ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেরি এথরিজ গোমেজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেলমন্ট, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ | ১০ অক্টোবর ১৯১৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৬ আগস্ট ১৯৯৬ পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ | (বয়স ৭৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম, অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জে এগারটন গোমেজ (পিতা) ও গ্রিগরি গোমেজ (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৯) | ২২ জুলাই ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ মার্চ ১৯৫৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ |
জেরি এথরিজ গোমেজ (ইংরেজি: Gerry Gomez; জন্ম: ১০ অক্টোবর, ১৯১৯ - মৃত্যু: ৬ আগস্ট, ১৯৯৬) ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনের বেলমন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য জেরি গোমেজ মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ১৯৩৯ থেকে ১৯৫৪ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা অফ ব্রেক বোলিং করতেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও দলকে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৩৯ থেকে ১৯৫৪ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২৯ টেস্টে অংশ নেন। এ সময়ে ১,২৪৩ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৫৮ উইকেট লাভ করেন। ২২ জুলাই, ১৯৩৯ তারিখে ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় জেরি গোমেজের। ৩০ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে কিংস্টনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে একটি টেস্টে দলের অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার অল-রাউন্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। ১২৬ খেলায় অংশ নিয়ে প্রায় ৪৫ গড়ের কাছাকাছি রান তুলেন। এছাড়াও মিডিয়াম পেস বোলিং করে প্রায় ২৫ গড়ে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেটের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন। দলীয় ব্যবস্থাপক ও প্রশাসকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আম্পায়ারিত্বও করেছেন।
এপ্রিল, ১৯৬৫ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানা টেস্টে নিয়মিত আম্পায়ার সেসিল কিপিন্স খেলা শুরুর পূর্বে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে তিনি এ সুযোগ পেয়েছিলেন।[১] এটিই গোমেজের একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল। কিপিন্সকে ব্রিটিশ গায়ানা আম্পায়ার সংস্থার কাছ থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল।
ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও দক্ষ ছিলেন তিনি। ত্রিনিদাদ দলের পক্ষে ফুটবল খেলায় জেরি গোমেজ অংশ নিয়েছেন। জুন, ১৯৮৮ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর $১.৫ ডলার মূল্যমানের ডাকটিকেটে বার্বাডোস ক্রিকেট বাকলের সাথে তার প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়।
তার পিতা জে এগারটন গোমেজ ও পুত্র গ্রিগরি গোমেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যথাক্রমে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং নর্থ ত্রিনিদাদের পক্ষে খেলেছেন। ৬ আগস্ট, ১৯৯৬ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে জেরি গোমেজের দেহাবসান ঘটে।