জেইক ইলেনহল | |
---|---|
জন্ম | জ্যাকব বেঞ্জামিন ইলেনহল ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮০ লস এঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৯১–বর্তমান |
পিতা-মাতা | স্টিফেন ইলেনহল নাওমি ফোনার |
পরিবার | ম্যাগি ইলেনহল (বড় বোন) পিটার সার্সগার্ড (ভগ্নি-পতি) |
জ্যাকব বেঞ্জামিন "জেক" ইলেনহল (ইংরেজি: Jacob Benjamin "Jake" Gyllenhaal; জন্ম: ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮০) একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি ইলেনহল পরিবারের সদস্য এবং পরিচালক স্টিফেন ইলেনহল এবং চিত্রনাট্যকার নাওমি ফোনারের ছেলে। জিলেনহল তার শৈশবকাল থেকেই শিশু-অভিনেতা হিসেবে সিটি স্লিকার্স (১৯৯১), ডেঞ্জারাস ওম্যান (১৯৯৩) এবং হোমগ্রোন (১৯৯৮) নামক চলচ্চিত্রগুলোতে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে নাসা-প্রকৌশলী এবং মার্কিন সাহিত্যিক হোমার হিকামের জীবনীর উপর ভিত্তি করে তৈরী চলচ্চিত্র অক্টোবর স্কাইয়ে অভিনয়ের পর থেকেই জিলেনহল তার অভিনয় জগতে সাফল্য অর্জন করতে শুরু করেন এবং ডনি ডার্কো (২০০১) চলচ্চিত্রে মানসিকভাবে অস্থির একটি কিশোরের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বেস্ট মেল লিড-এর জন্য মনোনয়ন পান। ইলেনহল পরবর্তীকালে আরো অন্যান্য চলচ্চিত্র যথাক্রমে দ্য গুড গার্ল (২০০২), দ্য ডে আফটার টুমরো (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০০৫ সালে ইলেনহল মার্কিন লেখক এবং সাবেক ইউএস মেরিন অ্যানথনি সোফোর্ডের স্মৃতিকথা-ভিত্তিক গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র জারহেড-এ অভিনয় করেন। এছাড়াও অভিনেত্রী গ্বিনিথ প্যালট্রোর সাথে প্রুফ এবং পরিচালক অ্যাং লির ব্রোকব্যাক মাউন্টেনেও জ্যাক টুইস্ট চরিত্রে অভিনয় করেন। ব্রোকব্যাক মাউন্টেনে সহ-অভিনেতা হিসেবে ভালো অভিনয়ের জন্য তিনি বাফ্টা অ্যাওয়ার্ড এবং সহ-অভিনেতা হিসেবে অভিনয় ভূমিকার জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন, সেরা সহ-অভিনেতা হিসেবে স্যাটেলাইট পুরস্কার ও একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
ইলেনহল পরবর্তীতে জোডিয়াক (২০০৭), ব্রাদার্স (২০০৯), প্রিন্স অব পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস্ অব টাইম (২০১০), লাভ অ্যান্ড আদার ড্রাগস্ (২০১০), এন্ড অব ওয়াচ (২০১২), প্রিজনার্স (২০১৩), নাইটক্রলার (২০১৪) এবং সাউথপউ (২০১৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে স্বীকৃতি অর্জন করতে শুরু করেন।
ইলেনহল ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্টিফেন ইলেনহল হলেন একজন পরিচালক এবং তার মা নাওমি ফোনার হলেন একজন প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।[১] তার বড় বোন অভিনেত্রী ম্যাগি ইলেনহল তার সাথে ডনি ডার্কো চলচ্চিত্রে একসাথে অভিনয় করেছিলেন। ইলেনহলের বাবা হলেন সুইডিশ এবং ইংরেজ বংশোদ্ভুত[২] এবং জেইকের মার জন্ম নিউ ইয়র্ক শহরে এক ইহুদি পরিবারে এবং তারা ছিলেন রাশিয়ান এবং পলিশ (পোল্যান্ডের অধিবাসী) বংশোদ্ভুত। জেক এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, তিনি নিজেকে ইহুদি হিসেবেই বিবেচনা করেন।[৩][৪] ইলেনহল তার ১৩তম জন্মদিনে বার মিট্জভাহ্ (শৈশব থেকে যৌবনকালে পদার্পণের সময় অনুষ্ঠিত এক ধরনের ইহুদীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান) সম্পন্ন করেন।[৫][৬] ইলেনহলের মা-বাবা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, কৈশোরে গ্রীষ্মের অবসরকালীন সময়ে ইলেনহল লাইফগার্ড এবং রেস্তোরাঁতেও কাজ করেছিলেন।[৭]
২০০৫ সালে ইলেনহল প্রুফ, জারহেড, ব্রোকব্যাক মাউন্টেনের মত সমালোচকদয় কর্তৃক প্রশংসিত চলচ্চিত্রসমূহে অভিনয় করেছিলেন। প্রুফ চলচ্চিত্রে তার সাথে গ্বিনিথ প্যালট্রো এবং অ্যান্থনি হপকিন্স অভিনয় করেছেন। সে চলচ্চিত্রটিতে জিলেনহল স্নাতক ছাত্র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। জারহেড চলচ্চিত্রটিতে ইলেনহল একজন হিংসাত্মক ইউএস মেরিনের চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যেখানে উপসাগরীয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছিল। ইলেনহল ব্যাটম্যান বিগিন্স[৮] চলচ্চিত্রটিতে ব্যাটম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য অডিশন দিয়েছিলেন এবং ব্যাটমান চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ প্রায় পেয়েই এসেছিলেন[৯] কিন্তু চরিত্রটির জন্য সর্বশেষে ক্রিশ্চিয়ান বেলকেই নির্বাচিত করা হয়।
ব্রোকব্যাক মাউন্টেন চলচ্চিত্রটিতে ইলেনহল[১০] এবং হিথ লেজার সমকামি রাখালের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মিডিয়া জগতে এই চলচ্চিত্রটিকে প্রায়ই "দ্য গেই কাউবয় মুভি" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[১১] চলচ্চিত্রটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি চারটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, চারটি বাফ্টা পুরস্কার এবং তিনটি একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। ইলেনহল চলচ্চিত্রটিতে সেরা সহকারী অভিনেতা ভূমিকায় ভালো অভিনয়ের জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন পান কিন্তু শেষে সিরিয়ানা চলচ্চিত্রের জন্য জর্জ ক্লুনি একাডেমি পুরস্কারটি লাভ করেন। তবে ইলেনহল পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্য বাফটা পুরস্কার পান এবং সহকারী অভিনয় চরিত্রের জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন পান। ব্রোকব্যাক মাউন্টেন চলচ্চিত্রটিতে ২০০৬ সালে "সেরা চুম্বনের" জন্য ইলেনহল এবং লেজার এমটিভি চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
ইলেনহল ব্রোকব্যাক মাউন্টেন চলচ্চিত্রে পরিচালক অ্যাং লির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে মিশ্র অনুভূতি ব্যাক্ত করেছেন কিন্তু লি'র পরিচালনার সমালোচনার চেয়ে ইলেনহলকে লি'র প্রশংসাই বেশি করতে শোনা গিয়েছিল। ইলেনহলকে যখন ব্রোকব্যাক মাউন্টেন ছবিতে হিথ লেজারকে চুম্বন করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তখন প্রত্যুত্তরে ইলেনহল বলেন, "একজন অভিনেতা হিসেবে আমি মনে করি যে, আমাদের সেই মূহুর্তগুলোকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া উচিত যা নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি বোধ করি"।[১২] ব্রোকব্যাক মাউন্টেন চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর জিলেনহলের যৌন অভিমুখিতা নিয়ে গুজব রটে। যখন ইলেনহলকে এই গুজবের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়, তখন উত্তরে ইলেনহল বলেন, "আসলে এটি খুবই আত্মতৃপ্তিকর যখন গুজব শোনা যায় যে আমি উভকামি। এটার মানে এই দাঁড়ায় যে, আমি আরও নানা ধরনের ভূমিকায় অভিনয় করতে সক্ষম। মানুষ আমায় যা কিছু বলুক না কেন তাতে আমি কিছু মনে করি না। আমি যৌনগতভাবে কখনও পুরুষ মানুষদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি নি তবে আমি করি না আমি শঙ্কিত হতাম বলে, যদি সত্যিই কোন পুরুষের প্রতি কখনও আমি আকর্ষিত হতাম"।
ইলেনহল ২০০৫ সালে অ্যানিমেটেড ছবি দ্য ম্যান হু ওয়াকড্ বিটুইন দ্য টাওয়ারস্ ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।[১৩] ২০০৭ সালে জিলেনহল ডেভিড ফিঞ্চারের রহস্য-রোমাঞ্চকর ধর্মী চলচ্চিত্র জোডিয়াক-এ অভিনয় করেছিলেন যেটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। উক্ত চলচ্চিত্রে ইলেনহল রবার্ট গ্রেইস্মিথের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিনি ছিলেন সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল সংবাদপত্রের কার্টুনিস্ট এবং তিনি ধারাবাহিক খুনি জোডিয়াকের উপর দুইটি গ্রন্থ লিখেছিলেন।[১৪] রবার্ট গ্রেইস্মিথের চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করার পূর্বে ইলেনহল গ্রেইস্মিথের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং সাথে তার ভিডিও ধারণ করেছিলেন যাতে করে গ্রেইস্মিথের স্বভাব এবং তার আচরণ ইলেনহল নিখুঁতভাবে অভিনয়ের জন্য আয়ত্ত করতে পারেন। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র রেন্ডিশন-এ ইলেনহল মেরিল স্ট্রিপ, অ্যালান আর্কিন, রিজ উইদারস্পুনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। গ্যাভিন হুড পরিচালিত উক্ত চলচ্চিত্রটি রাজনৈতিক-রোমাঞ্চকর ধর্মী ছবি যেটি যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত "এক্সট্রাঅর্ডিনারি রেন্ডিশন" নীতির (সরকার কর্তৃক অপহরণ নীতি) উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল।[১৫] ২০০৯ সালে ইলেনহল পরিচালক জিম শেরিডানের ব্রাদার্স্ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যেটি ছিল ২০০৪ সালে নির্মিত একটি ড্যানিশ চলচ্চিত্রের পুনঃনির্মাণ (রি-মেইক)।[১৬] ২০০৮ সালে জ্যারি ব্রুখেইমার কর্তৃক নির্মিত ছবি প্রিন্স অব পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস্ অব দ্য টাইম চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। এছাড়াও নভেম্বর ২৪, ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার চলচ্চিত্র লাভ অ্যান্ড আদার ড্রাগস্ ছবিতে অভিনয় করেন এবং উক্ত ছবিতে অভিনয়ের জন্য ইলেনহল গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন অর্জন করেছিলেন।
২০১২ সালে ইলেনহল পরিচালক ডেভিড আয়ের কর্তৃক নির্মিত চলচ্চিত্র এন্ড অফ ওয়াচ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেখানে তার সহ-অভিনেতা ছিল মাইকেল পেনা এবং ছবিটি ছিল লস এঞ্জেলেসের রাস্তায় কর্মরত দুইজন পুলিশের কাহিনী নিয়ে।[১৭] ছবিটি সেপ্টেম্বর ২১, ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল এবং রজার ইবার্টের মত চলচ্চিত্র সমালোচক ছবিটির প্রশংসা করে বলেছিলেন, "শিল্পাদিকৌশল এবং চমকপ্রদ অ্যাকশানের সমন্বয়ে সাময়িক বছরগুলোর মধ্যে এন্ড অব ওয়াচ অন্যতম সেরা একটি পুলিশি-ঘরানার চলচ্চিত্র"।[১৮] স্যালন.কম ওয়েবসাইটের অ্যান্ড্রিউ ও'হেইর বলেন, "পরিচালক জেইমস্ গ্রেইয়ের ছবি উই ওন দ্য নাইট এবং পরিচালক অ্যানটোইনি ফুকুয়ার ট্রেনিং ডে-এর পরেই এন্ড অব ওয়াচ সেরা চলচ্চিত্র"।[১৯] এন্ড অব দ্য ওয়াচ ছবিতে পুলিশি চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য এবং তাদের ভাষা আয়ত্ত করার অভিপ্রায়ে জিলেনহল এবং তার সহ-অভিনেতা মাইকেল পেনা-কে সত্যিকারের কৌশলগত পুলিশি প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল।
২০১৪ সালে দ্বৈত-ভূমিকায় ইলেনহল যৌনউত্তেজক-রোমাঞ্চকর ধর্মী ছবি এনিমি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং একই বছরে নাইটক্রলার নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় ও প্রযোজনা করেছিলেন যার জন্য ইলেনহল গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ইলেনহল অ্যানটোইনি ফুকুয়া কর্তৃক নির্মিত ক্রীড়া-নাট্য ধর্মী ছবি সাউথপউ চলচ্চিত্রে, পরিচালক বালতাসার কোর্মাকুরএর ১৯৯৬ সালের এভারেস্ট দূর্যোগ নিয়ে নির্মিত ছবি এভারেস্ট এবং পরিচালক জ্যঁ-মার্ক ভ্যালী-এর রোমান্টিক-নাট্য ধর্মী ছবি ডেমোলিশ্যান অভিনয় করেছেন। এছাড়াও ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া টম ফোর্ড কর্তৃক নির্মিত ছবি নকচার্নাল অ্যানিমেলস্ ছবিতে ইলেনহল অভিনয় করেছেন।
পরিচালক স্টিফেন ইলেনহল এবং চিত্রনাট্যকার নাওমি ফোনার ছেলে ইলেনহলের বড় বোন ম্যাগি ইলেনহলও একজন অভিনেত্রী এবং তিনি অভিনেতা পিটার সার্সগার্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। জারহেড এবং রেন্ডিশন চলচ্চিত্রে ইলেনহল ভগ্নিপতি পিটার ছিলেন ইলেনহলের সহ-অভিনেতা। ২০০৬ সালে ইলেনহল এবং তার বড় বোন ক্যালিফোর্নিয়ার ইনভার্নেসের একটি রেস্তোরাঁয় অগ্নি-দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। সেই রেস্তোরাঁর সহ-স্বত্ত্বাধিকারী এবং তারকা রাঁধুনি (শেফ্) ড্যানিয়েল ডিলং বলেন, "অগ্নি দূর্ঘটনার সময় জেক আমাকে রেস্তোরাঁর জিনিসপত্র বাইরে বের করে আনতে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল"।[২০]
ইলেনহলের ভাগ্নী র্যামোনা সার্সগার্ড অক্টোবর ৩, ২০০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিল। জেইক ইলেনহল অভিনেতা ও পরিচালক পল নিউম্যান[২১] এবং অভিনেত্রী ও সাহিত্যিক জ্যামি লি কার্টিস-কে অনুসরণ করেন।[১][২১]
২০০২ সাল থেকে প্রায় দুই বছর অব্দি ইলেনহলের অভিনেত্রী কির্স্টেন ডান্স্ট-এর সাথে প্রণয় ছিল।[২২] কিন্তু ২০০৭ সালে ইলেনহল তার রেন্ডিশন চলচ্চিত্রের সহ-অভিনেত্রী রিজ উইদারস্পুনের সাথে প্রণয়ে আবদ্ধ হন[২৩][২৪][২৫][২৬] এবং ২০০৯ সাল অব্দি তাদের সম্পর্ক টিকে ছিল। পরবর্তীতে অক্টোবর ২০১০ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত ইলেনহল মার্কিন গায়িকা টেইলর সুইফটের সাথে প্রণয় করেন। এছাড়াও মডেল অ্যালিসা মিলার[২৭][২৮] এবং মার্কিন মডেল এমিলি ডিডোনাটোর সাথেও তার প্রণয় সম্পর্ক ছিল।[২৯][৩০]
রাজনৈতিকভাবে ইলেনহল সক্রিয়। তিনি ২০০৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়াতে রক দ্য ভোট নামক একটি সংগঠনের জন্য তার বড় বোনের সাথে একটি কমার্শিয়াল-বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করেছিলেন।[৩১] ইলেনহল তৎকালীন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদপ্রার্থী জন কেরির জন্য প্রচারকার্যের সাথে যুক্ত ছিলেন।[৩২] ইলেনহল রাজনৈতিক ব্যাপারে এক বক্তব্যে বলেছিলেন, "এটি আমাকে খুব বিষণ্ণ করে তুলে যখন অভিনেতারা রাজনীতি নিয়ে কথা তোলে। আমি রাজনীতির সাথে জড়িত এবং যে বিষয়গুলো রাজনীতি সম্বন্ধীয় সেই সব বিষয়গুলোকে আমি আমার চলচ্চিত্রে পছন্দের তালিকায় স্থান দিই। আমি যা করি, তাই-ই বলি। ন্যায়রূপে বা অন্যায়রূপে সত্যি বলতে তরুণ অভিনেতারাই সকল ক্ষমতার অধিকারী"।[১৪] রেন্ডিশন চলচ্চিত্রের এক সাক্ষাৎকারে ইলেনহল মন্তব্য করে বলেন, "এটি খুবই দুঃখদায়ক যখন অভিনেতারা রাজনীতিবিদদের ভূমিকায় এবং রাজনীতিবিদরা অভিনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন"।[৩৩]
২০০৩ সালে ইলেনহল আমেরিকান সিভিল লিবারিটিজ ইউনিয়ন সংগঠনের বিজ্ঞাপনের প্রচারকার্যের জন্য কাজ করেছিলেন।[৩৪] ইলেনহল পরিবেশ নিয়ে খুবই সচেতন এবং সাক্ষাৎকারের এক বিবৃতিতে তিনি বলেন যে তিনি মোজাম্বিকের বনাঞ্চলে বৃক্ষরোপণের জন্য ভবিষ্যৎ বনায়ন কর্মসূচিকে উৎসাহিত করতে প্রায় ৪০০ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছিলেন।[৩৫][৩৬] ডে আফটার টুমরো চলচ্চিত্রের অভিনয় কার্য সম্পাদনের পর-পরই ইলেনহল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সচেতন করতে সুমেরু অঞ্চলে ছুটে যান।[৩৭][৩৮] ইলেনহল নিউ আইস ফর দ্য নিডি সংগঠনের উপদেষ্টা পর্ষদের সভাপতি।[৩৯]
অবসর সময়ে ইলেনহল কাঠ-শিল্প এবং রন্ধন-শিল্পে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করেন।[৪০] যখন ইলেনহলকে তিনি বৌদ্ধ কিনা সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তখন উত্তরে তিনি বলেন, "আমি প্রথাগত বৌদ্ধ নয় তবে আমি স্মৃতি (বৌদ্ধধর্মের এক প্রকার ধ্যানগত আচার) অনুশীলন করার চেষ্টা করি এবং এটাই আমার দৈনন্দিন ধ্যান করার মূল উদ্দেশ্য"।[৪১][৪২]