টমাস ফ্রিড্ম্যান | |
---|---|
জন্ম | টমাস লরেন ফ্রিড্ম্যান জুলাই ২০, ১৯৫৩ সেন্ট লুইস পার্ক, মিনেসোটা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | ব্র্যানডেইস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ) সেন্ট অ্যান্টনিস কলেজ, অক্সফোর্ড (এম.ফিল) |
পেশা | সাংবাদিক, কলাম লেখক |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যান বাকসবম |
সন্তান | ২ |
আত্মীয় | ম্যাথু বাকসবম (শ্বশুর) |
ওয়েবসাইট | thomaslfriedman |
টমাস লরেন ফ্রিড্ম্যান (ইংরেজি: Thomas Friedman টমাস্ ফ্রীড্ম্যান্) বিশিষ্ট মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক। তিনি বহু বছর যাবত দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লিখে আসছেন। বিশ্ব রাজনীতি, মধ্য প্রাচ্য সংকট, বিশ্বায়ন (globalization) ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি করে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি তিনবার পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেন।
ফ্রিড্ম্যান ১৯৫৩ সালের ২০শে জুলাই মিনেসোটার মিনেয়াপোলিসে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা হ্যারল্ড অ্যাবি ফ্রিডম্যান এবং মাতা মার্গারেট ব্লাঞ্চ।[২] হ্যারল্ড বল বেয়ারিং কোম্পানি ইউনাইটেড বেয়ারিংয়ের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৩ সালে টমাসের যখন নয় বছর বয়স, তখন তার পিতা মারা যান। মার্গারেট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্হস্থ অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি ২০০৮ সালে মারা যান। টমাসের দুই বড় বোন রয়েছে, তারা হলেন শেলি ও জেন।
ফ্রিডম্যান স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ব্যুরো অব ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালে যোগ দেন। তিনি পরের বছর বৈরুত চলে যান এবং সেখানে ১৯৭৯ সালের জুন থেকে ১৯৮১ সালের মে পর্যন্ত অবস্থান করেন ও লেবানীয় গৃহযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি প্রতিবেদক হিসেবে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ যোগ দেন এবং ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি আক্রমণকালে পুনরায় বৈরুত পৌঁছান। যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ, বিশেষ করে সাবরা ও শাটিলা গণহত্যার সংবাদের জন্য[৩] তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর লরেন জেনকিন্সের সাথে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন শাখায় পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেন।[৪] এছাড়া তিনি ডেভিড কে. শিপলারের সাথে যৌথভাবে বিদেশি প্রতিবেদন শাখায় জর্জ পোক পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৮৪ সালে ফ্রিডম্যানকে জেরুসালেম পাঠানো হয়, সেখানে তিনি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর জেরুসালেম ব্যুরো প্রধান হিসেবে ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এই বছর তিনি প্রথম ফিলিস্তিনি ইনটিফাডার সংবাদ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন শাখায় তার দ্বিতীয় পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেন।[৪] তিনি তার মধ্যপ্রাচ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফ্রম বৈরুত টু জেরুসালেম শীর্ষক একটি বই লিখেন,[৫] যা ১৯৮৯ সালে অ-কল্পসাহিত্য বিভাগে ইউ.এস. ন্যাশনাল বুক পুরস্কার অর্জন করে।[৬]
ফ্রিডম্যান অ্যান বাকসবমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অ্যান একজন শিক্ষিকা এবং শপিং মল এম্পায়ারের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথু বাকসবমের কন্যা।[৭] ফ্রিডম্যান দম্পতির ওর্লি ও ন্যাটালি নামে দুই সন্তান রয়েছে।
ফ্রিডম্যান ২০১৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের সমর্থন করেন,[৮] এবং ২০২০ সালের প্রারম্ভিক নির্বাচনে মাইকেল ব্লুমবার্গের সমর্থন করেন।[৯][১০]
ফ্রিডম্যান ম্যারিল্যান্ডের রকভিলের কোল শ্যালমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[১১] তিনি ২০২০ সালে মে মাসে চালু হতে যাওয়া ভাষার প্রতি উৎসর্গীকৃত ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক জাদুঘর প্ল্যানেট ওয়ার্ডের পরিচালক মণ্ডলীর একজন।[১২]