টিউলিপ জোশী | |
---|---|
জন্ম | মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯
পেশা | অভিনেত্রী |
দাম্পত্য সঙ্গী | বিনোদ নায়ার |
টিউলিপ জোশী (জন্মঃ ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) হচ্ছেন ভারতের একজন সাবেক মডেল এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি হিন্দি, তেলুগু, কন্নড়, পাঞ্জাবি এবং মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন।
টিউলিপের জন্ম হয়েছিলো মুম্বাইতে[১], তার বাবা ছিলেন গুজরাটি এবং মা ছিলেন আর্মেনিয়। টিউলিপ মুম্বাই শহরেই বড় হয়ে উঠেছিলেন এবং যমুনাবাঈ নার্সি স্কুলে অধ্যায়ন করেছিলেন, এবং পরে তিনি মিথিবাঈ কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন খাদ্য বিজ্ঞান এবং রসায়ন নিয়ে, এই বিষয়ে তিনি স্নাতক উত্তীর্ণ হন।
২০০০ সালে টিউলিপ সুন্দরী প্রতিযোগিতা ফেমিনা মিস ইন্ডিয়াতে অংশ নেন। যদিও এই সুন্দরী প্রতিযোগিতাতে টিউলিপ বিজয়ীদের কাতারে যেতে পারেননি কিন্তু বহু বিজ্ঞাপন-নির্মাতা টিউলিপের চেহারা এবং শারীরিক গঠন পছন্দ করেছিলেন। টিউলিপ পন্ডস, পেপসি, সিয়ারাম, বিপিএল গ্রুপের বিজ্ঞাপন, স্মার্নঅফ, টাটা স্কাই ইত্যাদির বিজ্ঞাপনে মডেল হন। পাকিস্তানি গায়ক নুসরাত ফাতেহ আলী খানের একটি গানের ভিডিওতেও টিউলিপ অভিনয় করেছিলেন।
টিউলিপ চলচ্চিত্র জগতে খুব সহজেই ঢুকে যেতে পেরেছিলেন। টিউলিপ ছিলেন খ্যাতিমান প্রযোজক-পরিচালক যশ চোপড়ার ছেলে আদিত্য চোপড়ার প্রথম স্ত্রী পায়েল খান্নার বান্ধবী, পায়েলকে আদিত্য ২০০১ সালে বিয়ে করেন অভিভাবক দ্বারা। যশ, আদিত্য দুজনেই টিউলিপকে আদিত্য-পায়েলের বিয়েতে দেখে পছন্দ করে ফেলেন এবং টিউলিপকে অডিশন দিতে বলেন, টিউলিপ রাজী হয়ে যান আর যশ চোপড়ার আরেক ছেলে উদয় চোপড়ার সঙ্গে টিউলিপ মেরে ইয়ার কি শাদী হ্যায় (২০০২) চলচ্চিত্রে নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান। টিউলিপ হিন্দি ভাষা তেমন একটা পারতেননা, তিনি শুধু মারাঠি এবং গুজরাটি ভাষা জানতেন, তিনি বর্ষীয়ান অভিনেতা ফিরোজ খানের স্টুডিয়োতে অভিনয় শেখা শুরু করা সহ হিন্দি ভাষা ভালো করে শেখা শুরু করে দেন। টিউলিপ হিন্দি ভাষা রপ্ত করে ফেলেন খুব দ্রুত এবং অভিনয়ও মোটামুটি শিখে যান তখনই যশ চোপড়া আর আদিত্য চোপড়া টিউলিপের নাম পরিবর্তন করতে বলেন (একটি স্টেজ-নাম দিতে বলেন) যাতে দর্শকরা নবাগত নায়িকার একটি আকর্ষণীয় নাম দেখে চলচ্চিত্রটি (মেরে ইয়ার কি শাদী হ্যায়) পছন্দ করে, টিউলিপ পরে নিজের নাম সঞ্জনা বেছে নেন চলচ্চিত্রটির জন্য। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় এবং কাহিনী-গান সবকিছু মোটামুটি দর্শকপ্রিয়তা পায় এবং টিউলিপও ছোটোখাটো পরিচিতি পেয়ে যান।[২]
টিউলিপকে আর কোনো প্রযোজক-পরিচালক চলচ্চিত্রে নিতে চাচ্ছিলেননা তবে টিউলিপ 'মাতৃভূমি' (২০০৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একটি ব্যতিক্রমী পরিচয় পান চলচ্চিত্রটির কাহিনীর জন্য। টিউলিপ এরপর আর বড় কোনো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছিলেননা।
২০০৩ সালে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র 'ভিলেন'এ অভিনয় করেন এবং ২০০৪-এ মুক্তি পায় দিল মাঙ্গে মোর যেটাতে তার সঙ্গে শহীদ কাপুর, আয়েশা টাকিয়া এবং সোহা আলী খান ছিলো, চলচ্চিত্রটি দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি।
২০০৯ এবং ২০১১ সালে টিউলিপ পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তবে ওগুলো ব্যবসা করতে পারেনি।[৩] সর্বশেষে তিনি কন্নড় চলচ্চিত্র 'সুপার' এবং পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র 'জাট এয়ারওয়েজ'এ অভিনয় করেন, তবে এগুলোও ব্যর্থ ছিলো।[৪][৫] সালমান খানের জয় হো (২০১৪) চলচ্চিত্রটিতে টিউলিপ একটি ছোটো ভূমিকায় ছিলেন।