জোডিয়াক | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | ডেভিড ফিঞ্চার[১] |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার | জেমস ভ্যান্ডারবিল্ট |
উৎস | রবার্ট গ্রেস্মিথ কর্তৃক রাশিচক্র |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | ডেভিড শির |
চিত্রগ্রাহক | হ্যারিস সেভিডস্ |
সম্পাদক | অ্যাঙ্গাস ওয়াল |
প্রযোজনা কোম্পানি | ফিনিক্স পিকচার্স |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৭ মিনিট |
দেশ | ![]() |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৬৫ মিলিয়ন |
আয় | $৮৪.৮ মিলিয়ন[২] |
জোডিয়াক (ইংরেজি: Zodiac)[৩][৪] হচ্ছে ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত একটি আমেরিকান রহস্য ও থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র।[৫][৬] বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও চলচ্চিত্রবোদ্ধারা একে ডেভিড ফিঞ্চারের অনবদ্য কাজ মানেন।[৭]
তিন ধরনের পেশার তিনজন ব্যক্তি, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য একটাই। রবার্ট গ্রেস্মিথ (জেক জিলেনহ্যাল) পেশায় একজন কার্টুনিস্ট, অন্যজন ডেভিড টস্কি (মার্ক রাফেলো) হল একজন গোয়েন্দা বিভাগের পুলিস অফিসার[৮] এবং পল এভ্যারি (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) হলেন একজন ক্রাইম প্রতিবেদক।[৯] এই তিনজনকে ঘিরেই নির্মাণ করা হয়েছে ডেভিড ফিঞ্চারের চলচ্চিত্র জোডিয়াক। চলচ্চিত্রের কাহিনীটি নেয়া হয়েছে রচয়িতা রবার্ট গ্রেস্মিথের লিখিত 'একি' নামক বই থেকে।[১০] এ চলচ্চিত্রটি একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।[১১]
১৯৬০ এর শেষে ও ১৯৭০ এর শুরুর দিকে জুদিয়াক নামে এক সিরিয়াল কিলার ছিল।[১২] এর আরম্ভ ১৯৬৮ সালে আমেরিকার সান ফ্রান্সিস্কো উপসাগারীয় এলাকার ভ্যালেও নামক শহরে। ১৯৬০ দশকের গ্রীষ্মের এক রাতে একজন বিবাহিত মেয়ে এবং তার সঙ্গীকে নিয়ে লাভার্স লেন এ যায়। তারা হটাত লক্ষ্য করল যে একটি গাড়ি তাদেরকে অনেক সময় ধরে অনুসরণ করছে। গাড়িটিকে দেখে খুব আতঙ্কিত হলেও মেয়েটি ছেলেটিকে কিছু করতে বারণ করে। সেই গাড়িতেই খুনি ছিল, যার গুলিতে মেয়েটি হত্যা হয়, ছেলেটি খুনির হাত থেকে কোনভাবে বেঁচে যায়। কে অথবা কারা কি-কারণেই বা তাদের হত্যা করা হলো তার কারণ কেউ জানতে পারলো না। মাত্র একমাস পর ক্রাইম প্রতিবেদক পল এভ্যারির নামে পত্রিকা অফিস থেকে একটি অজানা চিঠি এলো। চিঠির খাম খুলে পড়ার সময় 'পল' অনেকটা ভয় পেয়ে গেলেন, কারণ চিঠিটি সাংকেতিক ভাষায় লিখা ছিল এবং তা পাঠিয়েছে জুদিয়াক নামের যেকোনো একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে খুনি হিসেবে দাবি করছেন।
বেশ কিছুদিন পরে নাপা নামের অঞ্চলে আরো একটি প্রেমিক-প্রেমিকার ওপর হামলা হয়। তাদেরকে নির্মম ভাবে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। আগের খুনের মত আবারো ছেলে-মেয়ের মধ্যে মেয়েটি মৃত্যুবরণ করলেও ছেলেটি বেঁচে ফিরে। দ্বিতীয়বারের মত আরেকটি চিঠি আসে জোডিয়াক নামের ব্যক্তির কাছ থেকে। ধীরে ধীরে জোডিয়াক নামটি আতংকে ঘিরে যায় আমেরিকার ভিন্ন-ভিন্ন শহরে।
যেসব স্থানে খুনগুলো হয়েছিল ওইসব এলাকার পুলিশ নিজ নিজ দায়িত্বে তদন্তের কাজে হাত দেয়। খুনের রহস্য খোঁজ করার দায়িত্ব পায় পুলিস অফিসার ডেভিড টস্কি। এক এলাকার সাথে অন্য এলাকার যোগাযোগ কোনভাবেই গঠনমূলক হয় না। রহস্যের মূল কাহিনী খুজতে উঠে পড়ে লাগেন পুলিস অফিসার। আর সেজন্য তাকে যেখান থেকেই হোক খুঁজে বের করতে হবে খুনিকে। কিন্তু কীভাবে? অন্যদিকে, ক্রনিকল পত্রিকা এর ক্রাইম প্রতিবেদক পল এভ্যারির নামে আবারো আরেকটি জোডিয়াকের চিঠি পান হুমকিভরা। এতে তিনি আরো ভয় পেয়ে যান। কর্মগত কারণেই ঘটনার সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন তিনি, কিন্তু খুনিকে খুঁজে বের করতে তারও ইচ্ছে হয়। সে একজন ক্রাইম প্রতিবেদক, কিন্তু তিনি কীভাবে পারবে একজন সিরিয়াল খুনিকে খুঁজে বের করতে? অপরদিকে একই পত্রিকার রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট রবার্ট গ্রেস্মিথ। কেইসটি এর সাথে তার কোন প্রকার সম্বন্ধই নেই। পত্রিকা দপ্তরে কেইসটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুএ তিনি কিরকম যেন আগ্রহী হয়ে ওঠেন কিন্তু নিজের ইচ্ছাকে লুকিয়ে রাখতে হয় নিজের কর্মজীবনের জন্য। তবে ধাঁধার উত্তর খুঁজতে যে ব্যক্তি উৎসাহী অনুভূতি করে, তিনি এরকম একটি রহস্যের খোঁজে কীভাবে থেমে থাকবেন? তাই জোডিয়াককে খুঁজে বের করার জন্য তিনি একসময় সবকিছু ভুলে উত্তেজিত হয়ে পরে।