জোনাথন অ্যাশমোর এফআরএস, এফআরএসবি | |
---|---|
![]() ২০১৭ সালে রয়্যাল সোসাইটিতে জোনাথন অ্যাশমোর | |
জন্ম | জোনাথন ফেলিকস অ্যাশমোর ১৯৪৮ (বয়স ৭৬–৭৭) |
মাতৃশিক্ষায়তন | সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসসি) ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন (পিএইচডি) ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (এমএসসি)[১] |
পুরস্কার | ক্রোনিয়ান লেকচার (২০১৭)[২] |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | শ্রবণ[৩][৪] জৈবপদার্থবিদ্যা[৫] |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | অ্যাসপেক্টস অব কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি (১৯৭২) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | টম কিবলে[৬] |
অন্যান্য উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | ড্যান জ্যাগার[৮] |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | অ্যানা ওয়ার্নার[৯] |
ওয়েবসাইট | inner-ear |
জোনাথন অ্যাশমোর এফআরএস এফমেডসি এফআরএসবি (জন্ম:১৯৪৮)[১০] একজন ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী ও লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের জীবপদার্থবিজ্ঞানের বার্নার্ড ক্যাটজ অধ্যাপক। [১১]
অ্যাশমোর ওয়েস্টমিনস্টার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে টম কিবলের তত্ত্বাবধানে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব নিয়ে তিনি গবেষণা করেন। [১২]
ইতালির ত্রিয়েস্তে শহরের আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্রে আবদুস সালামের[১৩] অধীনে জোনাথন পোস্টডক্টরাল গবেষণা ফেলোশিপ সম্পন্ন করার পর তিনি শারীরতত্ত্ববিদ হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ হতে মাস্টার অব সায়েন্স (এমএসসি) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৪-১৯৭৭ সালে তিনি জীবপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পল ফাট ও গারট্রুড ফকের সাথে কাজ করেন।[১৪]
অ্যাশমোর ১৯৮৩ সালে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজে পুনরায় শিক্ষকতা শুরু করেন।[১৩]
তিনি স্তন্যপায়ীদের শ্রবণ সংবেদী অঙ্গ ককলিয়ার অর্গান অব কর্টি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেন[১৫] এবং এর আলোকে কোষের অভ্যন্তরে সংঘটিত শ্রবণসংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পর্কে অভিমত প্রদান করেন। এ কাজে তিনি গিনিপিগ (Cavia porcellus) ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ককলীয় প্রবর্ধক (Cochlear amplifier) অন্তঃকর্ণের গঠনকাঠামোর মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় আমাদের শ্রবণশক্তি ও শ্রবণ-সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।[১৬] অ্যাশমোর দেখান, বহিঃস্থ কেশীয় কোষ (Outer hair cell) নামক বিশেষায়িত কোষ এতে ভূমিকা রাখে।[১৭][১৮]
বহিঃস্থ কেশীয় কোষগুলো বৈদ্যুতিকভাবে আহিত আয়নের (পটাশিয়াম আয়ন) প্রবাহের মাধ্যমে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। [১৯] সংকোচনের ফলে শব্দ বিবর্ধিত হয়। সর্বপ্রথম অ্যাশমোর এর ছবি তুলেন।
জৈবপদার্থবিজ্ঞানের পদ্ধতি ব্যবহার করে তিনি বিস্তর গবেষণা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্যাচ-ল্যাম্প কৌশল, যেটি কোষস্তরের প্রোটিন-সম্পর্কিত গবেষণার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়। কনফোকাল অণুবীক্ষণ ও গণনাকারী মডেল কাজে লাগিয়ে জোনাথন আণবিক ও কোষীয় স্তর সম্পর্কে প্রভূত আলোচনা করেন। তাঁর গবেষণা বধিরতা-সহ বিভিন্ন শ্রবণ-সংক্রান্ত সমস্যার প্রকৃতি অনুধাবনে সাহায্য করেছে।
জীবপ্রযুক্তি ও জীববিজ্ঞান কাউন্সিল (বিবিআরএসসি) ও চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিল (এমআরসি) জোনাথন অ্যাশমোরের গবেষণায় অর্থায়ন করেছে। [২০] অ্যাশমোরের অধীনে অনেক ছাত্র-ই ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- ড্যান জ্যাগার।
অ্যাশমোর ১৯৯৬ সালে রাজকীয় সমিতির ফেলো নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে বধিরতার স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে ক্রুনিয়ান ভাষণ প্রদান করেন। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞান একাডেমির একজন নির্বাচিত ফেলো। এছাড়াও তিনি রাজকীয় জীববিজ্ঞান সমিতির একজন ফেলো। অ্যাশমোর নাক-কান-গলা গবেষণা সমিতি ও জীবপদার্থবিজ্ঞান সংঘের-ও একজন সদস্য। [২১]
অ্যাশমোর "শ্রবণ গবেষণা ট্রাস্টের" ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শারীরবিদ্যা সংঘের সভাপতি হিসেবে কর্মরত আছেন।
অ্যাশমোর ফ্রান্স, ইতালি, ভারত ও ইরানে জীবপদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভাষণ প্রদান করেছেন। প্রাক-স্নাতক ও স্নাতক দুই পর্যায়েই তিনি শিক্ষকতা করছেন। তৃতীয় বর্ষে মস্তিষ্কের কার্যক্রমের কোষীয় ভিত্তি, জীববিজ্ঞানের মূলনীতি ও শ্রবণবিদ্যা বিষয়ে তিনি অনেকগুলো কোর্সের সাথে যুক্ত আছেন।[২২]
জোনাথন অ্যাশমোর অভিনেতা পিটার অ্যাশমোর ও অভিনেত্রী রোজালি ক্রাচলির ছেলে। ১৯৫৫ সালে সাত বছর বয়সে তিনি উলফ মাংকোভিটজের উপন্যাস অবলম্বনে "এ কিড ফর টু ফারদিংস" ছবিতে অভিনয় করেন। [২৩]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; orcid
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; croonian
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; ashphd
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি