জেসি জেমস | |
---|---|
![]() জেসি জেমস ১৮৮২ | |
জন্ম | জেসি উডসন জেমস ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৪৭ কার্নি, মিসৌরি, যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | এপ্রিল ৩, ১৮৮২ | (বয়স ৩৪)
জাতীয়তা | United States/Confederate States |
পেশা | অপরাধ |
কর্মজীবন | ১৮৬৬–১৮৮২ |
পরিচিতির কারণ | ব্যাংক এবং ট্রেন ডাকাতি |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেরেল্ডা মিমস |
সন্তান | জেসি ই. জেমস, মেরি জেমস বার |
পিতা-মাতা | রর্বাট ই. জেমস, জেরেল্ডা জেমস |
জেসি উডসন জেমস (৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৪৭ - এপ্রিল ৩, ১৮৮২) ছিলেন মিসৌরি রাজ্যের একজন আমেরিকান দস্যু, গেরিলা, গ্যাং নেতা, ব্যাংক ডাকাত, ট্রেন ডাকাত, এবং খুনী। তিনি জেমস ইয়ঙ্গার গ্যাং এর সবচেয়ে বিখ্যাত সদস্য ছিলেন। জেসি এবং তার বড় ভাই ফ্রাঙ্ক জেমস গৃহযুদ্ধের সময় কনফেডারেট গেরিলা বা ঝেপের আড়ালে লুকিয়ে থেকে ঝাপিয়ে পড়া যোদ্ধা ছিলেন। তাদের সেন্ট্রালিয়া ম্যাসাকার ইউনিয়নের সৈন্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। যুদ্ধের পর, আইন বহির্ভুত বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনীর সদস্য হিসেবে, তারা ব্যাংক, ডাক গাড়ী ছিনতাই এবং ট্রেন ছিনতাই করতো। জেমস ভাই ১৮৭৬ সালে যখন নর্থফিল্ড, মিনিসোটার একটি ব্যাংকে তাদের ডাকাতির চেষ্টার সময় গ্যাংয়ের অনেক সদস্যদের আটক বা হত্যা করা হয়। ১৮৬৬ থেকে তাদের নিজস্ব গ্যাং এর সদস্য হিসেবে জেসি জেমস সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে অপরাধ অব্যাহত রাখে। এই সময়ে তাদের গ্যাংয়ে নতুন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিলো। কিন্তু সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের অধীন ছিল জেমস ইয়ঙ্গার গ্যাং। তখন তারঁ মাথার জন্য বড় পরিমানের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ৩ এপ্রিল, ১৯৮২-এ জেসি জেমস রবার্ট ফোর্ডের গুলির আঘাতে নিহত হন। কিন্তু রবার্ট ফোর্ডই ছিলেন জেমস ইয়ঙ্গার বাহিনীর সদস্যা। তিনি বড় ধরনের পুরস্কারের লোভে জেসি জেমসের ঘরে প্রবেশ করে হঠাৎ জেসির মাথায় গুলি নিক্ষেপ করেন। তারঁ জীবিত দশায় তিনি সারাদেশে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। জেসিজেমস তার মৃত্যুর পর ওয়াইল্ড ওয়েস্টে একটি কাল্পনিক চিত্র হয়ে ওঠেন ।
অনেকে তাকে রবিন হুডের সঙ্গে তুলনা করেন । তিনি ধনী ব্যক্তিদের থেকে ডাকাতি, ছিনতাই করে গরীবদের সাহায্য করতেন।[১] কিন্তু তিনি এবং তার দলের সদস্যরা এসবের পরে কোন প্রমাণ রাখতো নাহ।[২]