ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বার্নলে, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ৩০ জুলাই ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জিমি, জিম, জিমজা, সুইংয়ের রাজা, বার্নলি এক্সপ্রেস[১] ডেইজি[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬১৩) | ২২ মে ২০০৩ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১-২৫ আগস্ট ২০২০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭২) | ১৫ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৩ মার্চ ২০১৫ বনাম আফগানিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৯ (পূর্বে ৪০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-বর্তমান | ল্যাঙ্কাশায়ার (জার্সি নং ৯) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ | ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট বোর্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ১১ মে ২০২০ |
জেমস মাইকেল "জিমি" অ্যান্ডারসন, ওবিই (ইংরেজি: James Michael "Jimmy" Anderson; জন্ম: ৩০ জুলাই, ১৯৮২) ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ ক্রিকেটার। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট সংগ্রাহক। তিনি প্রথম ইংরেজ বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০, ৫০০, ৬০০ ও ৭০০ উইকেটে সংগ্রহের মাইলফলক স্পর্শ করেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটধারী অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক এবং সবমিলিয়ে ৪র্থ সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট সংগ্রাহক।[৩][৪]
ডানহাতি পেস বোলার অ্যান্ডারসন ২০০২/০৩ মৌসুমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খেলা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তিনি দেড় শতাধিক টেস্ট এবং দুইশতের কাছাকাছি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[৫] ইনজুরির কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ২০০৬ সালের অধিকাংশ সময় তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন, কিন্তু এর পর থেকে তিনি ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের ওপেনিং বোলার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিয়মিত ওপেনার ছিলেন, কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি এই ঘরানার খেলায় আর অংশগ্রহণ করেননি।
জেমস অ্যান্ডারসন বার্নলির সেন্ট ম্যারিস ও সেন্ট টিওডোর্স আরসি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কিশোর বয়সে বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবে খেলতেন। অ্যান্ডারসন শৈশবে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এবং ১৭ বছর বয়সে তিনি ল্যাঙ্কাশায়ার লীগের দ্রুততম বোলারদের একজন ছিলেন।[৬] এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি সবসময় সিম বল করতাম, কিন্তু ১৭ বছর বয়সে জানি না কীভাবে হঠাৎ করেই আমি ফাস্ট বোলিং শুরু করলাম।"[৭]
ঠিক বিশ বছর বয়সে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে তার অভিষেক ঘটে। ২০০২-০৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ইংল্যান্ড দলে অ্যান্ডারসন অন্তর্ভুক্ত হন। একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেকের সময় তিনি পাঁচজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি তার উজ্জ্বল উপস্থিতি তুলে ধরেন। পরের বছরের গ্রীষ্মে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষেক ঘটে তার। সপ্তদশ ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই তিনি ইনিংসে পাঁচ উইকেট লাভ করেছিলেন।[৮] আগস্ট, ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে তিনি ইংল্যান্ডের সোনার ছেলে হিসেবে আবির্ভূত হন।[৯] ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড পিছিয়ে থেকেও ২-২ ব্যবধানে ড্র করে। অ্যান্ডারসন পাঁচ টেস্টের সিরিজে ৩৯.৮৬ গড়ে ১৫ উইকেট লাভ করেছিলেন।[১০] এরপর জুনে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওভালে হ্যাট্রিক করেন। প্রথম ইংরেজ হিসেবে তার শিকার ছিলেন আব্দুল রাজ্জাক, শোয়েব আখতার এবং মোহাম্মদ সামি।[১১]
পিঠের আঘাতজনিত কারণে ২০০৬ সালের অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে ছিলেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে নিয়মিত হন। একদিনের আন্তর্জাতিকে নিয়মিত বোলার হিসেবেও দলে রয়েছেন তিনি।
১৩ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এন্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে ত্রয়োদশ ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।[১২] দ্বিতীয় ইনিংসে দীনেশ রামদিনকে আউট করে তিনি ইয়ান বোথামের গড়া ৩৮৩ উইকেটের রেকর্ড অতিক্রম করেন। এরফলে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[১৩] এ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ক্রেগ ব্রাথওয়েটকে আউট করার মাধ্যমে তিনি প্রথম ইংলিশ বোলার হিসাবে ৫০০তম উইকেট লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে মোহাম্মদ শামিকে আউট করে তিনি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫৬৪ তম উইকেট লাভ করেন। যার মাধ্যমে তিনি গ্লেন ম্যাকগ্রাকে টপকে সর্বাধিক উইকেট পাওয়া পেস বোলারে পরিনত হন।
মে, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ইংরেজ বোলার হিসেবে ১ম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের পিটার ফুলটনকে আউট করে জেমস অ্যান্ডারসন তিনশত উইকেট লাভ করেন।[১৪] বর্তমানে (১০.০৫.২০২০) তিনি আইসিসি কর্তৃক প্রণীত টেস্ট বোলার র্যাঙ্কিং প্রথায় ৭৭৫ পয়েন্ট নিয়ে ৮ম স্থানে অবস্থান করছেন।[১৫]
ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে অনুষ্ঠিত ১ম একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ড দল হেরে গেলেও বিজে ওয়াটলিংয়ের উইকেট লাভ করে বিরল কীর্তিগাঁথা গড়েন। এরফলে তিনি ইয়ান বোথামকে পাশ কাটিয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।[১৬]
মে, ২০১৬ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনবদ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। লিডসের মাঠে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।[১৭] খেলায় তার সংগৃহীত ১০/৪৫ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে-কোন ইংরেজ বোলারের মধ্যে সর্বোত্তম।[১৮] ২য় টেস্টে নিজস্ব ৪৫০তম টেস্ট উইকেট পান।[১৯]
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 27 June 2008.
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 1 August 2010.
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; cricinfo player profile
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 28 May 2008.
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 4 September 2008.