ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | থিরুমালাই অনাথনপিল্লাই শেখর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৮ মার্চ, ১৯৫৬ চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৩) | ২৩ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ২১ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ আগস্ট ২০২০ |
থিরুমালাই অনাথনপিল্লাই শেখর (তামিল: டி. ஏ. சேகர்; জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৫৬) তামিলনাড়ুর মাদ্রাজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন টি. এ. শেখর।
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮৯-৯০ মৌসুম পর্যন্ত টি. এ. শেখরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ও মজবুত গড়নের অধিকারী ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন টি. এ. শেখর। তবে, ভালোমানের কোচের অভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তার বোলিংয়ে নিখুঁততা ও নিশানার অভাব লক্ষ্য করা যায়। ১৯৮০-এর দশকের শুরুরদিকে ভারতের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে টি. এ. শেখরের সুনাম ছিল।
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম পর্যন্ত ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে তামিলনাড়ুর পক্ষাবলম্বন করেন। এ পর্যায়ে তিনি ৭৪ উইকেট দখল করেছিলেন। তন্মধ্যে, রঞ্জী ট্রফিতে ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে কেরালার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৯/৫৪ দাঁড় করান। দিলীপ ট্রফিতেও বেশ কিছু ভালোমানের খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন টি. এ. শেখর। সবগুলো টেস্টই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৩০ জানুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে করাচীতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্ট খেলার জন্যে আঘাতগ্রস্ত মদন লালের পরিবর্তে তাকে পাকিস্তান গমন করতে হয়েছিল। তবে, কোন টেস্টেই তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। ঐ সফরের একদিনের সিরিজের একটিতে অংশ নেন। এরপর, দুই বছর বাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওডিআইয়ে খেলেন। প্রতিপক্ষের কাছে কিছুটা সমীহের কারণ হয়ে দাঁড়ালেও ভাগ্য তার প্রতি সদয় ছিল না। ফলশ্রুতিতে, তাকে আর কোন টেস্টে রাখা হয়নি। ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে প্রাথমিক দলে রাখা হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পূর্বে মধ্যপ্রদেশের সদস্যরূপে আরও দুই মৌসুম অতিবাহিত করেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ভারতীয় ক্রিকেটে অবদান রাখেন। চেন্নাইভিত্তিক এমআরএফ ফাউন্ডেশনের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েক বছর প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, দক্ষিণ অঞ্চলের দল নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন। এরপর, আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ব্যবস্থাপক হিসেবে মনোনীত হন। কিছু সময়ের জন্যে ভারত জাতীয় দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়াও, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিভাধর ক্রিকেটার অনুসন্ধান কর্মে নিয়োজিত ছিলেন।