জ্যোতি সুভাষ | |
---|---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী |
সন্তান | অমৃতা সুভাষ |
জ্যোতি সুভাষ হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশন এবং মঞ্চ নাটকে কাজ করেন। তিনি বালু (২০০৮) এবং গাভ্রীচা পাউস (২০০৯)-এর মতো জনপ্রিয় মারাঠি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ফুঁক (২০০৮) এবং আইয়া (২০১২)-এর মতো জনপ্রিয় বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
জ্যোতি সুভাষ মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন এবং তারপরে টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। টেলিভিশনের প্রথম দিকের কাজগুলিতেই তিনি স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি দূরদর্শনে প্রচারিত রুকমাবতী কি হাভেলি (১৯৯১) এবং জাজিরে (১৯৯২) এর মত টেলি চলচ্চিত্রগুলোতে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯১ সালে গোবিন্দ নীহালানি দ্বারা পরিচালিত রুকমাবতী কি হাভেলি অনুষ্ঠানটি স্পেনীয় নাটক দ্য হাউজ অফ বার্নার্দা আল্বা-এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত, যেটির রচয়িতা ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা। এই অনুষ্ঠানটি রুকমাবতী নামক একজন সদ্য বিধবাকে আবর্তন করে নির্মিত গল্প, যে তার পাঁচটি অবিবাহিত কন্যাকে রাজস্থানের একটি হাভেলিতে লালনপালন করে। এই অনুষ্ঠানটি প্রথমে ১৬ মিমি ফিল্ম-এ চিত্রায়িত হলেও পরে এটিকে ৩৫ মিমি ফিল্ম-এ উন্নীত করা হয়েছিল।[১] সম্প্রতি ২০০৯ সালে, এই অনুষ্ঠানটি মুম্বইয়ের ন্যাশনাল সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস (এনসিপিএ) দ্বারা একটি বিশেষ অধিবেশনে প্রদর্শন করা হয়েছিল।[২] ১৯৯৯ সালে তিনি মারাঠি টেলিভিশন নাটক রাস্তে-এ অভিনয় করেছেন; এই নাটকটি গোবিন্দ পুরুষোত্তম দেশপান্ডে দ্বারা রচিত রাস্তে-এর (যেটি একটি হিন্দি নাটক ছিল) ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছিল। হিন্দি নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন অরবিন্দ গৌর এবং সত্যদেব দুবে।[৩][৪]
২০০৪ সালে, তিনি একটি উর্দু নাটক জিস লাহোর নে দিখায়া-তে অভিনয় করেছিলেন, এটি ভারত বিভাজনের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই নাটকে লাহোরে এক বয়স্ক হিন্দু মহিলাকে ফেলে রেখে তার বাকি পরিবার ভারতে পাড়ি দিয়েছিল, এই মহিলার চরিত্রটি করেছিলেন সুভাষ। তার প্রাসাদটি একটি মুসলিম পরিবার দখল করে নিয়েছিল, যারা প্রথমে তার বিরুদ্ধাচরণ করে কিন্তু পরে তারা নিজের পরিবারে তাকে গ্রহণ করেছিল।[৫]
তিনি দাহভি ফা, দেবরাই, আমহি আসু লাড়কে, শুভ্রা কাহীর মতো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে পরিবারের প্রবীণ নারী হিসেবে বিভিন্ন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৬ সালে, তিনি সুমিত্রা ভাভে এবং সুনীল সুখথঙ্কর দ্বারা পরিচালিত মারাঠি চলচ্চিত্র নিতালে অভিনয় করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রে নীনা কুলকার্নী তাঁর সহ-অভিনেত্রী ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দেবিকা দফতরদার। এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন ড. মায়া তুলপুলে, যিনি সাহাওয়াস হাসপাতালের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা এবং শ্বেতা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এই চলচ্চিত্রটি একটি মেয়ে এবং তার চারপাশে সামাজিক কলঙ্কের কাহিনী তুলে ধরেছিল।