জ্যাকব জুমা | |
---|---|
দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৯ মে, ২০০৯ | |
ডেপুটি | কেগালেমা মোতলান্থে |
পূর্বসূরী | কেগালেমা মোতলান্থে |
আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৭ | |
ডেপুটি | কেগালেমা মোতলান্থে |
পূর্বসূরী | থাবো এমবেকি |
দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৪ জুন, ১৯৯৯ – ১৪ জুন, ২০০৫ | |
রাষ্ট্রপতি | থাবো এমবেকি |
পূর্বসূরী | থাবো এমবেকি |
উত্তরসূরী | ফুমজিলে মাম্বো-এনকুকা |
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৯ – ২০০৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জ্যাকব গেদলেইলেকিসা জুমা ১২ এপ্রিল ১৯৪২ ইনক্যান্দালা, সাউথ আফ্রিকা |
জাতীয়তা | দক্ষিণ আফ্রিকান |
রাজনৈতিক দল | আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস(১৯৫৯-বর্তমান) |
দাম্পত্য সঙ্গী | গারত্রুদ সিজাকেলে খুমালো (১৯৭৩-বর্তমান) কেট জুমা (১৯৭৬-২০০০)[১] এনকোজাজানা দামিনি (১৯৮২-১৯৯৮) নমপুমেলেলো নতুলি (২০০৮-বর্তমান) থোবেকা মাভিজা (২০১০-বর্তমান)[২] গ্লোরিয়া বঙ্গেকিলে এনগেমা (২০১২-বর্তমান)[৩] |
সন্তান | ২০ |
ধর্ম | প্রটেস্টেন্ট (ফুল গসপেল চার্চ অব সাউদার্ন আফ্রিকা)[৪] |
জ্যাকব গেদলেইলেকিসা জুমা (ইংরেজি: Jacob Gedleyihlekisa Zuma; জন্ম: ১২ এপ্রিল, ১৯৪২) দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাতাল প্রদেশের নান্দলা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।[৫] ২০০৯ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন।[৬][৭] ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বর্ণবৈষম্য নীতির বিপক্ষে অবস্থান করেছিলেন। সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি রবেন দ্বীপপুঞ্জের কারাগারে বেশকিছু সময় অতিবাহিত করেন।[৮]
সংক্ষেপে তিনি জেজি নামে পরিচিত।[৯]
জ্যাকব জুমা জুলুল্যান্ডের (যা বর্তমানে কোয়াজুলু-নাতাল প্রদেশ) এনকান্দালা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন।[১০] বাবা ছিলেন একজন পুলিশ, যিনি জুমাকে তরুণ অবস্থায় রেখে মারা যান। মা ছিলেন গৃহকর্মী।[১১] তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ করতে পারেননি।[১২] শৈশবে জুমা জুলুল্যান্ড এবং ডারবানের নিকটবর্তী এলাকা উমখুমবানে এলাকায় চলাফেরা করতেন।[১৩] মাইকেল এবং জোসেফ নামীয় তার দুই ভাই রয়েছে।[১৪]
জুমা বহুবিবাহে আষক্ত পুরুষ যিনি এ পর্যন্ত ছয়বার পাণিগ্রহণ করেছেন।[১৫][১৬] ২০১২ সালে ডেইলি টেলিগ্রাফের মতে জ্যাকব জুমার ২০টি সন্তান রয়েছে।[১৭] জুন, ২০১২ সালে বিরোধী দলসহ এএনসি'র কিছু নেতা অভিযোগ আনেন যে, জুমা'র স্ত্রীদের ভরণ-পোষণে রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কেননা দেশটিতে দারিদ্রতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।[১৭] ২০০৯/১০ অর্থবছরে জুমা £১.২ মিলিয়ন পাউন্ড স্ত্রীদের ভরণ-পোষণ বাবদ তিনি গ্রহণ করেছেন। এ পরিমাণ অর্থ থাবো এমবেকি এবং কেগালেমা মোতলান্থের কার্যকালীন সময়ে গৃহীত ভাতার দ্বিগুণ। নেতৃত্বস্থানীয়রা মনে করেন, একমাত্র প্রথমা স্ত্রীই কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগের অধিকারীনি।[১৭]
১৮ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে পোলোকওয়ানেতে এএনসি'র ৫২তম সম্মেলনে থাবো এমবেকিকে পরাভূত করে দলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কম্যুনিষ্ট পার্টিরও সদস্য ছিলেন।[১৮] সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দলের পলিটব্যুরোতে অবস্থান করে ১৯৯০ সালে দলত্যাগ করেন।[১৯]
২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদে তার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের জয়লাভের প্রেক্ষিতে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। জ্যাকব জুমা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি'র সভাপতি। এছাড়া, তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল মেয়াদে দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[২০]
২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক দলে যোগদানের কথা বললেও থাবো এমবেকি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।[২১] যোগদানের প্রস্তাবটি এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার উচ্চ আদালতের বিচারক ক্রিস্টোফার নিকলসন কর্তৃক এমবেকি'র অনৈতিকভাবে জাতীয় বিচারব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের উপর হস্তক্ষেপজনিত কারণসহ জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আনয়ণ সংক্রান্ত। জুমা বেশকিছু অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। তন্মধ্যে ২০০৫ সালে ধর্ষণজনিত কারণ রয়েছে; কিন্তু এতে তিনি খালাশ পান। তার অর্থনৈতিক পরামর্শক শাবির শালিকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও প্রতারণার সাথে তিনিও জড়িত রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। ৬ এপ্রিল, ২০০৯ সালে জাতীয় বিচারব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ খারিজ করে দেয় যা দৃশ্যতঃ রাজনৈতিক কারণে হয়েছে।