জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড | |
---|---|
পরিচালক | কোয়েন্টিন টারান্টিনো |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | কোয়েন্টিন টারান্টিনো |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
চিত্রগ্রাহক | রবার্ট রিচার্ডসন |
সম্পাদক | ফ্রেড রাসকিন |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬৫ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১০০ মিলিয়ন[২] |
আয় | $৪২৫.৪ মিলিয়ন[২] |
জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড কোয়েন্টিন টারান্টিনো রচিত ও পরিচালিত ২০১২ সালের পশ্চিমা ধাঁচের মার্কিন চলচ্চিত্র। আমেরিকার প্রাচীন পশ্চিম ও অ্যান্টেবেলাম যুগের আদলে নির্মিত চলচ্চিত্রটি স্পাঘেত্তি ওয়েস্টার্ন-এর খুবই আধুনিক ধরন এবং সার্জিও করবুচ্চি পরিচালিত ও ফ্রাঙ্কো নিরো অভিনীত জ্যাঙ্গো ছবিকে সম্মাননা প্রদান। এতে অভিনয় করেছেন জেমি ফক্স, ক্রিস্টফ ওয়াল্টজ, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, কেরি ওয়াশিংটন, স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন প্রমুখ।
জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্ক শহরের জিগফেল্ড থিয়েটারে প্রিমিয়ার হয় এবং ২৫ ডিসেম্বর সারা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে, যার মধ্যে ছিল ৫টি একাডেমি পুরস্কার। ক্রিস্টফ ওয়াল্টজ তার অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হন, যার মধ্যে ছিল শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা – নাট্য চলচ্চিত্রের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য বাফটা পুরস্কার, ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার। টারান্টিনো শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য একাডেমি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, ও শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী মোট $৪২৫ মিলিয়ন আয় করে , যা টারান্টিনোর সর্বোচ্চ আয়ের চলচ্চিত্র।
১৮৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ শুরুর দুই বছর আগে টেক্সাসে এইস ও ডিকি একদল দাসদের নিয়ে যাচ্ছিল। ডঃ কিং সুল্টজ তাদের পথ রোধ করে ব্রিটল ভাইদের কথা জিজ্ঞেস করে। জ্যাঙ্গো নামে একজন দাস তাদের চিনে। সুল্টজ তাকে কিনতে চাইলে এইস তাকে মানা করে এবং পিস্তল বের করলে সুল্টজ তাকে গুলি করে। সুল্টজ ডিকির কাছে জ্যাঙ্গোকে কেনার প্রস্তাব দেয় এবং তাকে কিনে বাকি দাসদের ডিকিকে মেরে পালিয়ে যেতে বলে। সুল্টজ জ্যাঙ্গোকে জানায় সে একজন দন্ত চিকিৎসক ছিল, কিন্তু বর্তমানে সে একজন বাউন্টি হান্টার। ব্রিটল ভাইদের চিনিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে সে জ্যাঙ্গোকে মুক্ত করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারা দুজন স্পেন্সার বিগ ড্যাডির বাগানে ব্রিটল ভাইদের খুঁজে পায় এবং সেখানে তাদের হত্যা করে। সুল্টজ তাকে শীত পর্যন্ত তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতে বলে। বিগ ড্যাডি তাদের খুঁজে বের হলে বোমা মেরে তার দলকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় এবং জ্যাঙ্গো বিগ ড্যাডিকে গুলি করে। সুল্টজ জ্যাঙ্গোকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং জ্যাঙ্গো তার প্রথম বাউন্টিকে খুন করে। সুল্টজ তাকে প্রথম বাউন্টির হ্যান্ডবিল পকেটে রেখে দিতে বলে। ইতিমধ্যে সুল্টজ জ্যাঙ্গোর প্রতি তার দায়বদ্ধতার থেকে তার স্ত্রী ব্রোমহিল্ডাকে খুঁজে বের করার জন্য মিসিসিপি যেতে প্রস্তুত হয়।
১৮৫৯ সালে জ্যাঙ্গো ও সুল্টজ মিসিসিপি গিয়ে খবর পায় ব্রমহিল্ডা ক্যালভিন জে. ক্যান্ডি নামে ক্যান্ডিল্যান্ড বাগান মালিকের অধীনে আছে। ক্যান্ডি দেখতে চমৎকার কিন্তু নিষ্ঠুর। সে তার দাসদের দিয়ে মান্ডিঙ্গো নামে মল্লযুদ্ধে বাধ্য করে। ডঃ সুল্টজ ও জ্যাঙ্গো গ্রিনভিলে তার সাথে দেখা করে এবং তার সেরা মল্লযুদ্ধাকে কেনার প্রস্তাব দেয়। ক্যান্ডি তাদের ক্যান্ডিল্যান্ডে আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে তারা ব্রোমহিল্ডাকে খুঁজে পায় এবং তাকে কেনার পরিকল্পনার কথা বলে। খাবার টেবিলে ক্যান্ডির বিশ্বস্ত দাস স্টিফেন কিছু একটা আঁচ করতে পেরে সে ক্যান্ডিকে সতর্ক করে দেয়। সুল্টজ ব্রোমহিল্ডাকে কিনতে চাইলে সে মল্লযুদ্ধা জোয়ের দামে তাকে কিনতে বলে। সুল্টজ সম্মত হয় এবং সমস্ত কাগজপত্র শেষে ক্যান্ডির সাথে হ্যান্ডশেক করতে পীড়াপীড়ি করেলে সে প্রত্যাখান করে। ক্যান্ডি তাদের ভয় দেখালে সুল্টজ তার সাথে হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে তাকে গুলি করে। ক্যান্ডির দেহরক্ষী বুচ সুল্টজকে ও জ্যাঙ্গো বুচকে গুলি করে। পরে জ্যাঙ্গো আরও বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করার পর বিলি ক্রাশ ব্রোমহিল্ডার মাথায় গুলি ধরে এবং স্টিফেন জ্যাঙ্গোকে থামতে বলে।
পরের দিন সকালে বিলি ক্রাশ তাকে মারতে আসলে স্টিফেন এসে জানায় ক্যান্ডির বোন লারা লি তাকে একটি খনিতে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে তাকে আমৃত্যু কাজ করতে হবে। খনির পথে যাওয়ার সময় জ্যাঙ্গো প্রহরীদের জানায় আসলে সে দাস নয়, সে একজন বাউন্টি হান্টার এবং তার প্রথম বাউন্টির হ্যান্ডবিল দেখিয়ে বলে সে তাদের আরও বেশি উপার্জনের পথ করে দিতে পারে। প্রহরীরা লোভে পরে তাকে ছেড়ে দেয় এবং তার হাতে পিস্তল তুলে দেয়। জ্যাঙ্গো প্রহরীদের খুন করে বোমা নিয়ে চলে যায়। ক্যান্ডিল্যান্ডে গিয়ে সে ক্যান্ডির আরও কিছু লককে খুন করে তার ও ব্রোমহিল্ডার মুক্তির ছাড়পত্র নিয়ে তার স্ত্রীকে মুক্ত করে। ক্যান্ডির শবযাত্রা থেকে ফিরে আসার পর দুজন দাস ছাড়া সে সবাইকে হত্যা করে এবং ক্যান্ডির বাড়ি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে ব্রোমহিল্ডাকে নিয়ে চলে যায়।
২০০৭ সালে কোয়েন্টিন টারান্টিনো স্পাঘেত্তি ওয়েস্টার্ন ধাঁচের যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-গৃহযুদ্ধের সময় নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান। তিনি এই ধরনকে দক্ষিণী বলে উল্লেখ করে এবং আমেরিকার দাসত্বপূর্ণ ভয়ংকর অতীত নিয়ে স্পাঘেত্তি ওয়েস্টার্ন ধাঁচের চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা জানায়। তিনি বলেন ছবিটি পশ্চিমা ঘরানার হলেও এতে আমেরিকা সম্পর্কে এমন কিছু বিষয় থাকবে যা আগে ছবিতে দেখানো হয় নি।[৩] টারান্টিনো পরে তার এই ধরনের কাজ করার আগ্রহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, তিনি সার্জিও করবুচ্চিকে নিয়ে একটি বই লিখতে গিয়ে এই গল্পটি তার মাথায় আসে।[৪]
টারান্টিনো ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল কাহিনী লেখা শেষ করেন এবং চূড়ান্ত গল্প দ্য ওয়েনস্টেইন কোম্পানিকে দেখান।[৫] ২০১২ সালের অক্টোবরে টারান্টিনোর সহযোগী আরজেডএ জানায় টারান্টিনো জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড দিয়ে আরজেডএ-টারান্টিনোর মার্শাল-আর্ট চলচ্চিত্র দ্য ম্যান উইথ দ্য আয়রন ফিস্টসকে ছাড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু সিডিউল জটিলতার কারণে আরজেডএ এই ছবিতে কাজ করতে পারে নি।[৬]
এই চলচ্চিত্রের একটি অনুপ্রেরণা ছিল করবুচ্চির ১৯৬৬-এর স্পাঘেত্তি ওয়েস্টার্ন ধাঁচের চলচ্চিত্র জ্যাঙ্গো। সেই ছবির জ্যাঙ্গো চরিত্রে অভিনেতা ফ্রাঙ্কো নিরোও এই ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৭] আরেকটি অনুপ্রেরণা ছিল ১৯৭৫-এর চলচ্চিত্র মানডিঙ্গো, যেখানে দাসদের অন্য দাসদের সাথে যুদ্ধ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।[৮]
জ্যাঙ্গো চরিত্রের জন্য মাইকেল কে. উইলিয়ামস ও উইল স্মিথকে নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু পরে জেমি ফক্সকে নেওয়া হয়।[৯][১০] উইল স্মিথ পরে বলেন প্রধান চরিত্র না হওয়ায় তিনি চরিত্রটিতে অভিনয় করেন নি।[১১] টাইরেস গিবসন জ্যাঙ্গো চরিত্রের অডিশন হিসেবে একটি টেপ পাঠিয়েছিলেন।[১২] গুজব ছড়িয়ে ছিল ফ্রাঙ্কো নিরো, যিনি ১৯৬৬ সালের ইতালীয় চলচ্চিত্রে মূল জ্যাঙ্গো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, ক্যালভিন ক্যান্ডি চরিত্রে অভিনয় করবেন, কিন্তু পরে তিনি একটি ছোট ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৩] নিরো বলেছিলেন তার চরিত্র হবে একজন রহস্যময় ঘোড়সওয়ারের যে জ্যাঙ্গোর স্বপ্নে আসে এবং শেষে দেখানো হয় সে জ্যাঙ্গোর পিতা, কিন্তু টারান্টিনো তা গ্রহণ করেন নি।[১৪] কেভিন কোস্টনারকে একজন মান্ডিগো প্রশিক্ষক ও ক্যান্ডির ডান-হাত এইস উডি চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়েছিল,[১৫] কিন্তু তার সিডিউল জটের কারণে তিনি অভিনয় করতে পারেন নি।[১৬] পরে কার্ট রাসেলকে এই চরিত্রের জন্য নেওয়া হয় [১৭] কিন্তু তিনিও পরে এই চরিত্র ছেড়ে দেন।[১৮] কার্ট রাসেল উডি চরিত্র ছেড়ে দিলে এই চরিত্রের জন্য আর কাউকে নেওয়া হয় নি, বরং তা ওয়াল্টন গগিনস-এর বিলি ক্রাশ চরিত্রের সাথে এক করে দেওয়া হয়।[১৯]
জোনাহ হিল স্কটি হারমোনি, একজন জুয়াড়ি যিনি ক্যান্ডির কাছে পোকার খেলায় হারে, চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু দ্য ওয়াচ ছবির সিডিউল জটের কারণে কিন্তু এই চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন নি।[২০][২১] পরে সাচা ব্যারন কোহেনকে এই চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়, তিনিও লা মিজারেবল ছবির সিডিউলের কারণে এই চরিত্র ছেড়ে দেন। ফলে স্কটি ও পোকার খেলা বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়।[২২] হিল পরে অন্য একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।[২৩] জোসেফ গর্ডন-লেভিট বলেন তিনি এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে খুবই আগ্রহী ছিলেন কিন্তু তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ডন জন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তিনি আর এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারেন নি।[২৪] একজন নির্দয় বাগান মালিক ক্যালভিন ক্যান্ডির ভূমিকায় লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এই চলচ্চিত্রেই প্রথম খল চরিত্রে অভিনয় করেন।[২৫]
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, পোশাক পরিকল্পনাকারী শ্যারেন ডেভিস বলেন বেশিরভাগ পোশাকের ধারণা নেওয়া হয় স্পাঘেত্তি ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র ও এই ধরনের কাজ থকে। জ্যাঙ্গোর পোশাকের জন্য ডেভিস ও টারান্টিনো টেলিভিশন সিরিজ বোনাজা দেখেন। তারা বোনাজার টুপি প্রস্তুতকারককে নিয়ে আসেন। ডেভিস জ্যাঙ্গোর চরিত্রকে রক-অ্যান্ড-রোল দেখাতে চেয়েছেন। জ্যাঙ্গোর সানগ্লাস ১৯৭৭ সালের দ্য হোয়াইট বাফালো থেকে অনুপ্রাণিত। জ্যাঙ্গোর ভ্যালেটের তৈরি পোশাকের ধারণা থমাস গেইন্সবোরোর ১৯৭০ সালের আঁকা তৈলচিত্র দ্য ব্লু বয় থেকে নেওয়া।[২৬]
জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড ছবির মূল চিত্রগ্রহণ শুরু হয় ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায়।[২৭] ওয়োমিংয়ে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি,[২৮] এবং ন্যাশনাল হিস্ট্রিক ল্যান্ডমার্ক এভারগ্রিন প্ল্যান্টাশন, ওয়ালেস, লুইজিয়ানায় ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত চলে।[২৯] ছবিটি অ্যানামোর্ফিক ফরম্যাট-এ ৩৫ মিমি ফিল্ম-এ ধারণ করা হয়।[৩০] ১৩০ দিন শ্যুটিং চলার পর, মূল চিত্রগ্রহণ শেষ হয় ২০১২ সালে জুলাই মাসে।[৩১]
জ্যাঙ্গো আনচেইনড ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর দ্য ওয়েনস্টেইন কোম্পানির ব্যানারে যুক্তরাষ্ট্রে ও ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি সনি পিকচার্স রিলিজিংয়ের ব্যানারে যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়।[৩২][৩৩]
ছবিটি ভারতে ২০১৩ সালের ২২ মার্চ সনি পিকচার্সের ব্যানারে মুক্তি পায়।[৩৪] ২০১৩ সালের মার্চে জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড প্রথম টারান্টিনোর চলচ্চিত্র হিসেবে চীনে পরিবেশনার অফিসিয়াল ছাড়পত্র পায়[৩৫] এবং ২০১৩ সালের ১২ মে চীনে মুক্তি পায়।[৩৬]
২০১৩ সালের ১৬ এপ্রিল জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড ছবির ডিভিডি ও ব্লু-রে ডিস্ক বের হয় এবং ডিজিটাল ডাউনলোডের সুযোগ করা হয়।[৩৭] ২০১৫ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ডিভিডি বিক্রিতে মোট $৩১,৯৩৯,৭৩৩ এবং ব্লু-রে ডিস্কে $৩০,২৮৬,৮৩৮ আয় হয় এবং মোট $৬২,২২৬,৫৭১ আয় হয়।[৩৮]
মোট ১৪৩ দিন চলার পর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহ থেকে ছবিটি ২০১৩ সালের ১৬ মে নামানো হয় এবং উত্তর আমেরিকায় মোট $১৬২,৮০৫,৪৩৪ আয় করে।[৩৯] ছবিটি আমেরিকার বাইরের দেশগুলোতে মোট $২৬২,৫৬২,৮০৪ আয় করে, যার মধ্যে $৫১,৫৯৭,৩২৩ জার্মানি, $৩৭,২৯৭,৯৭৯ ফ্রান্স, এবং $২৪,৮৯৩,৪৬২ যুক্তরাজ্য থেকে আসে, এবং বিশ্বব্যাপী মোট $৪২৫,৩৬৮,২৩৮ আয় করে।[২] ২০১৩ সালে জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড টারান্টিনোর ২০০৯ সালের ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস-এর $৩২১.৪ মিলিয়ন আয় ছাড়িয়ে তার সর্বোচ্চ আয়ের চলচ্চিত্রের স্থান লাভ করে।[৪০]
চলচ্চিত্র সমালোচনা ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস-এ ২৫৪ জন সমালোচকের সমালোচনার ভিত্তিতে চলচ্চিত্রটির রেটিং স্কোর ৮৮% এবং গড় রেটিং ৮/১০। এই ওয়েবসাইটের ভাষায়, ছবিটি 'ফ্রেশ' এবং আরও বলা হয়েছে, জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড কুয়েন্টিন টারান্টিনোর আরেকটি মাস্টারপিছ।[৪১] মেটাক্রিটিক-এ ৪২টি সমালোচনার ভিত্তিতে চলচ্চিত্রটির রেটিং স্কোর ১০০-এ ৮১, এই ওয়েবসাইটের ভাষ্যমতে যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।[৪২]
শিকাগো সান-টাইমস-এর লেখক রজার ইবার্ট ছবিটিকে ৪-এ ৪ দিয়েছেন এবং বলেছেন এটা তার দেখা সেই বছরের সেরা চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে।[৪৩] দ্য গার্ডিয়ান-এর চলচ্চিত্র সমালোচক পিটার ব্র্যাডশ ছবিটিকে ৫ স্টার দিয়েছেন এবং বলেন, টারান্টিনো এখনো জানে কীভাবে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মজা দিতে হয় এবং ছবিটি অনেকটা নিষিদ্ধ সিগারেটের মত মজাদার।"[৮]
জ্যাঙ্গো আনচেইন্ড বেশ কয়েকজন সমালোচকের সেরা দশ তালিকায় স্থান পায়।[৪৪]
|আর্কাইভের-ইউআরএল=
এর |আর্কাইভের-তারিখ=
প্রয়োজন (সাহায্য) তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭।