ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | থমাস হেন্ডেরসন ডোচার্টি | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ (গোল) | |
১৯৪৭-১৯৪৯ ১৯৪৯-১৯৫৮ ১৯৫৮-১৯৬১ ১৯৬১-১৯৬২ |
সেল্টিক প্রেস্টন নর্থ এন্ড আর্সেনাল চেলসি |
? (?) ৩২৩ (৫) ৮৩ (১) ৪ (0) | |
জাতীয় দল | |||
১৯৫১-১৯৫৯ | স্কটল্যান্ড | ২৫ (১) | |
পরিচালিত দল | |||
১৯৬১-১৯৬৭ ১৯৬৭-১৯৬৮ ১৯৬৮ ১৯৬৮-১৯৭০ ১৯৭০-১৯৭১ ১৯৭১-১৯৭২ ১৯৭২ ১৯৭২-১৯৭৭ ১৯৭৭-১৯৭৯ ১৯৭৯-১৯৮০ ১৯৮১ ১৯৮১-১৯৮২ ১৯৮২-১৯৮৩ ১৯৮৩ ১৯৮৪-১৯৮৫ ১৯৮৭-১৯৮৮ |
চেলসি রদারহাম ইউনাইটেড কুইন্স পার্ক রেঞ্জারস অ্যাস্টন ভিলা এফসি পোর্তো হাল সিটি স্কটল্যান্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডার্বি কাউন্টি কুইন্স পার্ক রেঞ্জারস সিডনি অলিম্পিক প্রেস্টন নর্থ এন্ড সাউথ মেলবোর্ন সিডনি অলিম্পিক উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স অ্যালট্রিঙ্কাম | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
থমাস হেন্ডেরসন ডোচার্টি (জন্ম ২৪ আগস্ট, ১৯২৮, গোর্বালস, গ্লাসগো ), সাধারণত টমি ডোচার্টি অথবা "দ্য ডক" নামেই বেশি পরিচিত, হচ্ছেন একজন স্কটিশ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।
শেটলেস্টন জুনিয়র্সের হয়ে টমি ডোচার্টির ফুটবল জীবন শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে তাকে হাইল্যান্ড ইনফ্যান্ট্রিতে জাতীয় সেবার জন্য ডাকা হয়। জাতীয় সেবা শেষ করার সময় তিনি ফুটবলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতেন। সেনাজীবন শেষ করে ডোচার্টি ১৯৪৭ সালে সেল্টিকে যোগ দেন।
দুবছর সেল্টিকে থাকার পর ১৯৪৯ সালের নভেম্বরে তিনি প্রেস্টন নর্থ এন্ডে যোগ দেন। এখানেই তার খেলোয়াড়ী জীবনের পরিস্ফুটন ঘটে। ১৯৫৪ সালের এফএ কাপ ফাইনাল খেলা ছাড়াও এসময় তিনি ৩০০ এর অধিক ম্যাচ খেলেন।
প্রেস্টন নর্থ এন্ডে থাকাকালীন তিনি স্কটল্যান্ডের পক্ষে সুইডেনে অনুষ্ঠিত ১৯৫৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপ খেলতে যান। বিশ্বকাপের পর তিনি দলবদল করে আর্সেনালে যোগ দেন এবং এখান থেকেই ১৯৬১ সালে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হয়। অবশ্য পরে তিনি চেলসির হয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন।
১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ফুটবল কোচ হবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সচেষ্ট হন। তিনি চেলসিকে খেলোয়াড়-কোচ হওয়ার প্রস্তাব করেন এবং ১২ মাসের মধ্যেই চেলসির দায়িত্বগ্রহণ করেন। চেলসি লীগে টিকে থাকতে পারেনি এবং ১৯৬১-৬২ মৌসুম শেষে তারা দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়।
ভাল পরিকল্পনা করতে না পারলেও ডোচার্টির মূল শক্তি ছিল প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুজে বের করা এবং তাদের উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা। তার নেতৃত্বে চেলসি প্রথম প্রচেষ্টাতেই প্রথম বিভাগে উঠে আসে এবং পরের বছর ৫ম স্থান দখল করে। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে চেলসির সামনে ত্রয়ী জেতার সুযোগ চলে আসে। তারা লীগ ও লীগ কাপ জিতলেও এফএ কাপ জিততে ব্যর্থ হয়।
একসময় দলের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তিনি দলকে এফএ এবং ফেয়ার্স কাপ সেমি-ফাইনালে উন্নীত করেন। অক্টোবরে তিনি ইস্তফা দেন এবং ডেভ সেক্সটন তার স্থলাভিষিক্ত হন। পরের মাসে তিনি রদারহাম ইউনাইটেডের ম্যানেজার হন এবং একবছর পর কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের দায়িত্ব নেন। আত্র ২৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করে অ্যাস্টন ভিলার ম্যানেজার হন। এখানে তিনি তের মাস কাটিয়েছিলেন।
১৯৭০ সালের ১৯ জানুয়ারি অ্যাস্টন ভিলা দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেলে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর চার মাসের জন্য তিনি এফসি পোর্তোর ম্যানেজার হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২ জুলাই তিনি হাল সিটির দায়িত্ব পান কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর সে দায়িত্ব ত্যাগ করে স্কটল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেন। নভেম্বর মাসে তিনি এই পদে স্থায়ী হন।
১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে ফ্রাঙ্ক ও'ফেরেলকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়, এবং ডোচার্টি এর ম্যানেজার নিযুক্ত হন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ডোচার্টির বর্ণাঢ্য বরনের সময় ধারণা করা হয়েছিল যে কাপজয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রত্যাবর্তন ঘটবে। ডোচার্টি এখানে বিতর্কিত হয়েছেন বললেও কম বলা হবে। ইউনাইটেড দুর্দশার মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে প্রথম বিভাগে থেকে যায়। অবশ্য পরের বছর ইউনাইটেড দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়।
পরের মৌসুমে ইউনাইটেড ঘুরে দাড়ায় এবং ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে দল প্রথম বিভাগে তৃতীয় স্থান লাভ করে। তারা এফএ কাপের ফাইনালে উঠলেও বিশ্ময়জনকভাবে সাউদাম্পটনের কাছে হেরে যায়। ডোচার্টি এক বছর পর দলকে আবার ফাইনালে তুলেন এবং এ বছর লিভারপুলের বিরুদ্ধে দল জয়লাভ করে। ইউনাইটেডের সাইকোথেরাপিস্টের স্ত্রী লরি ব্রাউনের সাথে তার পরকীয়ার খবর প্রচারিত হলে ১৯৭৭ সালের জুলাইতে জনরোষের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়। চেলসিতে যিনি ডোচার্টির পরে ম্যানেজার হিসেবে এসেছিলেন, সেই ডেভ সেক্সটন আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার পরবর্তী ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পান।
ম্যানেজার হিসেবে টমি ডোচার্টি ছিলেন প্রথাবিরোধী এবং বিতর্কিত। বিগত ২০ বছরে গণমাধ্যমে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদাণ ও দুপুরের খাবারের পর বক্তৃতার মাধ্যেমে তিনি আয় করেছেন।