগ্রান্ডে | ||
জার্সি নম্বর | ১০ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০১-২০০৪ | সেনজেন জিয়ানলিবাও | ||
২০০৫-২০০৭ | সেনডং লুনেগ | ||
২০০৭ | → চার্লটন এথলেটিক (loan) | ||
২০০৭-২০০৯ | চার্লটন এথলেটিক | ||
২০০৯-২০১০ | সেল্টিক | ||
২০১০- | জুয়ানজো এভারগ্রান্ডে | ||
জাতীয় দল | |||
২০০২– | চীন | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
জেং জি (জন্ম ২০ আগস্ট ১৯৮০) একজন চাইনিজ পেশাদার ফুটবলার, যিনি বর্তমানে চাইনিজ সুপার লিগে 'জুয়ানজো এভারগ্রান্ডে'র হয়ে খেলেন। তিনি বর্তমানে চীনের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
জেং জি একজন ডিফেন্ডার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিল। পরে সেন্টার মিডফিল্ডার হিসেবে 'সেনজেন জিয়ানলিবাও' দলে যোগ দেন এবং ২০০৪ সালের লিগ শিরোপা জেতেন। জেং জি চীনের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
জেং জি ১৯৯০ সালে 'লিয়াওনিগ একাডেমী'তে যোগ দেয়ার মাধ্যমে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তিতে ১৯৯৮ সালে 'লিয়াওনিগ' যুবদলের হয়ে ডিফেন্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। আইনি ঝামেলায় পড়ার ফলে চীনের আদালত লিয়াওনিগ ক্লাবের সকল সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেয়। এরফলে জেং জি একটি বছর পেশাদার ফুটবলের বাইরে ছিলেন, পরে লিগের অন্যতম সেরা ক্লাব 'সেনজেন জিয়ানলিবাও 'এ যোগ দেয়।এই ক্লাবে থাকাকালে চীন অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। ২০০৪ সালে 'সেনজেন জিয়ানলিবাও' ক্লাবের হয়ে প্রথমবারের মত মিডফিল্ডার হিসেবে খেলার সুযোগ পায় এবং দলকে লিগ শিরোপা জেতান।
জেং জি ২৯ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে প্রিমিয়ার লিগের দল চার্লটন এথলেটিকে লোনে যোগ দেয় যোগ দেয়। ১৮ মার্চ ২০০৭ সালে ক্লাবের হয়ে ১ম গোল দেন, সে ম্যাচে চার্লটন এথলেটিক নিউক্যাসেলকে ২-০ গোলে হারায়।
লোনের মেয়াদ শেষ হবার পর চাইনিজ লিগে যোগ দেন। তবে ২০০৭ সালের আগস্টে চার্লটন এথলেটিক তাকে ২ বছরের চুক্তিতে ২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে কিনে নেয়। ২০০৮ সালের ব্রিটিশ ফুটবল ম্যাগাজিন 'ফর ফর টু' এর জরিপে ফুটবল লিগের সেরা ৫ম খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা করে নেন।
২০০৮ সালের গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ব্রমউইচ তাকে দলে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে ২ বছরের চুক্তিতে স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগের দল সেল্টিকে ২ বছরের চুক্তিতে যোগ দেয়। তবে নাম নিবন্ধনের ঝামেলার কারণে সেল্টিকের হয়ে ইউরোপা লিগ খেলতে পারেনি।
৪ অক্টোবর ২০০৯ সালে রেইঞ্জারসের বিপক্ষে অভিষেক হয়। ৮ মে ২০১০ সালে দলের হয়ে ১ম গোল দেন। বাজে ফর্মের কারণে ২০০৯-১০ মৌসুমে সেল্টিক তাকে ছেড়ে দেয়।
২৮ জুন ২০১০ সালে জেং জি চাইনিজ লিগে ফিরে আসে। জুয়ানজো এভারগ্রান্ডে ক্লাবে ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেন। ১৭ মে ২০১০ সালে ক্লাবের হয়ে অভিষেক হয়। ২১ জুলাই ক্লাবের হয়ে ১ম গোল দেয়। পরের মৌসুমে জেন জি ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ২০১২ সালে দলকে লিগ শিরোপা এবং চাইনিজ এফ এ কাপ জেতান। নভেম্বর ২০১৩ সালে 'এএফসি চ্যাম্পিয়েন্স লিগ' জয় করেন। যা কোনো চাইনিজ দলের ১ম 'এএফসি চ্যাম্পিয়েন্স লিগ' জয়। ২৬ নভেম্বর ২০১৩ সালে ক্লাব এবং দেশের হয়ে চমৎকার খেলার কারণে জেং জি 'এশিয়ান ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার' জিতেন।
জেং জি ৩য় ডিভিশনের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে চীন অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলের রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেন। ২০০৮ সালের অলিম্পিকে চীন অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তিতে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন।