টমাস পেইন Thomas Paine | |
---|---|
জন্ম | ফেব্রুয়ারি ৯, ১৭৩৭[Note ১] |
মৃত্যু | জুন ৮, ১৮০৯ নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাস্ট্র | (বয়স ৭২)
যুগ | ১৮শতকের দর্শন |
ধারা | এনলাইটেনমেন্ট, স্বাতন্ত্র্যবাদ, রিপাবলিকবাদ |
প্রধান আগ্রহ | রাজনীতি, নীতিশাস্ত্র, ধর্ম |
স্বাক্ষর | |
টমাস পেইন (ইংরেজি: Thomas Paine) (ফেব্রুয়ারি ৯, ১৭৩৭ - জুন ৮, ১৮০৯)[Note ১][Note ২][Note ৩]) ছিলেন একজন ইংরেজ ও আমেরিকান রাজনৈতিক কর্মী, দার্শনিক, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক এবং বিপ্লবী। আমেরিকান বিপ্লবের শুরুর দিকে দুটি অত্যন্ত প্রভাবনমূলক প্যাম্ফলেট বা পুস্তিকা রচনার মধ্য দিয়ে তিনি বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করেন। পরবর্তীকালে ১৭৭৬ সালে বৃটেনের কাছ থেকে আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচনার ক্ষেত্রে এই প্যাম্ফলেটের অনন্য ভূমিকা অনস্বীকার্য। [১] নবজাগরণের যুগে তার ধারণা বহুজাতিক মানবাধিকারকে প্রতিফলিত করে। [২]
ইংল্যান্ডের নরফোক কাউন্টির থেটফোর্ডে জন্ম নেয়া "পেইন" ১৭৭৪ সালে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের সাহায্য নিয়ে বিপ্লবে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আমেরিকায় পাড়ি জমান। বিদ্রোহীদের মধ্যে তার লেখার এতটাই প্রভাব ছিল যে জানা যায়, বলতে গেলে প্রায় সব বিদ্রোহীই তার সর্বাধিক বিক্রিত প্যাম্ফলেট কমন সেন্স (১৭৭৬) পড়েছিলেন।[৩][৪] আমেরিকান শিরোনামে তিনি আরও একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন, যেখানে আমেরিকার বিদ্রোহীদের গ্রেট বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার দাবি প্রতিফলিত হয়। তার আমেরিকান ক্রাইসিস (১৭৭৬–৮৩) ছিল আরো একটি অন্যতম বিপ্লবাত্মক প্যাম্ফলেট সিরিজ। এছাড়াও কমন সেন্স এর প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে জন অ্যাডামস বলেছেন,“ "কমন সেন্স" লেখকের কলম ছাড়া ওয়াশিংটনের তরবারি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতো ” [৫]
১৭৯০ সালে পেইন ফ্রান্সে বসবাস করতেন, এবংএ সময় তিনি ফরাসি বিপ্লবের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। সমালোচকদের জবাব দিতে বিপ্লবের পক্ষাবলম্বন করে তিনি রাইটস অফ ম্যান (১৭৯১) লিখেছিলেন। ১৭৯২ সালে ফরাসি বিপ্লবে সমর্থন জানিয়ে লিখিত তার পুস্তিকায় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য এবং ব্রিটিশ উপনিবেশের জন্য হুমকি এমন তথ্য রয়েছে বলে, ইঙ্গ-আইরিশ লেখক, রাজনৈতিক এডমান্ড বার্ক পেইনের অনুপস্থিতিতে বিচারিক আদালতে তাকে অভিযুক্ত করেছিলেন। এছাড়া ১৭৯২ সালে ফরাসি-ভাষী না হওয়া সত্ত্বেও তিনি ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জিরোন্ডিস্ট্রা এসময় তাকে মিত্র আর মন্টেংগ্নার্ড্রা বিশেষকরে রবেস্পিয়েরে তাকে শত্রু মনে করতেন।
ডিসেম্বর ১৭৯৩ সালে পেইন প্যারিসে গ্রেফতার ও কারাবন্দী হন এবং ১৭৯৪ সালে তিনি মুক্তি পান। দি এজ অফ রিজন (১৭৯৩–৯৪), নামে প্রকাশিত প্যাম্ফলেটে কার্য-কারণ, মুক্ত চিন্তা ও একাত্নবাদের পক্ষে এবং সাধারণের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মচর্চা এবং খ্রীষ্টান মতবাদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের কারণে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। এগ্রারিয়ান জাস্টিস (১৭৯৭), প্রকাশে করে সম্পত্তির উৎপত্তি ও নূন্যতম আয় নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে ধারণা দেন। ১৮০২ সালে পেইন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন, সেখানেই জুন ৮, ১৮০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। খ্রীষ্টান ধর্মের অবমাননার কারণে মাত্র ছয়জন লোক তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল।[৬]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Hitchens
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিকাজ