ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | তিরুমলে এচামবাদি শ্রীনিবাসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৬ অক্টোবর, ১৯৫০ মাদ্রাজ, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৬ ডিসেম্বর, ২০১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৫৩) | ১৩ মার্চ ১৯৮১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩৩) | ৬ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১০ জানুয়ারি ১৯৮১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ আগস্ট ২০২০ |
তিরুমলে এচামবাদি শ্রীনিবাসন (তামিল: திருமலை சீனிவாசன்; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৯৫০ - মৃত্যু: ৬ ডিসেম্বর, ২০১০) মাদ্রাজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে তামিলনাড়ু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিরুমলে শ্রীনিবাসন নামে পরিচিত টি. ই. শ্রীনিবাসন।
১৯৭০-৭১ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত টি. ই. শ্রীনিবাসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দর্শনীয় ভঙ্গীমায় ব্যাটিং করতেন টি. ই. শ্রীনিবাসন। এক দশক তামিলনাড়ু দলের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। বেশ বয়স নিয়ে ক্রিকেট খেলায় অগ্রসর হন।
চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণকারী টি. ই. শ্রীনিবাসনের পিতা টি. ই. ভারাদান জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা ছিলেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে দিলীপ ট্রফিতে উত্তর অঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণ অঞ্চলের সদস্যরূপে ১১২ রান তুলে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। এরপর, মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত ১৯৮০-৮১ মৌসুমের দেওধর ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় ধৈর্যশীলতার স্থিরমূর্তি হিসেবে ১২৯ রান তুলেন। দিল্লির বিপক্ষে ইরানি ট্রফিতেও অপরাজিত থাকেন। ফলশ্রুতিতে, ঐ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মাঝে-মধ্যে লেগ স্পিনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। কয়েক বছর ইয়র্কশায়ার লীগে উডহাউজের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও, নিউ সাউথ ওয়েলসে গ্রেড ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন টি. ই. শ্রীনিবাসন। তবে, অংশগ্রহণকৃত দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। অকল্যান্ডে একমাত্র টেস্টে ৪৮ রান করেন। ১৩ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ঐ খেলায় তিনি ২৯ ও ১৯ রান করেন।
অন্যদিকে, ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১০ জানুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে একই মাঠে নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। এ সফরে প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় বেশ ভালো করেন। কিন্তু, ব্যাটিং উদ্বোধন কিংবা মাঝারিসারিতে বেশ ম্রিয়মান ছিলেন।
দীর্ঘদিন মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ইতোপূর্বে দুইবার অস্ত্রোপচার করা হয় ও তৃতীয়বার অস্ত্রোপচারকালে ৬ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে ৬০ বছর বয়সে টি. ই. শ্রীনিবাসনের দেহাবসান ঘটে।[১]