ছাপাখানার বিদ্যায়, জোর হচ্ছে কোন একটি শব্দকে লেখাটির বাকি অক্ষরসমূহ হতে আলাদাভাবে লিখে চিহ্নিত করা। বক্তব্য প্রদানের সময় কোন শব্দের উপর জোরদানের সাথে এর মিল রয়েছে।
অক্ষর বোল্ড করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জোর করা হয়। ফন্টে পরিবর্তন, যেমন ইটালিকস করা, বোল্ড করা বা অক্ষর ছোট বড় করার মাধ্যমে জোর করা হয়। অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে লেখা ছোট বড় করা, দুইটি শব্দের ভেতর বিরতি প্রদান, রঙ পরিবর্তন এবং /বাড়তি বিরাম চিহ্নের/ ব্যবহার।
মানব চোখ "লেখার অভ্যন্তরীন ঔজ্জ্বল্যের রকমফের" এর প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল। সুতরাং, বাক্যের অভ্যন্তরে কালো রঙএর ঔজ্জ্বল্যের উপর ভিত্তি করে জোর প্রদানের নির্দেশনা পাওয়া যায়। জোর প্রদানের আরেকটি কৌশল হলো ইটালিকস পদ্ধতি। ইটালিকস পদ্ধতি আলোর ঔজ্জ্বল্যের কোন প্রভাব নেই, এক্ষেত্রে অক্ষরগুলোকে ডানে অথবা বামে কাত করে লেখা হয়। এই দুটি পদ্ধতির যেকোনটি ব্যবহার করে (সাধারণত টাইপফেসে যেকোন একটি দেখা যায়), কোন শব্দকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। কোন অনুচ্ছেদে বিশেষ কোন বিষয়, যেমন বিদেশী ভাষা, বইয়ের নাম, ইত্যাদি বিষয়কে উল্লেখ করা যায়।
বোল্ড করার মাধ্যমে একটি শব্দকে আসেপাশের শব্দ থেকে আরো অধিক কালো করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কোন শব্দকে আসেপাশের শব্দ থেকে বিশেষ করে উল্লেখ করা যায়। এভাবে চোখ বুলালেই গুরুত্বপূর্ণ শব্দ চোখে পড়ে। উদাহরণস্বরুপ, বিভিন্ন প্রকাশিত অভিধানে শব্দের নামকরণ বোল্ড করা হয়। তবে অন্য কোন ক্ষেত্রে বোল্ডের ব্যবহার থাকলে অনেক ক্ষেত্রে জোর প্রকাশ করতে লাইটফেস বা আরো চিকন অক্ষর ব্যবহার করা হয়। তবে এই পদ্ধতির ব্যবহার নগন্য।[১]
অনেক ক্ষেত্রে জোর প্রকাশ করতে ছোটহাতের অক্ষর ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে কোন অনুচ্ছদের প্রথম লাইনে। এর সাথে ড্রপ ক্যাপও ব্যবহার করা হয়। পুস্তকতালিকায় ব্যক্তিগত নামের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির ব্যবহার রয়েছে।
অনুচ্ছেদের অক্ষরসমূহ যদি সেরিফ টাইপফেসে লেখা হয়, তাহলে কোন শব্দকে বিশেষায়িত করতে স্যান্স সেরিফ টাইপফেস ব্যবহার করা যায়। তবে এই ব্যবহার এখন সেকেলে বলে পরিচিত কারণ আধুনিক কম্পিউটার ভিত্তিক ছাপাখানা শিল্পে দুইটি ভিন্ন ফন্ট ব্যবহারের ফলে দুইটি লাইনের দুরত্ব বিচ্ছিন্ন হতে পারে। তবে কিছু ফন্ট সুপারফ্যামিলি ব্যবহার করে এ সমস্যা এড়ানো যায়, কিন্তু আধুনিক কম্পিউটারের সাথে এটি দেয়া হয়না। জাপানী ছাপাখানা শিল্পে এখনো এই পদ্ধতির ব্যবহার রয়েছে, কারণ ভারী মিঞ্চো অক্ষরগুলো বোল্ড করলে অস্পষ্ট হয়ে যায়।
এইসকল পদ্ধতিগুলোর মধ্যে, ইটালিকস, ছোট অক্ষর ও বড় অক্ষর প্রাচীন, এবং বোল্ড ও স্যান্স সেরিফ আধুনিক যা ১৯শ শতকে আবির্ভূত হয়।
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বড়হাতের অক্ষর ব্যবহৃত হয়
ব্রিটিশ প্রকাশকরা বড়হাতের অক্ষরের ব্যবহার অনেকাংশে কম করেন। শুধুমাত্র বইয়ের নাম বড় হাতে লেখা হয়।
বোল্ড অক্ষরের সহজলভ্যতার অভাবে সম্পূর্ণ বড়হাতের অক্ষরের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। পুরাতন টাইপরাইটার, প্লেইন টেক্সট ইমেইল, এসএমএস এবং অন্যান্য টেক্সট মেসেজিং সার্ভিসে এই পদ্ধতি প্রচলিত। .
সমকালীন সংস্কৃতিতে সব বড়হাতের ব্যবহার উচ্চস্বর বা চিৎকার বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, প্রধানত কোন উদ্ধৃতির অভ্যন্তরে। আমেরিকান আইনজীবীরা বিচারবিভাগীয় দলিল-দস্তাবেজে গুরূত্বপুর্ন তথ্য নির্দেশে বড়হাতের অক্ষর ব্যবহার করেন।[২] যদিও এই পদ্ধতিটি টাইপরাইটারের যুগে প্রচলিত ছিলো এবং আধুনিক কম্পিউটারের মাধ্যমে দলিল প্রকাশের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অপ্রয়োজনীয়, তবুও কিছুসংখ্যক প্রবীণ আইনজীবী এখনো এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন।[৩][৪][৫]
জোর প্রকাশের আরেকটি পদ্ধতি হলো অক্ষরগুলোর মধ্যবর্তী ফাকা স্থান বৃদ্ধি। এর ফলে কালো রঙ বৃদ্ধি না করেই পার্থক্য সৃষ্টি করা যায়। এর ফলে বোল্ড টাইপফেসের সম্পূর্ণ বিপরীত সমাধান দেখা যায়ঃ জোর প্রকাশ করতে বেশি কালো বর্ণের পরিবর্তে আরো হালকা রঙ ব্যবহৃত হয়। ব্ল্যাকলেটার টাইপসেটিং এবং টাইপরাইটার ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির অধিক ব্যবহার থাকলেও কোনভাবেই এটি এই দুই প্রকারে সীমাবদ্ধ নয়।[৬]
জার্মান ভাষায় অক্ষরের মাঝে ফাকা স্থানকে sperren বলে। এর অর্থ " শুন্যস্থান সৃষ্টি"। লেড ব্যবহার করে টাইপসেটিং করলে, প্রিন্ট বিহীন লেডের টুকরা ব্যবহার করে দুইটি শব্দের মাঝে ফাকা স্থান রাখা যায়। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত এক ওমের আট ভাগের এক ভাগ হয়। টাইপরাইটারের ক্ষেত্রে, জোর প্রকাশ করতে দুটি অক্ষরের মাঝে ফাকা স্থান দেয়া হয়, এবং দুটি অক্ষরের আগে ও পরে ফাকা স্থান দেয়া হয়।
কালো অক্ষরভিত্তিক টাইপফেসে বোল্ড লেখা বাস্তবসম্মত নয়, কারণ স্বাভাবিক অবস্থাতেই লেখাগুলো যথেস্ট কালো। এবং বেশিরভাগ টাইপরাইটারের শুধুমাত্র একটি সাইজের লেখাই দেখা যায়। দুইটি অক্ষরের মাঝে ফাকা স্থান দেয়া নিয়মিত ঘটনা ছিলো, এছাড়াও আলাদা টাইপফেস, যেমন Fraktur এর অভ্যন্তরে Schwabacher এর ব্যবহার, অক্ষরের নিচে দাগ, বিশেষত লাল দাগ এসকল পদ্ধতিরও ব্যবহার ছিলো।
ইউরোপের জার্মান ভাষাভাষী অঞ্চলে কালো অক্ষরের সাহায্যে টাইপিং অন্যন্য যেকোন অঞ্চল থেকে অধিক সময় প্রচলিত ছিলো। সেকারণে অক্ষরমধ্যবর্তী স্থানের মাধ্যমে জোর প্রকাশ অনেকসময় একটি জার্মান অভ্যাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও ইংলিশেও এর বহুল প্রচলন রয়েছে।[৭] তবে এখনও আধুনিক বিভিন্ন ভাষায়, বিশেষ করে জার্মানে এই ধরনের জোর প্রকাশের পদ্ধতির সুপ্রচলন রয়েছে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে ইটালিকস এর অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে, এবং অন্য কোন উপায়ে জোর প্রকাশের সুযোগ নেই। অক্ষর মধ্যবর্তী ফাকা স্থানে সাহায্যে জোর প্রকাশের রীতি বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র জার্মানেই সীমাবদ্ধ।
জার্মান অর্থোগ্রাফিক (বা টাইপোগ্রাফিক) নিয়মাবলী অনুসারে বাধ্যতামূলক কালো অক্ষরভিত্তিক যুক্তাক্ষর ব্যবহৃত হয়। যার কারণে ſt, ch, ck, এবং tz এখনো একত্রে যুক্ত ß অক্ষরটির ন্যায়। অন্যদিকে অতিরিক্ত কিছু যুক্তাক্ষর, যেমন ff ও ſi এদেরকে মাঝে শুন্যস্থান দিয়ে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়। অন্যান্য লিখার ব্যবস্থায় অক্ষর-মধ্যবর্তী স্থান ব্যবহারের এত সুগঠিত নিয়মাবলীর অস্তিত্ব নেই।
সিরিলিক টাইপোগ্রাফির ক্ষেত্রে লেটারস্পেসড জোর প্রকাশের ব্যবহার প্রচলিত। তবে সিরিলিক ইটালিকস এবং ছোটহাতের অক্ষরের সহজলভ্যতার ফলে এই পদ্ধতির ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে।[৮]
পেশাদার পশ্চিমা টাইপসেটিং এ জোর প্রকাশের উদ্দেশ্যে চলমান পংক্তির অভ্যন্তরে আন্ডারলাইন করা হয় না। এটিকে দৃষ্টিকটূ বলে বিবেচনা করা হয়। তবে টাইপরাইটারের ক্ষেত্রে এখনো আন্ডারলাইনিং ব্যবহৃত হয়। গৌন জোর প্রকাশেও আন্ডারলাইনিং এর ব্যবহার রয়েছে, যেমন পাঠক গুরুত্বপূর্ণ অংশে স্বহস্তে আন্ডারলাইন করেন।
আরবি ভাষায় জোর প্রকাশ করতে অক্ষরের উপরে লাইন অঙ্কন করা হয়।[৯]
চাইনিজ ভাষায় জোর প্রকাশের জন্য আলাদা বিরাম চিহ্ন "জোর চিহ্ন" (着重號) রয়েছে। এটি একটি বিন্দু যা জোর প্রকাশে প্রতিটি অক্ষরের নিচে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি এখনো বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষা দেয়া হয়, যদিও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। এর কারণ হিসেবে কম্পিউটার সফটওয়ারের সাহায্যে এই পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ না থাকার কথা উল্লেখ করা যায়। সর্বজনগ্রাহ্য না হলেও বর্তমানে চাইনিজ ভাষায় জোর প্রকাশে বিভিন্ন পশ্চিমা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। জাপানী ভাষায় কাতাকানা ব্যবহার সঠিক না হলে "জোর বিন্দু" (圏点 or 傍点) ব্যবহৃত হয়। ভুসমান্তরাল লেখার ক্ষেত্রে কানজির এবং পার্শ্ববর্তী ফুরিঙ্গার সাথে উপরে এবং উলম্ব লেখার ক্ষেত্রে ডান পাশে স্থাপন করা হয়। জাপানী ভাষায় "জোর পঙ্কতি" (傍線) এর প্রচলন থাকলেও এর ব্যবহার নগন্য।
কোরিয়ান ভাষায় প্রতিটি হাঙ্গুল সিলেবল অংশ বা হানযার উপরে বিন্দু স্থাপন করে জোর প্রকাশ করা হয়।
আর্মেনিয়ান ভাষায় շեշտ (šešt) চিহ্ন ( ՛ ) ব্যবহৃত হয়।
ইন্টারনেটের পরিমন্ডলে জোর প্রকাশে এস্টেরিস্ক চিহ্নের ব্যবহার রয়েছে (যেমন "এটা *খুবই* খারাপ ছিলো")। এছাড়াও ক্ষুদ্র পরিসরে আন্ডারস্কোর চিহ্নও ব্যবহৃত হয় (যেমন এটা_খুবই_খারাপ_ছিলো)। যেসব সাইটে ইনপুট পদ্ধতি প্লেইন টেক্সট এ নির্ধারিত, সেসব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইসকল চিহ্নের ব্যবহারের ফলে নির্দিষ্ট লেখাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোল্ড হয়ে যায়।
জোর প্রকাশের ক্ষেত্রে রং গুরুত্বপূর্ণ। অনুচ্ছের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বাকি লেখা থেকে অন্য রং এ ছাপা যায়। উদাহরণস্বরুপ, কিছু অভিধানে শুরুর শব্দগুলোকে পৃথক রং করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তকেও উপাস্য দেব-দেবির নাম লাল অক্ষরে লেখা হয়, একে রুব্রিক বলে। ইথিওপিক বর্নমালায় লাল রং কে ল্যাটিনের ইটালিকস এর অনুরূপে ব্যবহার করা হয়।[১০]
পাঠক কর্তৃক মুদ্রণ-পরবর্তী জোর প্রকাশের ক্ষেত্রে কালো লেখার উপর বিভিন্ন রঙের হাইলাইটার ব্যবহার করা হয়।
জোর প্রকাশ বিভিন্ন গঠনে হয়। একই পরিবারের পৃথক ফন্ট দ্বারা ইটালিকস ও বোল্ড করার মাধ্যমে সঠিকভাবে জোর প্রকাশ করা যায়। যেমন Arial ফন্টে সাধারণ লেখাকে বোল্ড বা ইটালিকস সংস্করন দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। পেশাদার টাইপোগ্রাফিক সিস্টেমে, যেমন অধিকাংশ আধুনিক কম্পিউটারে ইটালিকসে প্রকাশের জন্য স্বাভাবিক লেখাটিকে ডানে কাত করা হয় না, বোল্ড করতে একই লেখা দুইবার ছাপা হয় না অথবা ছোটহাতের অক্ষরকে বড়হাতের থেকে ছোট করা হয় না। বরং এসকল ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ফন্ট ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরুপ, 'w' অক্ষরটি ইটালিকসে স্বাভাবিক অপেক্ষা পরিবর্তিত মনে হয়। ফলশ্রুতিতে, কম্পিউটার ভিত্তিক প্রকাশনা শিল্পে ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে চারটি ফন্ট প্রয়োজন হয়, সাধারণ, বোল্ড, ইটালিকস এবং বোল্ড ইটালিকস। এর মাধ্যমে সবগুলো প্রকরন সম্ভব হয়। পেশাদার টাইপফেসগুলোতে আরো বেশি প্রকরন সম্ভব, যার মধ্যে রয়েছে কালোর স্বল্পতা বা আধিক্য। এই প্রকরনের ব্যবস্থা না থাকলে স্বাভাবিক ফন্টকে পরিবর্ধন করে উক্ত বৈশিষ্টগুলো অর্জন করা সম্ভব।
আধুনিক ল্যাটিন বর্নমালার চারটি প্রকরনে, যেমন স্বাভাবিক (বা "রোমান"), ইটালিকস, বোল্ড এবং বোল্ড ইটালিকস চারটি প্রকরনে আর্বিভূত হওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা। এটি প্রচলিত হয় বিংশ শতাব্দির শুরুতে। আধুনিক "রোমান" টাইপ ১৪৭০ সালের দিকে উদ্ভাবিত হয়, এবং ইটালিকস টাইপের আবির্ভাব হয় ১৫০০ সালের আসেপাশে। জোর প্রকাশে ইটালিকসের ব্যবহার ১৭শ শতাব্দির শুরুর দিকে পরিচিতি পায়। বোল্ড টাইপফেস ১৯শ শতাব্দির পুর্বে পরিচিতি পায়নি। বোল্ড টাইপফেসের ব্যবহারের শুরুর দিকে আলাদা কোন বোল্ড অক্ষরের অস্তিত্ব ছিলোনা, সাধারণ অক্ষরকে দুইবার মুদ্রণ করে অথবা কালির ঘনত্ব বৃদ্ধি করে বোল্ড করা হতো।[১১] বোল্ড টাইপফেসের আবির্ভাবের পুর্বে মুদ্রিত বিভিন্ন বইয়ে জোর প্রকাশের ক্ষেত্রে কালো অক্ষরে পরিবর্তন করা হতো।[১২] বিভিন্ন দস্তাবেজে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতকৃত টাইপফেসে বোল্ডকৃত সংখ্যার প্রস্থ স্বাভাবিক অক্ষরের সমানই হয়। যার ফলে বোল্ডকৃত অক্ষরগুলো সংখ্যা হতে বড় দেখায়।[১৩]
ভাষাতত্বের প্রফেসর ল্যারি ট্রাস্কের মতে "জোর প্রকাশের উদ্দেশ্যে একটি সম্পূর্ণ শব্দ বা বাক্যের অংশকে বড় হাতে লেখা সম্ভব" তবে আরো উল্লেখ করেন যে "তবে সামগ্রিকভাবে, জোর প্রকাশ ইটালিকসের সাহায্যে করাই উত্তম, বড় হাতের সাহায্যে নয়।"[১৪]
The other kind of secondary type, the related bold face, is a twentieth-century creation. Although the use of bold type for emphasis in text began when display advertising became a feature of the family magazines of the mid-nineteenth century, the bold types themselves were Clarendons, Ionics and Antiques quite unrelated to the old styles and moderns used for the text. As late as 1938 the Monotype Recorder, a distinguished British journal of typography, could say, “The ‘related bold’ is a comparatively new phenomenon in the history of type cutting.”
For the record, the Clarendon type of the Besley foundry is indeed the first type actually designed as a ‘related bold’ – that is, made to harmonize in design and align with the roman types it was set with. It was registered in Britain in 1845...but the idea of a ‘bold face’ goes back much further. Before the launch of Clarendon type printers picked out words in slab-serifs or any other heavy type. In the 18th century they used ‘English’ or ‘Old English’ types, which is why they became known as ‘black letter’. John Smith says in his Printer’s grammar (London, 1755). ‘Black Letter … is sometimes used … to serve for matter which the Author would particularly enforce to the reader.’