জেরুসালেম অবরোধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ক্রুসেডের অংশ | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
![]() খোয়ারিজমীয় |
![]() | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
![]() |
![]() | ||||||
শক্তি | |||||||
কম | অজ্ঞাত | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
অজ্ঞাত | ১৪,০০০ (বিতর্কিত) |
১২৪৪ সালের জেরুসালেম অবরোধ ষষ্ঠ ক্রুসেডের পরের সংঘটিত ঘটনা। তখন খোয়ারিজমীয় গোত্রগুলো ১৫ জুলাই ১২৪৪ খ্রিস্টাব্দে শহরটি দখল করে নেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক ছিলেন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট। তিনি ১২২০ থেকে ১২৫০ পর্যন্ত পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট ছিলে। ১২২৮-১২২৯ সালে ষষ্ঠ ক্রুসেডের নেতৃত্ব দেন। রানী ইসাবেলা ১২১২ সাল থেকে ১২২৮ সাল পর্যন্ত জেরুসালেমের রানী ছিলেন। রানীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় ইসাবেলার স্বামী হিসেবে ফ্রেডেরিক নিজেকে জেরুসালেমের উত্তরাধিকার তথা রাজা দাবি করেন। সম্রাটের আনা সৈন্যবাহিনী ও মুসলিম বিশ্বে তার খ্যাতি যথেষ্ট ছিলো জেরুসালেম, বেথেলহাম, নাসরৎ এবং অন্যান্য শহর আইয়ুবীয় সুলতান আল-কামিল এর সাথে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ ব্যতীত জয় করতে পারার জন্য। আল-কামিল ছিলেন মিশরের আইয়ুবীয় সাম্রাজ্যের সুলতান। নিজের ভাই আল-মুয়াজ্জামের সাথে বিরোধিতার মধ্যে সুবিধার জন্য রাজা দ্বিতীয় ফ্রেদেরিকের সাথে শান্তি চুক্তি করেন।[১] ১২২৭ সালে আল-মুয়াজ্জামের মৃত্যুর পর ফ্রেদেরিক ফিলিস্তিনে পৌঁছে যায়। আল-কামিল তার ভাই আল-আশরাফের সাথে শান্তি চুক্তি করে ফিলিস্তিন (ট্রান্সজর্ডান সহ) ও সিরিয়া ভাগাভাগি করে নেয়। ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রেদেরিকের সাথে দশ বছর ব্যাপী শান্তি চুক্তি করে আল-কামিল জেরুসালেম ও অন্যান্য পবিত্র স্থান তুলে দেন।[২] যদিও, জেরুসালেম খ্রিস্টানদের হাতে বেশিদিন ছিলো না কারণ পরবর্তীকালে কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা ছিলো না।
১২৪৪ খ্রিস্টাব্দে, মঙ্গোল সাম্রাজ্যের হাতে ধ্বংসকৃত খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্যের সদস্যদের শহরটি আক্রমণ করতে দেন। তাদের দ্বারা অবরোধের ঘটনাটি ঘটে ১৫ জুলাই তারিখে এবং জেরুসালেমের দ্রুত পতন ঘটে। খোয়ারিজমীয়রা শহর লুণ্ঠন করে এবং শহরের অবস্থা এমন করে রেখে যায় যে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের জন্য শহরটি বসবাসের অযোগ্য পরিণত হয়। শহরটির ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার ফলে ফ্রান্সের রাজা নবম লুইস সপ্তম ক্রুসেডের আয়োজন করেন।[৩]