জেমিনি গণেশন | |
---|---|
জন্ম | গণপতি সুব্রমনিয়া শর্মা[১] ১৭ নভেম্বর ১৯২০ |
মৃত্যু | ২২ মার্চ ২০০৫ চেন্নাই, ভারত | (বয়স ৮৪)
অন্যান্য নাম | কাদাল মান্নান, জেমিনি গণেশ, জেমিনি মামা[২] |
মাতৃশিক্ষায়তন | মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ, চেন্নাই |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৪৭ - ২০০২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আলামেলু (১৯৪০–২০০৫) (জেমিনির মৃত্যু) পুষ্পাবলী (১৯৯১ সালে মৃত্যু) সাবিত্রী (১৯৫৪-১৯৮১) (১৯৮১ তে মৃত্যু) জুলিয়ানা |
সন্তান | কমলা সেলভারাজ (কন্যা) রেখা (কন্যা) রেবতী স্বামীনাথান (কন্যা) নারায়ণাই গণেশন (কন্যা) জয়া শ্রীধর (কন্যা) বিজয়া চমুন্দেশ্বরী (কন্যা) সতীশ কুমার (পুত্র) |
রামস্বামী গণেশন (তামিল: ஜெமினி கணேசன்; ১৭ নভেম্বর ১৯২০ – ২২ মার্চ ২০০৫[৩]), যিনি জেমিনি গণেশন নামে সর্বাধিক পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাকে তামিল ভাষায় 'কাদাল মান্নান' যার বাংলা অর্থ হচ্ছে প্রেমের রাজা বলা হত কারণ তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর প্রেম কাহিনীগুলো অনেক দর্শক জনপ্রিয়তা পেত।[৪] তামিল চলচ্চিত্র জগতে জেমিনির নাম 'থ্রী বিগেস্ট নেমস অব তামিল সিনেমা'তে যুক্ত হয়েছিলো; এখানে আরো দুজন ছিলেন এমজিআর এবং শিবাজি গণেশন।[৫][৬] জেমিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেন তন্মধ্যে রয়েছে পদ্মশ্রী (১৯৭১), কালাইমামণি, এম জি রামচন্দ্রন স্বর্ণপদক এবং স্ক্রিন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। তার জন্ম একটি গোঁড়া হিন্দু পরিবারে হয়েছিল এবং তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ১৯৪০ এর দশকের মাঝখানদিকে ঢোকার সময় তিনি ছিলেন অন্যতম স্নাতক।[৭]
জেমিনি ১৯৪৭ সালের তামিল চলচ্চিত্র মিস মালিনী দ্বারা তার অভিনয় জীবনের অভিষেক ঘটান, কিন্তু তিনি ১৯৫৩ সালের চলচ্চিত্র দাই উল্লাম এ খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে পরিচিতি পান।[৮] ১৯৫৪ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র মানাম পোলা মাঙ্গালইয়াম তাকে প্রকৃত তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছিলো।[৯] জেমিনি তার সমসাময়িক তামিল তারকা এমজিআর এবং শিবাজি গণেশনের মত রাজনীতিতে জড়িয়ে যাননি, তাছাড়া এমজিআর এবং শিবাজি অভিনয় জগতে প্রবেশ করার আগে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন যেটা জেমিনি করেননি। তাছাড়া ইনি তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কোনো জাতীয় পুরস্কারও পাননি।[১০] প্রায় পঞ্চাশ বছরের অভিনয় জীবনে জেমিনি তামিল ভাষার চলচ্চিত্র ছাড়াও অল্প কিছু কন্নড়, তেলুগু, মালয়ালম এবং হিন্দি ভাষার সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।[১১] তার অভিনীত চলচ্চিত্রে গায়ক এ এম রাজা এবং পি বি শ্রীনিবাসের গাওয়া গান তাকে জনপ্রিয় হতে সাহায্য করেছিলো।[১২][১৩] একটি সাফল্যমণ্ডিত চলচ্চিত্রজীবন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবজীবনে তার একাধিক নারীর সঙ্গে বন্ধন তাকে সমালোচনায় ফেলে দিয়েছিলো।[১৪] পুরো কর্মজীবনে তিনি মাত্র দুটি 'ফিল্মফেয়ার পুরস্কার' জিতেছিলেন।