ঝালকাঠি | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে ঝালকাঠি জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৮′৩৫″ উত্তর ৯০°১২′০″ পূর্ব / ২২.৬৪৩০৬° উত্তর ৯০.২০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | আশরাফুর রহমান |
আয়তন | |
• মোট | ৭০৬.৭৭ বর্গকিমি (২৭২.৮৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৬,৮২,৬৬৯ |
• জনঘনত্ব | ৯৭০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৯.৪৪% [২] |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৪২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি জেলা বা অঞ্চল। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত।
ঝালকাঠি পূর্বে পিরোজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। [৩] ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনী কর্তৃক কুলকাঠিতে ১৭ জন মুসলমান নিহত হন। স্থানীয় দাঙ্গা নিরসন ও শৃঙ্খলা প্রদানের জন্য ১৮৮২ সালে ঝালকাঠিতে একটি পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। কিছু স্থানীয় রাজাকার এর সহায়তায় ১৬ই জুন ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের হত্যা করে। স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি থানাকে পিরোজপুর জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয়। [৩] [৩]
এ উপজেলার মোট আয়তন ৭৫৮.০৬ বর্গকিলোমিটার[৪]। ঝালকাঠি উপজেলার উত্তর ও পূর্বে বরিশাল জেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর জেলা, দক্ষিণে বিষখালী নদী ও বরগুনা জেলা।
ঝালকাঠি জেলা ৪টি উপজেলা, ৪টি থানা, ২টি পৌরসভা, ৩২টি ইউনিয়ন, ৪০০টি মৌজা, ৪৪৯টি গ্রাম ও ২টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
ঝালকাঠি জেলায় মোট ৪টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
ক্রম নং | উপজেলা | আয়তন (বর্গ কিলোমিটারে) |
প্রশাসনিক থানা | আওতাধীন এলাকাসমূহ |
---|---|---|---|---|
০১ | কাঁঠালিয়া | ১৫১.৩০ | কাঁঠালিয়া | ইউনিয়ন (৬টি): চেঁচরী রামপুর, পাটিখালঘাটা, আমুয়া, কাঁঠালিয়া, শৌলজালিয়া এবং আওরাবুনিয়া |
০২ | রাজাপুর | ১৬৪.৫৯ | রাজাপুর | ইউনিয়ন (৬টি): সাতুরিয়া, শুক্তাগড়, রাজাপুর, গালুয়া, বড়ইয়া এবং মঠবাড়ী |
০৩ | ঝালকাঠি সদর | ১৫৯.৪৬ | ঝালকাঠি সদর | পৌরসভা (১টি): ঝালকাঠি |
ইউনিয়ন (১০টি): গাভা রামচন্দ্রপুর, বিনয়কাঠী, নবগ্রাম, কেওড়া, কীর্তিপাশা, বাসণ্ডা, পোনাবালিয়া, গাবখান ধানসিঁড়ি, শেখেরহাট এবং নথুল্লাবাদ | ||||
০৪ | নলছিটি | ২৩১.৪৩ | নলছিটি | পৌরসভা (১টি): নলছিটি |
ইউনিয়ন (৯টি ও ১টির আংশিক): ভৈরবপাশা, মগড়, কুলকাঠী, রানাপাশা, সুবিদপুর, কুশঙ্গল, নাচনমহল, সিদ্ধকাঠী, দপদপিয়া (আংশিক) এবং মোল্লারহাট | ||||
বন্দর | ইউনিয়ন (১টির আংশিক): দপদপিয়া (আংশিক) |
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১২৫ ঝালকাঠি-১ | কাঁঠালিয়া উপজেলা এবং রাজাপুর উপজেলা | শূণ্য | |
১২৬ ঝালকাঠি-২ | ঝালকাঠি সদর উপজেলা এবং নলছিটি উপজেলা | শূণ্য |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ঝালকাঠি জেলার মোট জনসংখ্যা ৬,৮২,৬৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩,২৯,১৪৭ জন এবং মহিলা ৩,৫৩,৫২২ জন। মোট পরিবার ১,৫৮,১৩৯টি।[১১]
২০২৪ তথ্য অনুযায়ী ঝালকাঠি জেলার সাক্ষরতার হার ৫৯.৪৪%।[১১]
প্রধান ফল: আম, কলা, জলপাই, কাঠাল তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা, পান।
শিল্প-কারখানা: বরফ কল, ময়দার কল, লবণ কারখানা, রাইস মিল, তেলের কল, বিড়ি কারখানা।
কুটির শিল্প: গামছা শিল্প, মৃৎশিল্প।
সুজাবাদ কেল্লা, ঘোষাল রাজবাড়ী, পুরাতন পৌরসভা ভবন, মাদাবর মসজিদ, সুরিচোরা জামে মসজিদ, ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসা, গাবখান সেতু, কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, শের-ই বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ, বিনয়কাঠি, আটঘর নৌকা বাজার, ভীমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার, পেয়ারা বাগান,কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি
হাসপাতাল ২ টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ২২ টি।
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)।
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |