ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেনোফোন কনস্ট্যানটাইন বালাস্কাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিম্বার্লী, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৫ অক্টোবর ১৯১০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১২ মে ১৯৯৪ হাইড পার্ক, জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বেলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | রাইট-আর্ম লেগ ব্রেক ও গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩২) | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৬-১৯৪৬ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৭-১৯৩৮ | নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৪-১৯৩৬ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৪ | বর্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৬-১৯৩২ | গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ আগস্ট ২০১৭ |
জেনোফোন কনস্ট্যানটাইন বালাস্কাস (ইংরেজি: Xen Balaskas; জন্ম: ১৫ অক্টোবর, ১৯১০ - মৃত্যু: ১২ মে, ১৯৯৪) কিম্বার্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী গ্রীক বংশোদ্ভূত প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ‘জেন’ বা ‘বেলি’ নামে পরিচিত জেন বালাস্কাস। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক ও গুগলি বল ছুঁড়তেন। ২৮.৬৮ গড়ে ২৬৯৬ প্রথম-শ্রেণীর রান ও ২৪.১১ গড়ে ২৭৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
গ্রীস থেকে অভিবাসনকারী পিতা-মাতার সন্তান বালাস্কাসের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ১৯২৬-২৭ মৌসুমে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের পক্ষে। তবে ১৯২৯-৩০ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ঐ বছর কারি কাপ প্রতিযোগিতার রান ও উইকেট - উভয় বিভাগেই শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২১.২০ গড়ে ৩৯ উইকেটসহ পাঁচবার পাঁচ-উইকেট পান এবং ৮০-এর অধিক গড়ে ৬৪৪ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে রোডেশিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ২০৬ রান করেন।
পরের মৌসুমে ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩০ তারিখে জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডেরার্স গ্রাউন্ডে তার টেস্ট অভিষেক হয়। কিন্তু খেলায় তেমন কোন অবদান রাখতে সক্ষম হননি তিনি। ৭ ও ৩ রানের পাশাপাশি খেলায় তিনি মাত্র দুই ওভার বোলিং করার সুযোগ লাভ করেছিলেন। কেপটাউনের দ্বিতীয় টেস্টে কিছুটা উত্তরণ ঘটান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ব্যবধানে জয় পেলেও তিনি শূন্য রান সংগ্রহ করেন ও খেলায় ২/১০৪ লাভ করতে সক্ষম হন। ফলশ্রুতিতে সিরিজের অন্য টেস্টগুলোয় তাকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি।
১৯৩১-৩২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে যান। কিন্তু সফরের দ্বিতীয় পর্যায়েই তাকে টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয়। এর জবাবে দল নির্বাচকমণ্ডলীকে সমুচিত শিক্ষা দেন। ওয়েলিংটন টেস্টে অপরাজিত ১২২* রান করেন যা তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র শতরান লাভের ঘটনা ছিল। ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী টেস্টে অংশ নেন। সমগ্র সিরিজের একমাত্র খেলায় তাকে দলে নেয়া হয়। লর্ডসের ঐ টেস্টে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান তিনি। বিস্ময়করভাবে তিনি ৩২-৮-৪৯-৫ ও ২৭-৮-৫৪-৪ করেন। এরফলে দলকে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।
পরের শীতকালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন টেস্টে নয় উইকেট পান বালাস্কাস। ১৯৩৭-৩৮ মৌসুমে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ৮/৬০ লাভ করেন। এরপর তিনি আর একটি খেলায় অংশে নিয়েছিলেন। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে কেপটাউন টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন। খেলায় ফিরে এসে ০/১১৫ রান দিয়েও কোন উইকেট পাননি তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে আর কোন টেস্ট খেলা হয়নি তার। যুদ্ধ শেষ হবার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে চমৎকার সময় পার করেন। ১৫.৯৫ গড়ে ৪৭ উইকেট তুলে নেন। কিন্তু পরের বছর কয়েকটি খেলায় অংশ নেয়ার পর চিরতরে ব্যাট নেয়া থেকে বিরত থাকেন।
অদ্যাবধি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সেঞ্চুরিকারী ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড়ের অধিকারী তিনি। মাত্র ১৪.৫০ গড়ে রান তুলতে পেরেছেন।[১] ১২ মে, ১৯৯৪ তারিখে জোহেন্সবার্গের হাইডপার্কে ৮৩ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।