জ্বালামুখী লতা | |
---|---|
জ্বালামুখী লতা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Lamiaceae |
গণ: | Clerodendrum Balf.f. |
প্রজাতি: | C. thomsoniae |
দ্বিপদী নাম | |
Clerodendrum thomsoniae Balf.f. |
জ্বালামুখী লতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Clerodendrum thomsoniae) একটি উষ্ণমন্ডলীয় লতা যা তার আকর্ষণীয় লাল-সাদা ফুলের জন্য পরিচিত। এই লতা তার সুন্দর ফুল এবং গাঢ় সবুজ, চকচকে পাতার জন্য বিশ্বব্যাপী বাগানে একটি জনপ্রিয় আলঙ্কারিক গাছ হিসেবে পরিচিত। এর ফুলগুলির উজ্জ্বল লাল দলমণ্ডল সাদা বৃতি দ্বারা আবৃত, যা পান পাতার আকৃতির মতো দেখতে।
জ্বালামুখী লতার ইংরেজিতে প্রচলিত নাম 'ব্লিডিং-হার্ট'। ব্লিডিং-হার্ট নামটি সম্ভবত এর ফুলের চেহারা থেকে এসেছে। এর ঝুলন্ত ফুল গুলিতে হার্ট বা পান আকৃতির বৃন্তপত্রগুলির নিচে রক্তাভ দলমণ্ডলের উপস্থিতিকে একটি ফোঁটা রক্তপাতের চিত্রকল্পের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই সাধারণ নামটি গাছের ফুলের অনন্য সৌন্দর্যকে ধারণ করে।
জ্বালামুখী লতা র বৈজ্ঞানিক নাম ক্লেরোডেন্ড্রাম থমসনিয়া । গণের নাম "ক্লেরোডেন্ড্রাম" গ্রিক শব্দ 'ক্লেরোস' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'ভাগ্য বা নিয়তি'। এবং "ডেন্ড্রন" অর্থ 'গাছ'। প্রজাতির নাম "থমসনিয়া" যা রেভারেন্ড উইলিয়াম কুপার থমসনকে সম্মান জানিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি নাইজেরিয়ায় একজন মিশনারি এবং চিকিৎসক ছিলেন, তিনিই তার প্রয়াত প্রথমা স্ত্রীর স্মৃতিতে গাছটির এই নামকরণের অনুরোধ করেছিলেন।
ব্লিডিং হার্ট ভাইনকে বাংলায় জ্বালামুখী লতা বলা হয়। কারণ এর ফুলকে সোজা করে দেখলে একটি জ্বালামুখীর অগ্ন্যুৎপাতের চিত্রকল্প মনে হয়। সাদা বৃন্তপত্র-গুলির মধ্যে থেকে উদ্ভাসিত লাল দলমণ্ডল যেন তুষারাবৃত জ্বালামুখী থেকে নির্গত লাভা, এবং প্রক্ষিপ্ত পুংকেশরগুলি অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্যকে আরও জীবন্ত করে তোলে। এই নামটি গাছের অনন্য সৌন্দর্যকে ধারণ করে।
প্রকার: লতা। উচ্চতা: ১৫ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
রঙের বৈচিত্র্য: সাদা বৃতি এবং উজ্জ্বল লাল দলমণ্ডল। পাপড়ি: ক্ষুদ্র পানের আকৃতির মতো। প্রস্ফুটন: বসন্ত থেকে শরৎ পর্যন্ত। পরাগায়নকারী: মৌমাছি, প্রজাপতি, এবং মথ।
প্রকার ও আকৃতি: আকর্ষণীয় গভীর শিরাযুক্ত, ছোট বড় বিভিন্ন আকারের। আকার: ডিম্বাকার। রঙ: গাঢ় সবুজ।
রং: সবুজ ফল পাকলে লাল বা কালো বর্ণে ধারণ করে। অভ্যন্তরীণ অংশ: পেকে বিদীর্ণ হলে কমলা শাঁস সহ চারটি কালো বীজ উন্মুক্ত হয়। ভোজ্য: না, মানুষের পক্ষে বিষাক্ত।
জ্বালামুখী লতা মূলত আফ্রিকার উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চল থেকে এসেছে। এই লতা বিভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে এবং বাগানের প্রাচীর, বেড়াগুলিকে ঢেকে দিতে পারে। এর সুন্দর ফুল প্রাকৃতিক পরাগায়নকারীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং এর ফল পাখিদের জন্য খাদ্য হিসেবে কাজ করে।