জোহরাবাঈ আম্বালেওয়ালী | |
---|---|
জন্ম | জোহরাবাঈ ১৯১৮ আম্বালা, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে ভারতের হরিয়াণার আম্বালা]] |
মৃত্যু | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ | (বয়স ৭১–৭২)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | গায়িকা |
কর্মজীবন | ১৯৩২-১৯৫৩ |
পরিচিতির কারণ | রতন (১৯৪৪) জিনাত (১৯৪৫) আনমোল ঘড়ি (১৯৪৬) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফকির মুহম্মদ |
জোহরাবাঈ আম্বালেওয়ালী (১৯১৮-১৯৯০) হলেন হিন্দি চলচ্চিত্রের ত্রিশ ও চল্লিশের দশকের একজন প্লেব্যাক গায়ক ও ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী। তিনি রতন (১৯৪৪) চলচ্চিত্রে তার গাওয়া 'আঁখিয়া মিলাকে জিয়া ভারমাকে' ও 'আই দিওয়ালি, আই দিওয়ালি' গানের জন্য বিখ্যাত। তিনি খুব নিচু স্বরে গান গাইতেন। চল্লিশের দশকের শেষ দিকে প্লেব্যাক জগতে লতা মুঙ্গেশকর, গীতা দত্ত, আশা ভোঁসলেদের আবির্ভাব ঘটলে তার নেপথ্য সঙ্গীত জীবনের একরকম পরিসমাপ্তি ঘটে।
তিনি ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত পাঞ্জাব প্রদেশের আম্বালায় জন্মগ্রহণ করেন, যেটি বর্তমানে হরিয়ানার অন্তর্গত। তিনি ওস্তাদ নাসির হুসেন খান ও গুলাম হুসেন খানের কাছ থেকে সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন। তিনি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের আগ্রা ঘরনায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।[১]
তের বছর বয়সে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন। তিনি সেখানে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় ঘরনার সংগীত পরিবেশন করতেন। তিনি এইচএমভির ব্যানারে কিছু ঠুমরী গানের অ্যালবামও প্রকাশ করেছিলেন।
১৯৩৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডাকু কি লড়কি চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার মাধ্যমে তিনি নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।[১] প্রথম দিকে লাহোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করলেও তিনি পরে বোম্বেতে চলে আসেন।[২] ১৯৩৩ সালে রতন চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার গাওয়া 'আঁখিয়া মিলাকে জিয়া ভারমাকে' ও 'আই দিওয়ালি, আই দিওয়ালি' গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।[৩] ঐ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক নওশাদের অধীনে আনমোল ঘড়ি (১৯৪৬), মেলা (১৯৪৮) ও জাদু (১৯৫১) চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছিলেন তিনি।[৪] ১৯৪৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জিনাত চলচ্চিত্রে 'আঁহে না ভরেঁ শিকয়াঁ না কিয়ে' গানে তিনি নূর জাহান ও কল্যাণীর সাথে প্লেব্যাক করেছিলেন, যেটি ছিল কোন মহিলার গাওয়া প্রথম কাওয়ালি। গানটি শ্রোতাদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।[৫]
শমসাদ বেগম, খুরশিদ বানো, আমিরবাঈ কর্ণাটকির সাথে তিনি একসময় বলিউড প্লেব্যাক জগতে রাজত্ব করেছেন। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে লতা মুঙ্গেশকর, গীতা দত্ত, আশা ভোঁসলেদের আবির্ভাব ঘটলে তাদের সঙ্গীত জীবন একরকম শেষ হয়ে যায়।
পঞ্চাশের দশকে তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর নিলেও তিনি তার মেয়ে রোশন কুমারীর অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতেন। রোশন কুমারী একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী ছিলেন, যিনি সত্যজিৎ রায়ের জলসাঘর (১৯৫৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[১]
জোহরাবাঈ আম্বালেওয়ালী ১৯৯০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি যেসব চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন সেগুলো হল: