টানবাজার যৌনপল্লি বাংলাদেশের একটি পতিতালয়।[১] ধারণা করা হয় যে, প্রায় ৪০০ বছর আগে এই পতিতালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে পতিতালয়টি ধ্বংস করে ফেলার আগে এটি ছিলো দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পতিতালয়গুলোর মধ্যে একটি।[২]
টানবাজার যৌনপল্লি নারায়ণগঞ্জ জেলার টানবাজার পার্কের পাশে কুটিপাড়ায় অবস্থিত ছিল। টানবাজার মূলত রঙ, সুতা ও কেমিক্যাল পণ্যের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত। পতিতালয়ে যাওয়ার জন্য দুইটি রাস্তা ছিলো। একটি আশা ও মাশা নামক সিনেমা হলের পাশ দিয়ে এবং অন্যটি টানবাজার মসজিদের পাশ দিয়ে। প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছিল এই পতিতালয়টি।[৩]
টানবাজার যৌনপল্লিতে প্রায় ২০০০[১] ঘরে ৩৫০০ এর অধিক যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তি পেশার সাথে জড়িত ছিলো।[৪] যাদের অনেকেই বংশানুক্রমে সেখানে বসবাস করতো। প্রায় ৪০০ বছর[৫] ধরে সেখানে পতিতাবৃত্তি পেশাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতালয়টি গড়ে উঠেছিলো। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে সাধারণ জনগণ ও পুলিশ শেষ রাতে যৌনকর্মীদের ওপর হামলা করে এবং তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়।[৬] যৌনকর্মীদের আচার-অনুষ্ঠান পালনের ‘মা ফাতিমা মন্দির’ ভেঙে ফেলা হয়।[৩] কোন প্রকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ছাড়াই তাদের উচ্ছেদ করার জন্য সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। পতিতালয় রক্ষা আন্দোলনে সেই সময় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সর্দারনী রিতা খানম অন্যতম।
টানবাজার পতিতালয়টির স্থানে বর্তমানে মোহাম্মদ কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে। বর্তমানে সেই ভবনগুলো সুতা ব্যবসায়ীদের ঘর অথবা গোডাউন ঘরে পরিচালিত হচ্ছে। পুরাতন পতিতালয়ের ৪/৫ তলা কিছু ভবন এখনো রয়েছে। উচ্ছেদ এর পর এখান থেকে যৌনকর্মীরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েন।[৭]
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]