জেনারেল পিপলস কংগ্রেস المؤتمر الشعبي العام | |
---|---|
![]() | |
চেয়ারপারসন (disputed) | রাশাদ আল-আলিমি (হাদিপন্থী/আলিমি দল)[১][২] সাদেক আমিন আবু রাস (পন্থী-হুথি উপদল)[১][৩] আহমেদ সালেহ (আহমেদ সালেহপন্থী দল)[১] |
মুখপাত্র | আবদো আল-জানাদি |
প্রতিষ্ঠাতা | আলী আবদুল্লাহ সালেহ |
প্রতিষ্ঠা | ২৪ আগস্ট ১৯৮২ |
সদর দপ্তর | সানা |
সংবাদপত্র | আল-মোতামার |
ভাবাদর্শ | ইয়েমেনি জাতীয়তাবাদ আরব জাতীয়তাবাদ প্যান-আরবিজম অর্থনৈতিক উদারনীতি নব্যউদারনীতি[৪] |
রাজনৈতিক অবস্থান | কেন্দ্র[৫] |
প্রতিনিধি পরিষদ | ১৬৮ / ৩০১ |
ওয়েবসাইট | |
| |
ইয়েমেনের রাজনীতি নির্বাচন |
জেনারেল পিপলস কংগ্রেস ( জিপিসি; আরবি: المؤتمر الشعبي العام ) ইয়েমেনের একটি রাজনৈতিক দল । উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনেরএকীকরণের তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৩ সাল থেকে এটি ইয়েমেনের ডি জুর শাসনকারী দল। দলটি জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত এবং এর প্রাতিষ্ঠানিক আদর্শ হল আরব ঐক্যের সন্ধানকারী আরব জাতীয়তাবাদ।
ইয়েমেনি গৃহযুদ্ধের সময়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা এবং তৎকালীন নেতা আলী আবদুল্লাহ সালেহ নিহত হন।জিপিসি সংঘাতে বিভিন্ন পক্ষকে সমর্থন করে দলটি তিনটি উপদলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়।[৬]
দলটি ১৯৮২ সালের ২৪ আগস্ট উত্তর ইয়েমেনের সানা'তে রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।[৬][৭] পরবর্তীকালে, এটি একটি ছাতা সংগঠনে পরিণত হয় যা সকল রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছিল।[৮] ১৯৯০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনের একীকরণের পর এবং সালেহ সংযুক্ত দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, ১৯৯৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনে এটি বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ৩০১টি আসনের মধ্যে ১২৩টি আসন জিতে নেয়। [৭] ইয়েমেনি সমাজতান্ত্রিক দলের বয়কটের মধ্যেও ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ (১৮৭) আসন জিতেছিল।১৯৯৯ সালে প্রথম সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সালেহ পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৩০১টি আসনের মধ্যে ২২৬টি আসন জিতে নির্বাচনে বিজয় লাভ করে। নির্বাচনের পর, বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যও দলে যোগ দেন। ২০০৬ সালে সালেহ পুনরায় নির্বাচিত হন। ইয়েমেনি বিপ্লবের ফলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর, দলের আবদরাব্বু মনসুর হাদি তার উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তী গৃহযুদ্ধে সালেহ দেশ এবং জিপিসির উপর ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন। ২০১৫ সালে জিপিসির একটি বড় অংশকে একত্রিত করে তিনি হুথিদের পক্ষ নেন এবং কার্যকরভাবে দলটিকে হাদি এবং সালেহ-পন্থী একটি দলে বিভক্ত করেন। সালেহ হুথিদের উৎখাতের চেষ্টা না করা পর্যন্ত দুটি দল একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে এই ক্ষমতা দখল চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০১৭ সালের শেষের দিকে সানার যুদ্ধে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং দলের মহাসচিব আরেফ আল-জুকা নিহত হন। আলী আবদুল্লাহ সালেহর মৃত্যুর পর, জিপিসি আরও ভেঙে পড়ে এবং প্রাক্তন সালেহ অনুসারীদের একটি বড় অংশ হুথিদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। জিপিসির এই হুতিপন্থী অংশটি সানায় বিদ্রোহী সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখে এবং সাদেক আমিন আবু রাসকে জিপিসির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। হুথিপন্থী গোষ্ঠীর একজন সদস্য ব্যাখ্যা করেছেন যে, "আলি আবদুল্লাহ সালেহকে হুথিরা হত্যা করেছে। আমরা যদি তার নির্দেশনা অনুসরণ করি এবং হুথিদের প্রতিরোধ করি, তাহলে সালেহের মতোই আমাদেরও পরিণতি হবে। তাই আমরা স্থলভাগে সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনীকে সমর্থন করতে পছন্দ করি।" [৬] সালেহ অনুগতদের আরেকটি দল হুথিদের হাত থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই জিপিসি গোষ্ঠীটি তখন হাদি এবং সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু ,এটি সম্পূর্ণ আলাদা ছিল এবং আলী আবদুল্লাহ সালেহর পুত্র আহমেদ সালেহকে নতুন কার্যত নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছিল। ইতিমধ্যে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে তারেক সালেহ এই জিপিসি উপদলের জন্য একটি নতুন ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী সংগঠিত করতে শুরু করেন। [৬]
নির্বাচন | দলীয় প্রার্থী | ভোট | % | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
১৯৯৯ | আলী আবদুল্লাহ সালেহ | ৩,৫৮৪,৩৯৯ | ৯৬.২% | নির্বাচিত![]() |
২০০৬ | ৪,১৪৯,৬৭৩ | ৭৭.২% | নির্বাচিত![]() | |
২০১২ | আবদরাব্বু মনসুর হাদি | ৬,৬২১,৯২১ | ১০০.০% | নির্বাচিত![]() |
নির্বাচন | দলের নেতা | ভোট | % | আসন | +/– | অবস্থান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৯৩ | আলী আবদুল্লাহ সালেহ | ৬,৪০,৫২৩ | ২৮.৭% | ১২৩ / ৩০১
|
![]() |
![]() |
সংখ্যালঘু সরকার |
১৯৯৭ | ১,১৭৫,৩৪৩ | ৪৩.১% | ১৮৭ / ৩০১
|
![]() |
![]() |
সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার | |
২০০৩ | ৩,৪২৯,৮৮৮ | ৫৮.০% | ২২৬ / ৩০১
|
![]() |
![]() |
অতি-সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার |