![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জ্যাসউইক অসি টেলর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ৩ জানুয়ারি ১৯৩২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ নভেম্বর ১৯৯৯ পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | (বয়স ৬৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১০২) | ২৬ মার্চ ১৯৫৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ জুন ২০১৯ |
জ্যাসউইক অসি টেলর (ইংরেজি: Jaswick Taylor; জন্ম: ৩ জানুয়ারি, ১৯৩২ - মৃত্যু : ১৩ নভেম্বর, ১৯৯৯) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পোর্ট অব স্পেনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন জ্যাসউইক টেলর।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাসউইক টেলরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। হাল্কা-পাতলা গড়নের অধিকারী হলেও শক্তমানের প্রাণবন্ত ফাস্ট বোলার ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতেই পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত হন। ত্রিনিদাদের পক্ষে মাত্র পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট খেলার অধিকারী ছিলেন জ্যাসউইক টেলর। ২৬ মার্চ, ১৯৫৮ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জ্যাসউইক টেলরের। একই দলের বিপক্ষে করাচীতে ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে পাকিস্তান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। ১৯৫৮ সালে কুইন্স পার্ক ওভালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। রয় গিলক্রিস্টের সাত ওভার পরপরই গোড়ালির আঘাতে কাবু হবার প্রেক্ষিতে ৩৬.৫ ওভার বোলিং যথেষ্ট উদ্যমতার সাথে সম্পন্ন করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ৫/১০৯ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত অভিষেক ঘটা ঐ টেস্টে সফরকারী পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।[৪]
১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ভারত ও পাকিস্তানে ফিরতি সফরে অবশ্যম্ভাবী যুক্ত হন। এ পর্যায়ে রয় গিলক্রিস্টের সাথে নতুন বলের জুটি গড়েন। ওয়েস হলের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে, শেষমুহুর্তে ফ্রাঙ্ক ওরেলের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে চমৎকার ফাস্ট বোলার হিসেবে ওয়েস হলের অন্তর্ভুক্তি ঘটে। এরফলে পাঁচ টেস্টের মধ্যে দুই টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন তিনি। ভারতে গিলক্রিস্টের আহত হওয়া এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে রয় গিলক্রিস্টকে দেশে ফেরৎ পাঠানোর ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এ সফরে ১৮.৩১ গড়ে ৩৫ উইকেট দখল করেন তিনি।
১৩ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ৬৭ বছর বয়সে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে জ্যাসউইক টেলরের দেহাবসান ঘটে।