টি বোর্ড, ভারত

টি বোর্ড, ভারত
সংস্থার লোগো
গঠিত১ এপ্রিল ১৯৫৪[]
ধরনভারত সরকারের সংস্থা
সদরদপ্তরকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
Chairman
শ্রী প্রভাত কমল বেজবড়ুয়া[][][]
প্রধান প্রতিষ্ঠান
ভারত সরকার
ওয়েবসাইটteaboard.gov.in
টি বোর্ড, ভারত সংস্থার প্রধান কার্যালয় বি.বি.ডি. বাগ, কলকাতা

টি বোর্ড, ভারত হল ভারত সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা, যে সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারতে চা চাষ, প্রক্রিয়াকরণের স্বার্থে প্রচার এবং দেশীয় বাণিজ্যের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি বাড়ানোর কাজ করার জন্যে। টি অ্যাক্ট, ১৯৫৩ কার্যকর করার মধ্যে দিয়ে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। টি বোর্ডের সদর দপ্তর হল কলকাতায় (পূর্বতন কলিকাতা)। সংস্থার সহ-সভাপতি হিসেবে শীর্ষে আছেন মিস্টার পি. কে. সাহু, আইওএফএস[] এবং সংস্থার কাজকর্ম নিচে উল্লেখিত অন্যান্য কয়েকটা স্থায়ী কমিটিতে বিভক্ত; যেমন, নির্বাহী কমিটি, উন্নয়ন কমিটি, শ্রমিক কল্যাণ কমিটি এবং রপ্তানি উন্নয়ন কমিটি।

টি বোর্ড, ভারত এই সংস্থার দায়িত্ব হল নির্দিষ্ট চা ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা চা রপ্তানি করে তাদের শংসাপত্র দেওয়া। এই শংসাপত্র প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আসল চায়ের উৎপত্তিকে নিশ্চিত করে জুয়াচুরি কমানো; উদাহরণ স্বরূপ, যাঁরা দার্জিলিংয়ে বিরল চায়ের ফসল ফলান, সেই চায়ের ওপর প্রতারণামূলক লেবেলিংয়ের বহর কম করা। বিশ্বের বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][] 'নকল' দার্জিলিং চা বিক্রির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রপ্তানিকারকরা হল এক ভগ্নাংশ, যারা এই অঞ্চলের বৈধ ব্যবসায়ী হিসাবে চা বোর্ড, ভারত দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত সেই কাজের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে ।

টি বোর্ড, ভারত যেসব কাজ করে সেগুলো হল, বিভিন্ন ধরনের চায়ের উৎপাদন এবং তাদের উৎপাদনশীলতা অনুমোদন, গবেষণা সংস্থাগুলোকে আর্থিক সহায়তা দান এবং চা বাক্‌শো বন্দি করা কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা, কেননা, এটা স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপকারী দিকগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত।

এই সংস্থা যেসব বিষয়ে সমন্বয় সাধন করে তা হল: গবেষণা প্রতিষ্ঠান, চায়ের বাণিজ্য এবং সরকারি সংস্থাসমূহ, বৈশ্বিক শিল্পে চা বাণিজ্যকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিতকরণ।

কলকাতা, লন্ডন, মস্কো এবং দুবাই শহরে টি বোর্ড, ভারত সংস্থার কার্যালয় আছে। ১৯৬০ এবং ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশকে নিউইয়র্ক সিটিতে চা বোর্ডের একটা কার্যালয় ছিল। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মিসটার পিভি রামাস্বামী নিউইয়র্ক কার্যালয়ের প্রথম অধিকর্তা ছিলেন এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি এই সংস্থার প্রধান হয়ে ফিরে এসেছিলেন।

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The Official Website of Tea Board India"teaboard.gov.in 
  2. "Metal headache: Commodity rally will put pressure on operating margins"Business Standard 
  3. "Tea board IAS tussle"telegraphindia.com 
  4. "Egypt proposes creation of tea brand to boost ties with India"Business Standard। ২৪ মার্চ ২০১৬। 
  5. http://www.teaboard.gov.in/pdf/rtiact/pay_report.pdf
  6. "Identity crisis for Darjeeling Tea"Rediff। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৮ 

সূত্রসমূহ

[সম্পাদনা]