জোদাএইয়ে নাদের আয সিমিন | |
---|---|
পরিচালক | আসগর ফরহাদি |
প্রযোজক | আসগর ফরহাদি |
রচয়িতা | আসগর ফরহাদি |
শ্রেষ্ঠাংশে | লেইলা হাতামি, পেমান মোয়াদি, শাহাব হোসেইনি, সারাহ বায়াত সারিনা ফারহাদি |
সুরকার | সাত্তার ওরাকি |
চিত্রগ্রাহক | মাহমুদ কালারি |
সম্পাদক | হায়িদেহ সাফিয়ারি |
পরিবেশক | ফিল্মইরান (ইরান) সনি পিকচার্স ক্লাসিকস (যুক্তরাষ্ট্র) মিমেতো ফিল্মস (বিশ্বব্যাপী) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২৩ মিনিট |
দেশ | ইরান |
ভাষা | ফার্সি |
নির্মাণব্যয় | ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার |
আয় | ৩৬,৭৭,৪৬৪ মার্কিন ডলার(ইরান) $১,২৭,৭৭,৪৬৪ (বিশ্বব্যাপী)[১] |
জোদাএইয়ে নাদের আয সিমিন (ফার্সি:جدایی نادر از سیمین) ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইরানি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালে একাডেমী পুরস্কার পেয়েছে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে।[২] চলচ্চিত্রটির পরিচালনা এবং কাহিনি লিখেছেন আসগর ফরহাদি। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছে লেইলা হাতামি, পেয়মান মোয়াদি, সাহেব হুসাইনি, সারেহ বায়াত এবং সারিনা ফারহাদি।
নাদের এবং সিমিন বিবাহিত মধ্যবিত্ত সুখী পরিবার । তাদের ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন এবং তারমেহ নামে তাদের ১১ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে । সিমিন আরও ভাল জীবন যাপন করার জন্য তেহরান ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে চায় নাদের আর তারমেহকে নিয়ে । কারণ সিমিন চায় না তারমেহ এরকম পরিবেশে বেড়ে উঠুক । কিন্তু নাদের তার বাবা যে কিনা আলৎসহাইমারের রোগে আক্রান্ত তাকে ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না । নাদের যখন তেহরান ছাড়তে অনিচ্ছুক সিমিন তখন নাদেরকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ডিভোর্স এর আবেদন করে । কিন্তু পারিবারিক আদালত সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে সিমিনের ডিভোর্সের আবেদন নাকোচ করে দেয় কারণ আদালত ডিভোর্স দেয়ার পেছনে তেমন কোন কারণ খুঁজে পায় না । এতে সিমিন তার মেয়ে তারমেহ এবং নাদেরকে ছেড়ে তার বাবা-মায়ের কাছে চলে যায় । এভাবেই বিভিন্ন ঘটনা, দুর্ঘটনা এবং মানসিক দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে সিনেমাটি পারিবারিক জীবনের কিছু কঠিন বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে ।
২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, তেহরানে ২৯তম ফাজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হয় । ৬ দিন পর '৬১ তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটির প্রদর্শনী হয়।
২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আ সেপারেশন সারা বিশ্বে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। চলচ্চিত্রটির বাজেট ছিল ৫০০,০০০ ডলার।