জ্যোতি মহাপসেকর | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫০ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | প্রাণিবিজ্ঞান, গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্নাতক; সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর |
পেশা | গ্রন্থাগারিক, নাট্যকার ও সমাজকর্মী |
পরিচিতির কারণ | স্ত্রী মুক্তি সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা |
জ্যোতি মহাপসেকার (জন্ম আনুমানিক ১৯৫০) হলেন একজন গ্রন্থাগারিক এবং নাট্যকার। তিনি স্ত্রী মুক্তি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকার জন্য পরিচিত। তিনি নারী শক্তি পুরস্কার জিতেছেন।[১]
১৯৫০ সালের দিকে মহাপসেকরের জন্ম হয়। তাঁর বাবা-মা দুজনেই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর মা দরিদ্রদের জন্য বিদ্যালয় তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন এবং তিনি সেইরকমই দুটি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর কলেজে তিনি প্রাণিবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্নাতক হন[২] এবং পরে তিনি সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর যোগ্যতা অর্জন করেন।[৩]
১৯৭৫ সালে তিনি এবং ছয়জন মহিলা মিলে স্ত্রী মুক্তি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[২] ১৯৮৩ সালে তিনি মুলগি ঝালি হো (মেয়ে জন্ম নিয়েছে) নামে একটি নাটক লেখেন, যেটি স্ত্রী মুক্তি সংগঠনের উত্থাপিত সমস্যাগুলি নিয়ে কাজ করেছে। এটি প্রথমে মারাঠি ভাষায় অভিনীত হয়েছিল। পরে এটি অন্যান্য ভাষাতেও সঞ্চালিত হয়। নাটকটি বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি নারীর গৌণ মর্যাদার বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। কিন্তু এতে শিক্ষার যে বার্তাটি ছিল তা হলো- যদি পরিবর্তন করতে হয়, তবে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।[৪]
নাট্যকার হিসেবে জ্যোতি মহাপসেকরের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক নারী নাট্যকার নামে পরিচিত একটি সংগঠনে যোগদান করেন। তিনি নিজে একজন সংগঠক ছিলেন এবং ২০০৯ সালের নভেম্বরে মুম্বাইতে সেই বছরের আন্তর্জাতিক যে সভাটির আয়োজন করা হয়েছিল, তিনি তার আয়োজক কমিটিতে ছিলেন।[৫]
তিনি একাডেমি অফ আর্কিটেকচারের প্রধান গ্রন্থাগারিক ছিলেন কিন্তু তিনি তাঁর অন্যান্য আগ্রহগুলিতে মনোনিবেশ করার জন্য এখান থেকে অবসর নেন।[৩] তিনি স্ত্রী মুক্তি সংগঠনের সভাপতি হন।[৬] ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী শক্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য জ্যোতি মহাপসেকরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। নতুন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এই পুরস্কার প্রদান করেন। সেদিন আরও ১৪ জন নারী ও সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।[৭]
তিনি ২০১৬ সালে ল'রিয়েলস উইমেন অফ ওয়ার্থ পুরস্কারের জন্য মনোনীত ছিলেন।[৬]