জেরসালেম রাজ্য (লাতিন: Regnum Hierosolymitanum; প্রাচীন ফরাসি: Roiaume de Jherusalem) আনুষ্ঠানিকভাবে জেরুসালেমের লাতিন রাজ্য বা ফিলিস্তিনের ফ্রাঙ্কিশ রাজ্য নামে পরিচিত।[৪] এটি ছিল একটি ক্রুসেডার রাষ্ট্র। যা প্রথম ক্রুসেডের পর ১০৯৯ সালে বুইলনের গডফ্রে দ্বারা দক্ষিণ লেভান্তে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজ্যটি ১০৯৯ থেকে ১২৯১ সাল পর্যন্ত প্রায় দুইশ বছর স্থায়ী হয়েছিল। ১২৯১ সালে এর শেষ অবশিষ্ট দখলে থাকা শহর আক্কা মামলুকদের দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এর ইতিহাস দুটি স্বতন্ত্র যুগে বিভক্ত।
প্রথম জেরুসালেম রাজ্য ১০৯৯ থেকে ১১৮৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল এবং সালাহুদ্দিনের দ্বারা প্রায় সম্পূর্ণভাবে দখল করা হয়েছিল। তৃতীয় ক্রুসেডের পর রাজ্যটি ১১৯২ সালে আক্কায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১২৯২ সালে শহরের ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত টিকে ছিল। এই দ্বিতীয় রাজ্যটিকে কখনও কখনও দ্বিতীয় জেরুসালেম রাজ্য বা নতুন রাজধানী হিসেবে আক্কার রাজ্য বলা হয়। কূটনীতির মাধ্যমে ষষ্ঠ ক্রুসেডের সময় আইয়ুবীয়দের কাছ থেকে হোহেনস্টাউফেনের দ্বিতীয় ফ্রেডেরিকের জেরুজালেম শহর দখল করার পর পরবর্তী দুই দশক ছাড়া বাকি সময়ে আক্কাই রাজধানী ছিল।
জেরুসালেম রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও বসতি স্থাপনকারী ক্রুসেডারদের অধিকাংশই ফ্রান্সের রাজ্য থেকে এসেছিল, যেমন নাইট এবং সৈন্যরা ছিল যারা এর অস্তিত্বের দুইশত বছরের ব্যবধানে স্থিতিশীল শক্তিবৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছিল। এর শাসক এবং অভিজাতরা তাই ফরাসী বংশোদ্ভূত ছিল।[৫] ফরাসি ক্রুসেডাররাও ফরাসি ভাষাকে লেভান্ট-এ নিয়ে আসে, এইভাবে পুরাতন ফরাসিকে ক্রুসেডার রাজ্যের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা করে তোলে।[৬][৭]
স্থানীয় মুসলমান এবং খ্রিস্টানরা গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। কিন্তু ইউরোপীয়; প্রধানত ফরাসি এবং ইতালীয়-উপনিবেশবাদীরাও গ্রামে বসতি স্থাপন করেছিল।[৮] স্থানীয় আখ আবাদের উপর ভিত্তি করে চিনি পরিশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছিল।[৯]
↑Frank McLynn, Richard and John: Kings at War chapter 5, page 118.
↑William Harris, "Lebanon: A History, 600 - 2011," Oxford University Press, p. 51
↑Example (title of works): "Professor Benjamin Kedar"। Resources for studying the crusades (ইংরেজি ভাষায়)। Queen Mary University of London। Research output। ২০১৫-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৪। 1994 (with Muhammad al-Hajjuj:) "Muslim Villagers of the Frankish Kingdom of Jerusalem: Some Demographic and Onomastic Data," in Itinéraires d'Orient. Hommages à Claude Cahen, ed Raoul Curiel and Rika Gyselen [=Res Orientales, vol 6], (Bures-sur-Yvette, 1994), pp 145-56উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Jerusalem in the Crusader Period"। Bar-Ilan University। Ingeborg Rennert Center for Jerusalem Studies। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑Benjamin Z. Kedar, "The Subjected Muslims of the Frankish Levant", in Muslims Under Latin Rule, 1100–1300, ed. James M. Powell, Princeton University Press, 1990, pg. 148; reprinted in The Crusades: The Essential Readings, ed. Thomas F. Madden, Blackwell, 2002, pg. 244. Kedar quotes his numbers from Joshua Prawer, Histoire du royaume latin de Jérusalem, tr. G. Nahon, Paris, 1969, vol. 1, pp. 498, 568–72.
Ferdinandi, Sergio (২০১৭)। La Contea Franca di Edessa. Fondazione e Profilo Storico del Primo Principato Crociato nel Levante (1098-1150) (ইতালীয় ভাষায়)। Rome, Italy: Pontificia Università Antonianum। আইএসবিএন978-88-7257-103-3।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Bernard Hamilton, The Leper King & His Heirs. Cambridge, 2000.
Carole Hillenbrand, The Crusades: Islamic Perspectives. Routledge, 2000.
Holt, P. M. The Age of the Crusades: The Near East from the Eleventh Century to 1517. Longman, 1989.
Humphreys, R. S. (1997) From Saladin to the Mongols: The Ayyubids of Damascus, 1193-1260, SUNY Press
Benjamin Z. Kedar, Hans Eberhard Mayer & R. C. Smail, ed., Outremer: Studies in the history of the Crusading Kingdom of Jerusalem presented to Joshua Prawer. Yad Izhak Ben-Zvi Institute, 1982.
John L. La Monte, Feudal Monarchy in the Latin Kingdom of Jerusalem, 1100–1291. Cambridge, Massachusetts, 1932.
Setton, Kenneth M., সম্পাদক (১৯৫৫–১৯৮৯)। A History of the Crusades (6 vols.)। Madison and London: University of Wisconsin Press।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Steven Tibble, Monarchy and Lordships in the Latin Kingdom of Jerusalem, 1099–1291. Clarendon Press, 1989.