ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টমাস উইলিয়াম কার্টরাইট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অল্ডারম্যান্স গ্রীন, কভেন্ট্রি, ইংল্যান্ড | ২২ জুলাই ১৯৩৫||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ নিথ, গ্ল্যামারগন, ওয়েলস | (বয়স ৭১)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | নেইল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪২৪) | ২৩ জুলাই ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ আগস্ট ১৯৬৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৭ | গ্ল্যামারগন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭০ -১৯৭৬ | সমারসেট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫২ - ১৯৬৯ | ওয়ারউইকশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ |
টমাস উইলিয়াম কার্টরাইট, এমবিই (ইংরেজি: Tom Cartwright; জন্ম: ২২ জুলাই, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ৩০ এপ্রিল, ২০০৭) কভেন্ট্রির অল্ডারম্যান্স গ্রীন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগন, সমারসেট ও ওয়ারউইকশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন ‘নেইল’ ডাকনামে পরিচিত টম কার্টরাইট।
খরাপ্রবণ কভেন্ট্রির অল্ডারম্যান্স গ্রীনের খনি কুটিরে টম কার্টরাইটের জন্ম। তিন জ্যেষ্ঠ ভগ্নীসহ তিনি পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। মেথডিস্ট পিতা রিলি মোটর গাড়ি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মাতামহ খনি শ্রমিক ছিলেন। সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে গড়ে উঠা পরিবারটিতে বেশ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ছিল। কভেন্ট্রির মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফক্সফোর্ড স্কুলে পড়াশুনো করেন। ফুটবল ও ক্রিকেটে বিদ্যালয় ও কভেন্ট্রির বিদ্যালয়গুলোর গঠিত দলে অধিনায়কত্ব করেন। অ্যাস্টন ভিলায় রাইট-উইঙ্গার হিসেবে যাচাই-বাছাইয়ে খেলায় অংশ নেন। তবে, রুটস মোটর গাড়ি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে শুরু করেন।
১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত টম কার্টরাইটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই সমারসেট ও ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে ১,৬০০-এর অধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। অবশ্য শুরুতে তিনি শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সাতটি শতরানের ইনিংসসহ একটি দ্বি-শতরানের ইনিংস রয়েছে তার।
১৭ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে যোগ দেন। ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ও ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। পরবর্তীকালে কিছুটা নিচেরসারিতে চলে যান ও অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে বোলার হিসেবে আবির্ভূত হন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ সফলতা লাভ করেছেন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ওয়ারউইকশায়ার, ১৯৭০ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সমারসেট এবং ১৯৭৭ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলেছেন।
১৯৫২ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ওয়ারউইকশায়ারের শেষ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে টম কার্টরাইটের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ঐ খেলায় তিনি ৮২ ও অপরাজিত ২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সাড়ে সতেরো বছর বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে এ সংগ্রহটিই অদ্যাবধি সর্বোচ্চ রানের মর্যাদা পাচ্ছে।
১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সময়কালে শোবারিনেসে রয়্যাল আর্টিলারিতে ন্যাশনাল সার্ভিস পালন করেন। ১৯৫৫ সালে লর্ডসে আর্মি’র সদস্যরূপে নেভি’র বিপক্ষে খেলেন ও কম্বাইন্ড সার্ভিসেসের সদস্যরূপে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে দুই খেলায় তিনটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন।
১৯৬২ সালে সাতটি প্রথম-শ্রেণীর শতরান করেন। তন্মধ্যে, মিডলসেক্সের বিপক্ষে ২১০ রান তুলেছিলেন তিনি। আট মৌসুমে শত উইকেট ও তিন মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৬২ সালে অল-রাউন্ডারদের ডাবল লাভ করেন। এ পর্যায়ে ১০৬ উইকেট ও ১১৭৬ রান তুলেছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ১৩.৮৫ গড়ে ১০০ উইকেট পান। ১৯৬৬ ও ১৯৬৮ সালে ওয়ারউইকশায়ার দলের সদস্যরূপে জিলেট কাপের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।
ওয়ারউইকশায়ার ছেড়ে পরবর্তীতে সমারসেটে চলে যান। এ পর্যায়ে তিনি ওভার প্রতি দুই রানের কম খরচ করতেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টম কার্টরাইট। ২৩ জুলাই, ১৯৬৪ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৫ আগস্ট, ১৯৬৫ তারিখে নটিংহামে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
জুলাই, ১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টের মাধ্যমে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান। তবে, ঐ টেস্টে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বব সিম্পসন তার ত্রি-শতক ইনিংসের কারণে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন।[২] অস্ট্রেলিয়ার সংগৃহীত ৬৫৬/৮ রানের বিপরীতে তিনি ৭৭ ওভারে ২/১১৮ লাভ করেন। এ পর্যায়ে তিনি দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে বোলিং করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। উভয় দলই তাদের প্রথম ইনিংসে ছয় শতাধিক রান সংগ্রহ করলে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়। ওভালের পঞ্চম টেস্টেও তার অংশগ্রহণ ছিল। ৬২ ওভারে ২৩ মেইডেন সহযোগে ৩/১১০ লাভ করেন তিনি।[৩]
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমের শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। কিন্তু, মেটাটরসাল হাঁড় ভেঙ্গে গেলে জোহেন্সবার্গে সিরিজের চতুর্থে টেস্টে তিনি অংশ নিতে পারেননি।[৪] পরবর্তী গ্রীষ্মে এজবাস্টনের সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হন।[৫] কিন্তু এরপর তিনি পুনরায় আঘাতের কবলে পড়েন ও পরের কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন।
১৯৬৫ সালের শেষদিকে ট্রেন্ট ব্রিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজস্ব শেষ টেস্টে অংশ নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/৯৪ দাঁড় করান।[৬] তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে নিজের ফিরতি ক্যাচ তালুবন্দী করাকালীন ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে আঘাত পান ও ভেঙ্গে যায়। এরফলে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বোলিং করতে পারেন। এরপর, আর তাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি।
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনকল্পে তাকে ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, শেষ মুহূর্তে কাঁধের আঘাতের কবলে পড়লে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে স্বীয় নাম প্রত্যাহার করে নেন ও ব্যাসিল ডি’অলিভেইরাকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় এবং দলে তার অন্তর্ভুক্তির ফলে বিতর্কিত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে, দক্ষিণ আফ্রিকার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সূত্রপাত ঘটে।
১৯৬৯ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে নিজস্ব সর্বশেষ খেলায় অংশ নিয়ে ৮/৯৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর মিলফিল্ড স্কুলে কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ওয়ারউইকশায়ারে কোচের পদ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাতে থাকেন ও সমারসেটের মিলফিল্ড স্কুলে কোচের পদে যুক্ত হন। সেখানে তিনি তরুণ ইয়ান বোথামকে সুইং বোলার হিসেবে রূপান্তরে ভূমিকা রাখেন।[১]
১৯৭৬ সালে তার শারীরিক সুস্থতার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলে সমারসেট ত্যাগ করেন। পরের বছর গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলেন। অবশেষে কোচিংয়ে মনোনিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর, ওয়েলসের সাথে যুক্ত থাকার পর গ্ল্যামারগনের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। এ দলের পক্ষেই ১৯৭৭ সালে খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি টানেন।
পেশাদারী পর্যায়ের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সময়কালে গ্ল্যামারগনের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন। ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ হন। এরপর, ওয়েলস জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। ২০০০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তার এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এমবিই উপাধিতে ভূষিত হন। এছাড়াও, ন্যাশনাল কোচিং ফেডারেশনের হল অব ফেমে প্রথম ক্রিকেট কোচ হিসেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত অনেকগুলো বছর অনূর্ধ্ব-১৬ দলের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন।
সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে ব্রডহাফপেনি ডাউন এলাকায় ৭০ বছর বয়সে সর্বশেষ ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯৬০ সালে জোয়ান রিস নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
মার্চ, ২০০৭ সালে হৃদযন্ত্র ক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। এর এক মাস পর ৩০ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে ৭১ বছর বয়সে গ্ল্যামারগনের নিথ এলাকায় হৃদযন্ত্র ক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে টম কার্টরাইটের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে রেখে যান। তন্মধ্যে, জোয়ান রিস ২৮ মার্চ, ২০১৭ তারিখে পরলোকগমন করেন। এপ্রিল, ২০০৭ সালে স্টিফেন চক ‘টম কার্টরাইট: দ্য ফ্লেম স্টিল বার্নস’ শীর্ষক আত্মজীবনী প্রকাশ করেন।
বেশ ধূর্ততার সাথে টম কার্টরাইট মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে আবির্ভূত হন। বলে নিখুঁততার ভাব বজায় রাখার পাশাপাশি অপরিসীম ধৈর্য ও পূর্ণাঙ্গ শক্তি প্রয়োগে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এরফলে, তিনি যে-কোন বয়সের তুলনায় নিজেকে এগিয়ে রেখেছিলেন। ছয় ফুটের কিছুটা কম উচ্চতা ও শীর্ণকায় গড়নের অধিকারী ছিলেন।
ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, টম কার্টরাইট ব্যতিক্রমধর্মী বোলার ছিলেন। ইংল্যান্ড দলে তিনি তার প্রতিভা বিকশিত করতে পারেননি। এরজন্যে বেশ কিছু অংশ দল নির্বাচকমণ্ডলীর কারণে হয়েছে। ইংল্যান্ড দল প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে অতিরিক্ত পেস চেয়েছে।[১]