ঝাবুয়া রাজ্য | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||||
১৫৮৪–১৯৪৮ | |||||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত ঝাবুয়া রাজ্যের মানচিত্র | |||||||||
রাজধানী | ঝাবুয়া | ||||||||
আয়তন | |||||||||
• ১৯০১ | ৩,৪৬০ বর্গকিলোমিটার (১,৩৪০ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯০১ | ৮০,৮৮৯ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৫৮৪ | ||||||||
১৯৪৮ | |||||||||
|
ঝাবুয়া রাজ্য [১] ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি ১১ তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির মালব এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো।
রাজ্যটির সদর ও প্রশাসনিক দপ্তর ছিল ঝাবুয়া শহরে, যা বর্তমান মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ঝাবুয়া জেলায় অবস্থিত। রাজ্যটির অধিকাংশ বাসিন্দাই ছিল ভিল জাতির। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের তথ্য অনুসারে রাজ্যটির মোট বার্ষিক রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১,১০,০০০ ভারতীয় মুদ্রা। [২]
১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা কেশব দাস অথবা কিষান দাস ঝাবুয়া রাজ্যটির প্রতিষ্ঠা করেন। মোগল সম্রাট আকবর এই রাজ্যের শাসকদের রাজা উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। রাজা বাংলায় সফল অভিযান চালান এবং ঝাবুয়ার ভিল জনজাতির প্রধানকে গুজরাটে নিযুক্ত ইম্পেরিয়াল ভাইসরয়ের স্ত্রী এবং কন্যাকে হত্যা করার অপরাধে গদিচ্যুত করেন। ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে উদয়জী পাওয়ার ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দু'বছরের জন্য দখল করেছিলেন। [৩] পরে ইন্দোরের হোল্কারদের অধীনস্থ হয় এই রাজ্য। হোলকার মহারাজা ঝাবুয়াতে পুনরায় পুরাতন শাসকবর্গকে নিযুক্ত করেন। তিনি তাদের পার্বত্য এবং জঙ্গল আবৃত অঞ্চল গুলির দায়িত্ব দেন এবং রাজস্ব উৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের অনুমতি দেন। প্রশাসনিকভাবে হোলকার রাজাদের সরাসরি শাসিত অঞ্চলগুলি থেকে এক-চতুর্থাংশ রাজস্ব আদায়ের অনুমতি পায় ঝাবুয়া রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত শাসকবর্গ। রাজ্যে বংশপরম্পরায় কুড়িটি পরিবার ছিল যারা হোলকার রাজাদের ১৫০০ এবং স্থানীয় রাজাকে ২৫০০ ভারতীয় মুদ্রায় রাজস্ব দান করতো। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটির জনসংখ্যা ছিল ৫৫,০০০ জন এবং মোট রাজস্বের পরিমাণ ছিল ২২,৫০০ ভারতীয় মুদ্রা। [৪]
ব্রিটিশ শাসন জারি হওয়ার শুরুর দিকে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির ভোপাবর এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল[৫] কিন্তু খ্রিস্টাব্দের পর থেকে এটিকে মালব এজেন্সির অংশীভূত করা হয়।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর এই ঝাবুয়া রাজ্য ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীন ভারতে প্রাথমিকভাবে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই জুন এটিকে মধ্যভারত ও পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের পয়লা নভেম্বর তারিখে নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অংশীভূত করা হয়।[৬]
ঝাবুয়া দেশীয় রাজ্যের শাসক ছিলেন রাঠোর রাজপুত, তারা হিস হাইনেস রাজাসাহেব উপাধিতে ভূষিত হতেন।[২]
১৫৮৪ – ১৬০৭ | কেশব দাস (কিষান দাস) |
১৬০৭ – ১৬১০ | করণ সিং |
১৬১০ – ১৬৭৭ | মান সিং |
১৬৭৭ – ১৭২৩ | কুশল সিং |
১৭২৩ – ১৭২৭ | অনুপ সিং |
১৭২৭ – ১৭৫৮ | শিব সিং |
১৭৫৮ – ১৭৭০ | বাহাদুর সিং |
১৭৭০ – ১৮২১ | ভীম সিং |
১৮২১ – ১৮৩২ | প্রতাপ সিং |
১৮৩২ – ১৮৪০ | রতন সিং |
নভেম্বর ১৮৪১ – ১৮৯৫ | গোপাল সিং |
২৬ এপ্রিল ১৮৯৫ – ১৯৪২ | উদয় সিং |
১৯৪২ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | ঢালিপ সিং |