জেরুসালেমের প্রধান মুফতি

জেরুসালেমের প্রধান মুফতি হলো আল আকসা মসজিদ সহ জেরুসালেমের পবিত্র স্থানগুলোর দায়িত্বে থাকা একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মীয় কর্তৃত্বধারী[] এই পদটি ১৯১৮ সালে রোনাল্ড স্টোর্স নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সামরিক সরকার তৈরি করে।[][] ২০০৬ সাল থেকে এই পদটিতে মুহাম্মাদ হুসেইন রয়েছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ অনুশাসন

[সম্পাদনা]

যখন ফিলিস্তিন ব্রিটিশ অনুশাসনের অধীনে ছিলো তখন জেরুসালেমের প্রধান মুফতির পদটি ব্রিটিশ অনুশাসক কর্তৃপক্ষ দ্বারা তৈরি করা হয়[] যার উদ্দেশ্য ছিলো "সরকারের সম্মান বৃদ্ধি করা"।[]

১৯২১ সালে কামিল আল-হুসাইনির মৃত্যুর পর ব্রিটিশ হাইকমিশনার হার্বার্ট স্যামুয়েল আল-হুসাইনি পরিবারের মুহাম্মদ আমিন আল-হুসাইনিকে এই পদে নিয়োগ করেন যিনি ছিলেন আরব জাতীয়তাবাদী এবং ব্রিটিশ ফিলিস্তিনের মুসলিম নেতা। প্রধান মুফতি এবং আরব উচ্চতর কমিটির নেতা হিসেবে বিশেষত ১৯৩৮-৪৫ এর যুদ্ধের সময় আল-হুসাইনি জায়নবাদের বিপক্ষে আক্রমনাত্মক বিরোধিতায় বড় ভূমিকা রাখাসহ নাৎসি জার্মানির সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেন।[][] ১৯৪৮ সালে জর্ডান জেরুসালেম দখলের পর জর্ডানের রাজা প্রথম আবদুল্লাহ আল-হুসাইনিকে সরকারি ভাবে পদচ্যুত করে তাকে জেরুসালেমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। তারপর হুশাম আল-দ্বীন জারাল্লাহকে প্রধান মুফতি পদে নিয়োগ করেন। ১৯৫২ সালে জারাল্লাহের মৃত্যুর পর জর্ডানের ওয়াকফ সাদ আল-আলামিকে শূন্য পদে স্থলাভিষিক্ত করে।[]

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ

[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে আল-আলামির মৃত্যু এবং জেরুসালেমের পবিত্র স্থানগুলোর বর্ধিত নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েল থেকে ফিলিস্তিনে স্থানান্তরিত হওয়ার পর ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত প্রধান মুফতি হিসেবে সুলাইমান জা'আবারিকে নিয়োগ দেন যিনি ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। উনার মৃত্যুর পর আরাফাত পদে একরিমা সা'ঈদ সাবরিকে নিয়োগ দেন। সাবরিকে ২০০৬ সালে সাবরিকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস পদচ্যুত করেন যিনি সাবরির রাজনীতিতে অতি-সক্রিয়তার বিষয় সম্পর্কে অবগত ছিলেন।[] আব্বাস মুহাম্মাদ আহমাদ হুসেইনকে নিয়োগ করেন যিনি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ। যদিও নিয়োগ হওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যে হুসেইন মন্তব্য করেন যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা ফিলিস্তিনিদের জন্য গ্রহণযোগ্য কৌশল।[]

তালিকা

[সম্পাদনা]

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Friedman, Robert I. (২০০১-১২-০৬)। "And Darkness Covered the Land"The Nation। ২০০৭-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-১৩ 
  2. See Islamic Leadership in Jerusalem for further details
  3. The terminology was used as early as 1918. For example: Taysīr Jabārah (১৯৮৫)। Palestinian Leader Hajj Amin Al-Husayni: Mufti of Jerusalem। Kingston Press। আইএসবিএন 978-0-940670-10-5  states that Storrs wrote on November 19, 1918 "the Muslim element requested the Grand Mufti to have the name of the Sharif of Mecca mentioned in the Friday prayers as Caliph"
  4. The Encyclopaedia of Islam, New Edition: Supplement। Brill Archive। ১ জানুয়ারি ১৯৮০। পৃষ্ঠা 68। আইএসবিএন 90-04-06167-3 
  5. Pappe, Ilan (2002) 'The Rise and Fall of a Palestinian Dynasty. The Husaynis 1700-1948. AL Saqi edition 2010. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৬৩৫৬-৪৬০-৪. pp.309,321
  6. Cohen, Aharon (1970) Israel and the Arab World. W.H. Allen. আইএসবিএন ০-৪৯১-০০০০৩-০. p.312
  7. Obituary: Saad al-Alami
  8. Yaniv Berman, "Top Palestinian Muslim Cleric Okays Suicide Bombings" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মে ২০১৩ তারিখে, Media Line, 23 October 2006.
  9. An answer in the Commons to a question on notice, given by the Secretary of State for the Colonies ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে:
    Mr. Hammersley asked the Secretary of State for the Colonies why no appointment has yet been made to fill the posts of Mufti of Jerusalem and President of the Moslem Supreme Council?
    Colonel Stanley. An important distinction must be drawn between the two offices referred to by my hon. Friend. The post of Mufti of Jerusalem is a purely religious office with no powers or administrative functions, and was held by Haj Amin before he was given the secular appointment of President of the Supreme Moslem Council. In 1937 Haj Amin was deprived of his secular appointment and administrative functions, but no action was taken regarding the religious office of Mufti, as no legal machinery in fact exists for the formal deposition of the holder, nor is there any known precedent for such deposition. Haj Amin is thus technically still Mufti of Jerusalem, but the fact that there is no intention of allowing Haj Amin, who has openly joined the enemy, to return to Palestine in any circumstances clearly reduces the importance of the technical point.
  10. Zvi Elpeleg's "The Grand Mufti", page 48: "officially he now retained only the title of Mufti (following the Ottoman practice, this had been granted for life)"
  11. "Saad al-Alami Dead; Jerusalem Cleric, 82"The New York Times। ১৯৯৩-০২-০৭। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২২