জোসেলিন লাগার্ড | |
---|---|
Jocelyne LaGarde | |
জন্ম | জোসেলিন লাগার্ড তেতোনিরা ১৯২৪ পাপিত, তাহিতি |
মৃত্যু | ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৫৪–৫৫) পাপিত, তাহিতি |
পেশা | অভিনেত্রী |
জোসেলিন লাগার্ড (১৯২৪ - ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) একজন আদিবাসী তাহিতিয়ান অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি তার অভিনীত প্রথম ও একমাত্র চলচ্চিত্র হাওয়াই (১৯৬৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন,[১] এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন ও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।
লাগার্ড জেমস এ. মিশেনারের সর্বোচ্চ বিক্রিত উপন্যাস হাওয়াই অবলম্বনে নির্মিত বিশাল-নির্মাণব্যয়ের একই নামের (১৯৬৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটিতে ১৯শ শতাব্দীতে শ্বেতাঙ্গ মিশনারিদের দ্বীপের স্থানীয়দের নিকট খ্রিস্টধর্মের দীক্ষা নিয়ে আসার গল্প বর্ণিত হয়েছে। লাগার্ড একজন পলিনেশীয় নারী, যার সাথে চলচ্চিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের দৈহিক বৈশিষ্টের সাদৃশ্য ছিল। তিনি এর আগে কখনো অভিনয় করেননি এবং ইংরেজি ভাষা বলতে পারতেন না। তিনি কেবল অনর্গলভাবে তাহিতিয়ান এবং ফরাসি ভাষা বলতে পারতেন। তবুও মিরিশ প্রডাকশন্স তাকে বাছাই করে এবং তার চরিত্রের সংলাপ ঠিকভাবে বলার জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়।
হলিউডের তারকাদের ভিড়ে তিনি দর্শকদের আলাদাভাবে নজর কাড়তে সক্ষম হন। এই চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২] তিনি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম বিদেশি ব্যক্তি। হাওয়াই লাগার্ডের অভিনীত একমাত্র চলচ্চিত্র এবং তিনি একটি মাত্র চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অস্কারের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র অভিনেত্রী।[৩] পরবর্তীকালে অনেক অভিনয়শিল্পীই তাদের অভিষেক কাজের জন্য অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন, কিন্তু তারা এরপর আরও একাধিক ও সফল চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।[৪] অস্কারের মনোনয়ন ছাড়াও তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।[৫]
লাগার্ড ১৯৭৯ সালে তাহিতির পাপিটে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।