ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেসন পল বেহরেনডর্ফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্যামডেন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২০ এপ্রিল ১৯৯০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২২৭) | ১২ জানুয়ারি ২০১৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩১ মার্চ ২০১৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৮৮) | ৭ অক্টোবর ২০১৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই শার্ট নং | ৬৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১–বর্তমান | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২–বর্তমান | পার্থ স্কর্চার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮–বর্তমান | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ এপ্রিল, ২০১৯ |
জেসন পল বেহরেনডর্ফ (ইংরেজি: Jason Behrendorff; জন্ম: ২০ এপ্রিল, ১৯৯০) নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যামডেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পার্থ স্কর্চার্স দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপনে পারদর্শীতা দেখাচ্ছেন জেসন বেহরেনডর্ফ।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যামডেন এলাকায় জেসন বেহরেনডর্ফের জন্ম।[১] নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্মগ্রহণ করলেও ক্যানবেরায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি)র পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নেন।[২] এসিটির গ্রেড ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় টারারানং ভ্যালির পক্ষে গ্রেড ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[৩]
২০০৯ সালে সফররত নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রী একাদশের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[৪] ২০০৯-১০ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় স্থানান্তরিত হন। প্রস্তুতিমূলক খেলায় রাজ্য দল নির্বাচকমণ্ডলীকে সন্তুষ্টির প্রেক্ষিতে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫] পরের মৌসুমেই রাজ্যদলের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। অন্যান্য ফাস্ট বোলার আহতাবস্থায় থাকলেও তিনি বেশকিছু খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
ফিউচার্স লিগ প্রবর্তনের পর সুন্দর খেলা উপস্থাপন করেন। ফলশ্রুতিতে, ২০১০-১১ মৌসুমের রাইয়োবি ওয়ান-ডে কাপে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। হ্যান্ডস ওভালে তাসমানিয়ার বিপক্ষে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৬] তাসমানিয়ার ইনিংসে প্রথম বলেই মার্ক কসগ্রোভকে আউট করেন। পাঁচ ওভার বোলিং করে ১/১৮ পান।[৭] অন্যান্য ফাস্ট বোলারের আঘাতের ফলে পরের মৌসুমে বেহরেনডর্ফ নিয়মিতভাবে রাজ্য দলের পক্ষে খেলেন। নভেম্বর, ২০১১ সালে শেফিল্ড শিল্ডে অভিষেক খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৪/৭৬ পান।[৮]
২০১১-১২ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডের পাঁচ খেলায় অংশ নিয়ে ১৩ উইকেট ও পাঁচটি রাইয়োবি ওয়ান-ডে কাপের খেলায় পাঁচ উইকেট দখল করেন। এ পর্যায়ে দলের নিয়মিত সদস্যের লড়াইয়ে প্রায়শঃই নাথান কোল্টার নিলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়।[৯][১০] মৌসুম শেষে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নৈশভোজনে ফিউচার লিজেন্ড পদকে ভূষিত হন।[১১][১২] চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে ২০১২-১৩ মৌসুমের জন্যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও পার্থ স্কর্চার্সের পক্ষ থেকে চুক্তিতে আবদ্ধ হবার প্রস্তাবনা পান।[১]
ডিসেম্বর, ২০১২ সালে বিগ ব্যাশ লিগে পার্থের পক্ষে অভিষিক্ত হন। মেলবোর্ন রেনেগ্যাডসের বিপক্ষে চার ওভারে ৩/৪৪ পান।[১৩] গ্রেড ক্রিকেটে সুবিয়াকো-ফ্লোরিট ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেন।[১৪] ডিসেম্বর, ২০১২ সালে এডিথ কাউয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়া বিজ্ঞানে পড়াশোনা করছিলেন। এরপূর্বে হকি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কাজ করেছেন।[১১]
২০১৪-১৫ মৌসুমের বিগ ব্যাশ লিগের আসরে আবারো স্কর্চার্সের পক্ষে খেলেন। উপর্যুপরী দ্বিতীয়বারের শিরোপা জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সচরাচর বোলিং উদ্বোধনে নেমে দশ খেলায় ১৫ উইকেট তুলে নেন। সতীর্থ ইয়াসির আরাফাত তার সাথে যৌথভাবে অবস্থান করেন ও কেবলমাত্র মেলবোর্ন স্টার্সের জন হ্যাস্টিংস ১৬ উইকেট নিয়ে এগিয়েছিলেন। এ প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৪০ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ হয় তার ও প্রত্যেক খেলায় নিজের কোটা পূরণ করেছিলেন। এটি যে-কোন বোলারের চেয়ে বেশি ছিল। ১৬.৭৩ গড়ে উইকেট পান ও ওভারপ্রতি ৬.২৭ রান দেন। কেবলমাত্র সাকিব আল হাসান, মাইকেল বিয়ার, ফাহাদ আহমেদ ও ব্রাড হগ - এ স্পিনার চতুষ্টয় ১৫ ওভারের অধিক বোলিং করে তার চেয়ে এগিয়েছিলেন।[১৫]
২০১৪ সালের অ্যালান বর্ডার পদক বিতরণী অনুষ্ঠান জানুয়ারি, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। জেসন বেহরেনডর্ফ বর্ষসেরা ঘরোয়া খেলোয়াড়ের সম্মানে ভূষিত হন। মোট ভোটের ২২ শতাংশ তিনি লাভ করেন। সতীর্থ এ্যাডাম ভোজেস ১৬ শতাংশ নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।[১৬]
নভেম্বর, ২০১২ সালে মৌসুমের প্রথম শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৪/২৯ ও ৩/২৪ পান। তাসত্ত্বেও, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া খেলায় পরাজিত হয়।[১৭]
২০১১-১২ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অভিষেক ঘটলেও ২০১৩-১৪ মৌসুমে দারুণভাবে নিজেকে গড়ে তুলেন। ২২.৭০ গড়ে ৪০ উইকেট পান ও স্টিভ ও’কিফের পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। এরপর থেকেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত সদস্য হিসেবে খেলতে থাকেন জেসন বেহরেনডর্ফ। ২০১২-১৩ মৌসুমে পার্থ স্কর্চার্সের পক্ষে বিগ ব্যাশ লীগে অভিষেক ঘটে তার। এ দলটি ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে উপর্যুপরী শিরোপা জয় করেছিল।
সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালের শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার জন্যে অস্ট্রেলিয়া এ দলের সদস্য হিসেবে তাকে রাখা হয়। আঘাত থেকে ফিরে এসে আগস্ট, ২০১৪ সালে টাউন্সভিলে দক্ষিণ আফ্রিকা এ-দলের বিপক্ষে চারটি খেলায় অংশ নেন।[১৮] ২০১৪-১৫ মৌসুমে আবারো চমৎকার খেলা উপহার দিয়ে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে ঘরোয়া একদিনের প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
আঘাতের কারণে ২০১৬-১৭ মৌসুমে তেমন ভালো খেলা উপস্থাপন করতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, শেফিল্ডের খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৮৯ রান খরচায় ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন। তার এ সাফল্যটি শেফিল্ড শিল্ডের ইতিহাসে পঞ্চম সেরা বোলিং পরিসংখ্যানের মর্যাদা লাভ করে। এ পরিসংখ্যানটি শিল্ডের ইতিহাসে নবম সেরা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দ্বিতীয় সেরা স্থানে চলে যায়। ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ঐ খেলার প্রথম ইনিংসে ৯/৩৭ পান।[১৯]
আগস্ট, ২০১৭ সালে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টি২০আই সিরিজে খেলার জন্য দলের অন্যতম সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[২০] ৭ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে রাঁচিতে অনুষ্ঠিত টি২০আই সিরিজের প্রথম খেলায় অভিষেক ঘটে তার।[২১] গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত নিজস্ব দ্বিতীয় টি২০আইয়ে শীর্ষ চার ভারতীয় ব্যাটসম্যান - রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও মনীষ পাণ্ডে তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।
১২ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয় তার। প্রথম ওভারেই শিখর ধাওয়ানকে আউট করে প্রথম ওডিআই উইকেট পান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ওডিআইয়ে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে বিজয়ী হয়েছিল।[২২]
এপ্রিল, ২০১৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।[২৩][২৪]
২০১৮ সালের আইপিএল আসরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে খেলার জন্যে ১.৫ কোটি রূপীতে চুক্তিবদ্ধ হন। তবে, প্রতিযোগিতার শুরুতেই পিঠের আঘাতে কাবু হন। তাসত্ত্বেও, ২০১৯ আসরের জন্যে দলে তাকে রাখা হয়।[২৫] ৩ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক ঘটে তার।[২৬]
বামহাতে ফাস্ট বোলিংয়ে দক্ষ তিনি। ছোট ও বড় - উভয়ে পর্যায়েই অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরির পক্ষে প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। শেফিল্ড শিল্ড ও ম্যাটাডোর বিবিকিউজ ওয়ান-ডে কাপ - উভয় স্তরের খেলাতেই বোলিং উদ্বোধনে নামেন। বামহাতি বোলার হিসেবে বলে পেস ও সুইং করার গুণাবলীর অধিকারী। সীমিত ওভারের খেলায় নতুন বলে বেশ দারুণ দক্ষতা প্রদর্শন করে চলেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে জেসন বেহরেনডর্ফ বিবাহিত। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে জুভেল হাটের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[২৭] কনিষ্ঠ ভ্রাতা লুক অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে ইউরোপীয় হ্যান্ডবলে অংশগ্রহণ করেছেন।[২৮]