ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জ্যাক সিমন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্লেটন-লে-মুরস, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ২৮ মার্চ ১৯৪১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | সিমো, ফ্ল্যাট জ্যাক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৬ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৭/৬৮–১৯৮৯ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭২/৭৩-১৯৭৯/৮০ | তাসমানিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম`, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ |
জ্যাক সিমন্স, এমবিই (ইংরেজি: Jack Simmons; জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৪১) ল্যাঙ্কাশায়ারের ক্লেটন-লে-মুরস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন ‘সিমো’ ডাকনামে পরিচিত জ্যাক সিমন্স।
২৮ মার্চ, ১৯৪১ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের ক্লেটন-লে-মুরস এলাকায় জ্যাক সিমন্সের জন্ম ও সেখানেই তিনি তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। অ্যাক্রিংটন টেকনিক্যাল স্কুলে পড়াশোনা করার পর ব্ল্যাকবার্ন টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। সেখানেই নিজেকে স্বভাবসূলভ ক্রিকেটারে পরিণত করতে সচেষ্ট হন। তবে, খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে কাউন্টি দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি।
বিদ্যালয় জীবন ত্যাগ করার পরপরই ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে নিজের যোগ্যতা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। ২০ বছর বয়সের শেষদিকে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্লাব তার দিকে নজর দেয়।
১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার এবং ১৯৭২-৭৩ থেকে ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত তাসমানিয়ার পক্ষে খেলেছেন। এ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬টি সেঞ্চুরি সহযোগে ২২.৫২ গড়ে ৯,৪১৭ রান তুলেন। এছাড়াও বল হাতে ২৭.১৮ গড়ে ১,০৩৩টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন।
বেশ দেরীতে ২৮ বছর বয়সে কাউন্টি ক্রিকেটে পদচারণ ঘটে তার।[১] জ্যাক বন্ডের নেতৃত্বে ল্যাঙ্কাশায়ার বেশ সফলতা পায় ও ইংল্যান্ডের প্রধান একদিনের প্রতিযোগিতা জিলেট কাপের শিরোপা জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত একাধারে তিন বছর এ শিরোপা পায় দলটি। স্লো লেফট-আর্ম বোলার ডেভিড হিউজকে সাথে নিয়ে নিয়মিতভাবে স্পিন বোলিং করতেন ও একদিনের ক্রিকেটে বেশ সফলতা পান তারা।
৪৭ বছর বয়সে এসেও ১৯৮৮ সালে ৬৩ উইকেট দখল করেছেন তিনি। ল্যাঙ্কাশায়ারে তিনি ‘ফ্ল্যাট জ্যাক’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৮০ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন। ঐ খেলায় তিনি £১২৮,০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন। এরপূর্বে ১৯৮৫ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।
১৯৭২-৭৩ মৌসুমে তাসমানিয়ার স্থানীয় রাজ্য দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণের জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঐ সময়ে দলটি সফরকারী কোন দলের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল না। ছয়টি মৌসুম দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময়কালে তাসমানিয়াকে পূর্ণাঙ্গ প্রথম-শ্রেণীর দলের মর্যাদাপ্রাপ্তিতে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও, দলটি ১৯৭৭-৭৮ মৌসুম থেকে শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।
জ্যাক সিমন্স নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ও ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলার হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেন। সর্বদাই নিজেকে আদর্শমানের খেলোয়াড় হিসেবে ধরে রাখতে সচেষ্ট দেখান। দেখতে প্রকৃত ক্রীড়াবিদের মতো না হলেও উইকেটের কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডিং করতেন। ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সেও শারীরিক দিক দিয়ে বেশ সুগঠিত ছিলেন।
২০ বছরব্যাপী খেলোয়াড়ী জীবন আনন্দের সাথে অতিবাহিত করেন। এ সময়ে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। তবে, খুব কম সময়ই আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ঔজ্জ্বল্যহীন বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন ও নিখুঁতভাবে বোলিং করতেন। ফলে এ ধরনের বোলিং একদিনের ক্রিকেটের জন্যে বেশ মিতব্যয়ী ছিল ও রানের চাকা থমকে দিতো। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে জ্যাক সিমন্স বেশ বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। অধিকাংশ সময়ই প্রতি মৌসুমে পাঁচ শতাধিক রান ও পঞ্চাশোর্ধ্ব উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।[২]
১৯৮৯ সালের ইংরেজ মৌসুমে অর্ধ-ডজন খেলায় অংশগ্রহণের পর জ্যাক সিমন্স অবসর গ্রহণ করেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৮ সাল থেকে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, জানুয়ারি, ২০০৮ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ক্রিকেট সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পূর্বসূরী রোহন কানহাই |
তাসমানিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭৫/৭৬-১৯৭৮/৭৯ |
উত্তরসূরী ব্রায়ান ডেভিসন |
পূর্বসূরী খালিদ ইবাদুল্লা |
তাসমানিয়ার একদিনের ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭২/৭৩-১৯৭৮/৭৯ |
উত্তরসূরী ব্রায়ান ডেভিসন |