ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জ্যাক গানার হেরন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সলসবারি, রোডেশিয়া | ৮ নভেম্বর ১৯৪৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | পুত্র: ক্লিন্ট হেরন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪) | ৯ জুন ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ জুন ১৯৮৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ জুলাই ২০১৯ |
জ্যাক গানার হেরন (ইংরেজি: Jack Heron; জন্ম: ৮ নভেম্বর, ১৯৪৮) সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২] জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে রোডেশিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন জ্যাক হেরন।
১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক হেরনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অত্যন্ত প্রতিভাধর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে জ্যাক হেরনের সুনাম ছিল। লেগ সাইডে তিনি বেশ ভালো খেলতেন। এছাড়াও, কভার অঞ্চলে চমৎকার ফিল্ডিং করতেন তিনি। বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থাতেই ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত রোডেশিয়ার পক্ষে খেলেন। তবে, কারি কাপ প্রতিযোগিতায় নিজেকে মেলে ধরতে বেশ সময় নিয়েছিলেন।
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে মাঝারিসারিতে পাঁচবার ব্যাটিং করেছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতে চেয়েছিলেন। তবে, জিলেট কাপে বর্ডারের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে যাত্রা শুরু করেন। ঐ মৌসুমের ১০ খেলায় অংশ নিয়ে ৪৩.৫২ গড়ে ৮২৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ট্রান্সভালের বিপক্ষে দূর্দান্ত ১৭৫ রানের ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস উপহার দেন। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক হেরন। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। ঐ সময়ে জিম্বাবুয়ে দলের টেস্ট খেলার মর্যাদাপ্রাপ্তি ঘটেনি। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে অংশ নেন। ৯ জুন, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। আলী শাহ, গ্র্যান্ট প্যাটারসন, অ্যান্ডি পাইক্রফট, ডেভিড হটন, ডানকান ফ্লেচার, কেভিন কারেন, ইয়ান বুচার্ট, পিটার রসন, জন ট্রাইকোস ও ভিন্স হগের সাথে একযোগে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার।[৩] ২০ জুন, ১৯৮৩ তারিখে বার্মিংহামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
১৩ জুন, ১৯৮৩ তারিখে ওরচেস্টারের নিউ রোডে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে ওডিআইয়ের ইতিহাসে অন্যতম ধীরলয়ে ইনিংস খেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐ খেলায় ৭৩ বল মোকাবেলা করে ১২ রান তুলেছিলেন তিনি।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় মনোনিবেশ ঘটান। পরবর্তীতে ব্যবসায়ের দিকে ধাবিত হন। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন জ্যাক হেরন। তার সন্তান ক্লিন্ট হেরন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।