জেরাল্ডিন চ্যাপলিন | |
---|---|
Geraldine Chaplin | |
জন্ম | জেরাল্ডিন লেই চ্যাপলিন ৩১ জুলাই ১৯৪৪ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৫২–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্যাট্রিশিও ক্যাস্টিলা (বি. ২০০৬) |
সঙ্গী | কার্লোস সরা (১৯৬৭–১৯৭৯) |
সন্তান | ২, উনা ক্যাস্টিলা চ্যাপলিন |
পিতা-মাতা | চার্লি চ্যাপলিন উনা ওনিল |
আত্মীয় | দেখুন চ্যাপলিন পরিবার |
জেরাল্ডিন লেই চ্যাপলিন (ইংরেজি: Geraldine Leigh Chaplin; জন্ম: ৩১ জুলাই, ১৯৪৪)[১][২] হলেন ইংরেজি, ফরাসি এবং স্পেনীয় ভাষার বিশিষ্ট অভিনেত্রী। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের চতুর্থ সন্তান, এবং তার চতুর্থ স্ত্রী উনা ওনিলের আট সন্তানের প্রথম সন্তান।[৩] নৃত্য[১][৩] ও মডেলিং[৪] দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে তিনি অভিনয়ে মনোযোগী হন। তিনি মার্কিন চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন ডেভিড লিন পরিচালিত ডক্টর ঝিভাগো (১৯৬৫) দিয়ে,[৫] এবং এই চলচ্চিত্রে টোনিয়া ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার ব্রডওয়ে অভিনয়ের অভিষেক হয় লিলিয়ান হেলম্যান নির্দেশিত দ্য লিটল ফক্সেস (১৯৬৭) দিয়ে।[৬] ১৯৭৫ সালে রবার্ট অ্যাল্টম্যান পরিচালিত ন্যাশভিল ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি ওয়েলকাম টু এল.এ. চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তার প্রথম বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাফালো বিল অ্যান্ড দ্য ইন্ডিয়ান্স, অর সিটিং বুল্স হিস্ট্রি লেসন (১৯৭৬), রোজল্যান্ড (১৯৭৭), রেমেম্বার মাই নেম (১৯৭৮) ও অ্যা ওয়েডিং (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে তিনি রিচার্ড অ্যাটেনব্রো পরিচালিত চার্লি চ্যাপলিনের জীবনীমূলক চ্যাপলিন চলচ্চিত্রে তার পিতামহী হান্নাহ চ্যাপলিনের ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার তৃতীয় গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি দি এজ অব ইনোসেন্স (১৯৯৩), জেন আইয়ার (১৯৯৬), মাদার তেরেসা: ইন দ্য নেম অব গড্স পুওর (১৯৯৭) এবং দ্য উল্ফম্যান (২০১০)।
জেরাল্ডিন লেই চ্যাপলিন ১৯৪৪ সালের ৩১ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন।[১][২][৭] তিনি পিতা অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিন এবং মাতা উনা ওনিল। তিনি চার্লির চতুর্থ সন্তান এবং উনা ওনিলের প্রথম সন্তান।[৩] উনা চার্লির চতুর্থ স্ত্রী, যাকে তিনি ১৯৪৩ সালে বিয়ে করেন।[৮] তখন চার্লির বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং উনার বয়স ছিল ১৮।[৩][৮] তার পিতামহ ছিলেন চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়র এবং পিতামহী হান্নাহ চ্যাপলিন (হান্নাহ হ্যারিয়েট পেডলিংহাম হিল)। তারা দুজনে ইংরেজ গীতিমঞ্চের গায়ক-গায়িকা ছিলেন। তার মাতামহ ছিলেন নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন লেখক ইউজিন ওনিল ও মাতামহী ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক আইনেস বোল্টন।[৯]
জেরাল্ডিনের যখন আট বছর বয়স, তার পিতা তাদের পরিবারসহ ব্রিটেন ও ইউরোপে ভ্রমণ করতে যান। তাদের পরিবার সেখানে যাওয়ার দুই দিনের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল তার পিতা চার্লিকে দেশে পুনঃপ্রবেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।[১০] তার পিতা তাদের পরিবার নিয়ে সুইজারল্যান্ডে চলে যান।[১১] তিনি সেখানে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশুনা করেন, এবং ফরাসি ও স্পেনীয় ভাষায় দক্ষ হয়ে ওঠেন। এই সময়ে জেরাল্ডিন তার পিতার লাইমলাইট (১৯৫২) চলচ্চিত্রে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন।[১]
১৭ বছর বয়সে চ্যাপলিন কলেজ ত্যাগ করে নৃত্যে মনোযোগী হন।[৩] তিনি ইংল্যান্ডে দুই বছর বেলে নৃত্য শিখেন এবং ১৯৬১ সালে তিনি রয়্যাল বেলে স্কুলেও নৃত্য শিখেন।[১] পরবর্তীতে তিনি প্যারিসে পেশাদারী নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিবেশনা চালিয়ে যান। যদিও তিনি ভাল নাচতেন, তবু তিনি ভাবেন যে তিনি খুব বেশি দিন নাচের প্রশিক্ষণ নেন নি এবং ফলে তিনি বেলে নাচ ছেড়ে দেন। এই প্রসঙ্গে চ্যাপলিন বলেন, "আমি বেলে ছাড়ি নি, বেলে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।" চ্যাপলিন পরে প্যারিসে ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন।[৪]
বেলে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার স্বপ্নের ইতি ঘটলে তিনি তার পিতার মত অভিনয়ে মনোযোগী হন। পরিচালক ডেভিড লিন তাকে ডক্টর ঝিভাগো (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকা ঝিভাগোর স্ত্রী টোনিয়া চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করেন।[৫] এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সম্ভাবনাময় নবাগত বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১২] এই চলচ্চিত্রের প্রচারণায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার নামের কারণে, আমার জন্য অভিনয়ের দরজা খুলে যায়।"[১৩]
১৯৬৭ সালে লিলিয়ান হেলম্যান নির্দেশিত দ্য লিটল ফক্সেস দিয়ে তার ব্রডওয়ে থিয়েটারে অভিষেক হয়।[৬] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক পর্যালোচনায় ক্লাইভ বার্নস তার অভিনয়ের প্রশংসা করে লিখেন যে চ্যাপলিন তার অভিনয়ে "আশ্চর্য ক্ষমতা" রয়েছে।[১৪]
পুরস্কার | বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনীত চলচ্চিত্র | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | ১৯৬৫ | সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী | ডক্টর ঝিভাগো | মনোনীত | [১২] |
১৯৭৫ | সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী | ন্যাশভিল | মনোনীত | [১৫] | |
১৯৯২ | চ্যাপলিন | মনোনীত | [১৫] | ||
সিতগেস চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার | ১৯৭২ | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | জেড.পি.জি. | বিজয়ী | |
মায়ামি চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার | ১৯৭৮ | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | রিমেম্বার মাই নেম | বিজয়ী | |
প্যারিস চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার | ১৯৭৮ | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | রিমেম্বার মাই নেম | বিজয়ী | |
গয়া পুরস্কার | ২০০২ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | এন লা সিউদাদ সিন লিমিৎস | বিজয়ী | |
২০০৭ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | এল এলফার্নেতো | মনোনীত |
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; gg
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি