টিন টাইটান্স | |
---|---|
ধরন | অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার সুপারহিরো কমেডি-ড্রামা |
নির্মাতা | গ্লেন মুরাকামি |
উন্নয়নকারী | ডেভিড স্ল্যাক |
কণ্ঠ প্রদানকারী |
|
আবহ সঙ্গীত রচয়িতা | পাফি আমিয়ুমি |
উদ্বোধনী সঙ্গীত | "টিন টাইটান্স থিম", পরিবেশনায় পাফি আমিয়ুমি |
সুরকার |
|
মূল দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
মূল ভাষা | ইংরেজি |
মৌসুমের সংখ্যা | ৫ |
পর্বের সংখ্যা | ৬৫ (+ ১ অনলাইন) |
নির্মাণ | |
নির্বাহী প্রযোজক |
|
প্রযোজক |
|
ব্যাপ্তিকাল | ২৫ মিনিট |
নির্মাণ কোম্পানি | ডিসি এন্টারটেইনমেন্ট ওয়ার্নার ব্রাদার্স অ্যানিমেশন |
পরিবেশক | ওয়ার্নার ব্রাদার্স টেলিভিশন |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | কার্টুন নেটওয়ার্ক দ্য ডব্লিউবি |
ছবির ফরম্যাট |
|
মূল মুক্তির তারিখ | ১৯ জুলাই ২০০৩ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | –
ক্রমধারা | |
পরবর্তী | টিন টাইটান্স গো! |
বহিঃসংযোগ | |
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট |
টিন টাইটান্স (ইংরেজি: Teen Titans) একটি মার্কিন অ্যানিমেটেড টেলিভিশন সিরিজ। এ সিরিজটির নির্মাতা গ্লেন মুরাকামি এবং এ শোটি একই নামের ডিসি কমিকসের চরিত্রসমূহের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি প্রধানত ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে মার্ভ উলফম্যান এবং জর্জ পেরেসের নিউ টিন টাইটান্স কমিক বই সিরিজের কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।
টিন টাইটান্স ২০০৩ সালের ১৯ জুলাই কার্টুন নেটওয়ার্কে প্রথম প্রচারিত হয়। এটি কিডস ডব্লিউবিতেও প্রচারিত হয়। প্রাথমিকভাবে শুধু চারটি মৌসুম নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু সিরিজটির জনপ্রিয়তার কারণে কার্টুন নেটওয়ার্ক পঞ্চম আরেকটি মৌসুম নির্মাণের নির্দেশ দেয়। শোটির শেষ আধঘণ্টার পর্ব "থিংস চেঞ্জ" প্রচারিত হয় ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি। পরবর্তীতে টিন টাইটান্স: ট্রাবল ইন টোকিও নামে একটি টিভি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় যা প্রচারিত হয় ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। এ চলচ্চিত্রটি দ্বারা সিরিজটি শেষ করা হয়।
টিন টাইটান্স কার্টুন নেটওয়ার্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত সিরিজগুলোর মধ্যে অন্যতম। সিরিজটি তার চরিত্রের গঠন এবং গুরুগম্ভীর ধাঁচের জন্য পরিচিত। সিরিজটি তার চলাকালে তিনটি অ্যানি পুরস্কার ও একটি মোশন পিকচার সাউন্ড এডিটরস পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। সিরিজটির স্পিন-অফ মিডিয়ার মধ্যে আছে কমিক, ডিভিডি, ভিডিও গেম, মিউজিক অ্যালবাম এবং সংগ্রহযোগ্য খেলনা। কার্টুন নেটওয়ার্কের সহযোগী চ্যানেল বুমেরাং-এ সিরিজটি পুনরায় প্রচারিত হয়েছে। ২০১৩ সালে শোটির একটি রিবুট নির্মিত হয়, যার নাম টিন টাইটান্স গো!।
টিন টাইটান্স-এর কাহিনী গড়ে উঠেছে একটি সুপারহিরো দলের প্রধান পাঁচজন সদস্যকে নিয়ে: রবিন (স্কট মেনভিল), টিন টাইটানদের বুদ্ধিমান ও যোগ্য দলনেতা; স্টারফায়ার (হিনডেন ওয়ালশ) , ট্যামারান গ্রহ থেকে আগত বিচিত্র ও কৌতূহলী রাজকন্যা; সাইবর্গ (কারি পেইটন), একজন অর্ধেক মানব/অর্ধেক যন্ত্রমানব যে তার শক্তি ও প্রযুক্তিগত কৌশলের জন্য পরিচিত; রেভেন (তারা চ্যারেনডফ), সমান্তরাল জগৎ অ্যাজারাথ থেকে আসা একজন কাঠখোট্টা মেয়ে, যে অন্ধকার শক্তি ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ব্যবহার করে; এবং বিস্ট বয় (গ্রেগ সাইপস), একজন কম বুদ্ধিসম্পন্ন হাস্যরসাত্মক চরিত্র যে নানা ধরনের প্রাণীতে রূপান্তরিত হতে পারে। তারা টাইটানস টাওয়ার-এ বাস করে, যেটি একটি বড় 'T' আকৃতির স্থাপনা। টাওয়ারটিতে বসবাসের জন্য স্থান, একটি কমান্ড সেন্টার এবং নানারকম প্রশিক্ষণ সুবিধা রয়েছে। টাওয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত কাল্পনিক জাম্প সিটিতে একটি দ্বীপের ওপর স্থাপিত।
দলটির কাজ শহরের সবরকম অপরাধ এবং অনৈতিক কার্যক্রম দমন করা। এর সাথে তাদের নিজেদের কৈশোর, পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সীমাবদ্ধতাও সামলে চলতে হয় তাদেরকে। তাদের প্রধান শত্রু স্লেড হলো ডিসি কমিকসের ভিলেন ডেথস্ট্রোক-এর একটি নতুন রূপ। পুরো সিরিজে দলটি বেশ কিছু সহযোগী ও বন্ধুর সান্নিধ্য লাভ করে; যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রথম মৌসুমে আকুয়াল্যাড এবং দ্বিতীয় মৌসুমে টেরা (যে ঐ মৌসুমের কাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ)। অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে আছে দ্বিতীয় মৌসুমে স্পিডি, হটস্পট এবং উইল্ডেবিস্ট ও তৃতীয় মৌসুমে বাম্বলবি এবং মাস ও মেনোস (যারা আকুয়াল্যাড, স্পিডি ও বাম্বলবি-এর সাথে একত্রে 'টাইটান্স ইস্ট' গঠন করে)। পঞ্চম মৌসুমে ডিসি ইউনিভার্সের অন্যান্য হিরোদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনেকে ব্রাদারহুড অব ইভিল-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টাইটানদের সাথে যোগ দেয়।
বেশিরভাগ সুপারহিরো টেলিভিশন সিরিজ হতে টিন টাইটান্স ব্যতিক্রম, কারণ এতে চরিত্রগুলো সবসময় তাদের সুপারহিরো পরিচয় ধরে রাখে। তাদের অন্য কোনও গোপন পরিচয়ের আভাস খুব কমই দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে কমিকে রেভেন, সাইবর্গ, স্টারফায়ার, বিস্ট বয় এবং টেরার কোনও গোপন পরিচয় নেই (স্টারফায়ার নামটি তার ট্যামারানিয়ান নামের অনুবাদ, সাইবর্গের আসল নাম সাধারণ মানুষের জানা, বিস্ট বয়ের প্রাকৃতিক রূপ সহজেই বুঝে ফেলা যায় এমন, এবং রেভেন ও টেরা ইচ্ছাকৃতভাবেই কোনও আলাদা পরিচয় গ্রহণ করেনি)।
টিন টাইটানদের দলনেতা রবিনের আসল পরিচয় কী, তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সিরিজটিতে তার আসল পরিচয় ডিক গ্রেসন হওয়ার বেশ কিছু আভাস দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আছে "ফ্র্যাকচারড" পর্বে রবিনের ভিন্ন জগতের প্রতিরূপ ল্যারি, যার আসল নাম নসইয়ার্গ কিড (Nosyarg Kcid, ইংরেজি "Dick Grayson" নামটির বানান উল্টে লেখা); "হাউ লং ইজ ফরএভার?" পর্বে দেখানো ভবিষ্যত রবিনের নাইটউইং পরিচয় গ্রহণ করা (যেটি মূল ডিসি কাহিনীতে গ্রেসনের গৃহীত পরিচয়); এবং "হন্টেড" পর্বে রবিনের স্মৃতিতে রেভেন প্রবেশ করার সময় দেখানো দু'জন দড়াবাজিকরের সার্কাসের দড়ি দেখে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য (গ্রেসনের অ্যাক্রোব্যাট বাবা-মার মৃত্যুই তার রবিন হওয়ার মূল কারণ)। ব্যাটম্যান-এর কাহিনীর সাথে অন্যান্য সম্পর্কের মধ্যে আছে "দি অ্যাপ্রেন্টিস, পার্ট টু" পর্বের দু'টি প্রসঙ্গ, যখন স্লেড রবিনকে বলে যে সে রবিনের "বাবার মতো হতে [পারবে]", যার উত্তরে রবিন বলে "আমার একজন বাবা আছে" (যার পরেই উড়ন্ত বাদুড়ের দৃশ্য দেখানো হয়) এবং ওয়েন এন্টারপ্রাইজেস-এর নাম লেখা একটি দালানের ছাদে একটি যুদ্ধের দৃশ্য।
It was really important to me that little kids watching it could identify with characters. And I thought that the minute you start giving them secret identities then kids couldn't project themselves onto the characters anymore. And that was important to me. I know it's kind of important to have secret identities and stuff like that but we wanted everything to be really, really, iconic. Like, "Oh, there's the robot guy. There's the alien girl. There's the witch girl. There's the shape-changing boy." There's the we just wanted it really clean like that. We wanted it like old Star Trek. We just wanted it simple...
...And the whole "Who's Robin?" controversy is really kind of interesting to me. My big concern is just trying to make Robin cool. And just really set Robin apart from Batman. So if it seems like I'm avoiding the question, I sort of am. Because I don't think it's really important. My concern is how do I make Robin a really strong lead character without all that other stuff. And I feel that way about all the characters. How can I keep all the characters really iconic and really clean.
চরিত্রগুলোর গোপন পরিচয় উল্লেখ না করার নীতি পঞ্চম মৌসুমে ভেঙে ফেলা হয়, যখন ডুম প্যাট্রল-এর সদস্যরা বিস্ট বয়কে তার আসল নাম 'গারফিল্ড' বলে সম্বোধন করে (যদিও টাইটানরা তার পরেও তাকে বিস্ট বয় নামেই ডাকে)। "গো" পর্বে টাইটানরা বিস্ট বয়কে তার মুখোশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে এবং সে বলে যে সেটি তার আসল পরিচয় ঢেকে রাখে, কিন্তু রেভেন বলে যে সবুজ ত্বক, চোখা কান ও দাঁত থাকার কারণে তার "ঢেকে রাখার মতো কোনও গোপন রহস্য নেই"।
প্রতিটি মৌসুমেই একটি নির্দিষ্ট কাহিনীধারা রয়েছে যা দলের নির্দিষ্ট একজন টাইটানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। স্টারফায়ার প্রধান দলের একমাত্র সদস্য যাকে কেন্দ্র করে কোনও মৌসুম তৈরি হয়নি।
মৌসুম / মৌসুমের কেন্দ্রীয় টাইটান |
পর্বসংখ্যা | প্রথম প্রচার | ডিভিডি মুক্তির তারিখ | ||
---|---|---|---|---|---|
১ | রবিন | ১৩ | ২০০৩ | ফেব্রুয়ারি ৭, ২০০৬[২] | |
২ | টেরা | ১৩ | ২০০৪ | সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৬[২] | |
৩ | সাইবর্গ | ১৩ | ২০০৪ | এপ্রিল ১০, ২০০৭[৩] | |
৪ | রেভেন | ১৩ | ২০০৫ | নভেম্বর ২০, ২০০৭[৪] | |
৫ | বিস্ট বয় | ১৩ | ২০০৫-২০০৬ | জুলাই ২২, ২০০৮[৫] | |
চলচ্চিত্র | স্টারফায়ার | ১ | ২০০৬ | ফেব্রুয়ারি ৬, ২০০৭ |
২০০৫ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে টাইটান্সটাওয়ার ডটকম বিবৃত করে যে ষষ্ঠ মৌসুম নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, এবং ভক্তদেরকে বলা হয় এ শোটির প্রতি তাদের সমর্থন কার্টুন নেটওয়ার্ককে জানাতে।[৬] এ খবরটি বের হওয়ার কয়েকদিন পরেই কার্টুন নেটওয়ার্ক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে শোটি বাতিল হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়। আকুয়াল্যাডের কণ্ঠদাতা উইল হুইটনের মতে শোটি বাতিল করার পেছনে হাত ছিল ওয়ার্নার ব্রাদার্স ফিচার অ্যানিমেশনের নতুন নির্বাহী কর্মকর্তাদের, যাঁরা শোটির ষষ্ঠ মৌসুম নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।[৭] সিরিজের কাহিনী সম্পাদক রব হোজি হুইটনের বিবৃতি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে সিদ্ধান্তটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নয়, কার্টুন নেটওয়ার্কের ছিল এবং কখনওই ষষ্ঠ মৌসুম নিয়ে কোনও পরিকল্পনা ছিল না।[৮]
শেষ পর্ব প্রচারের পরে ওয়ার্নার ব্রাদার্স অ্যানিমেশন টিন টাইটান্স: ট্রাবল ইন টোকিও নামে একটি চলচ্চিত্রের ঘোষণা দেয়। চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হয় সান ডিয়েগো কমিক-কন ইন্টারন্যাশনাল-এ এবং প্রথম প্রচারিত হয় কার্টুন নেটওয়ার্কে ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। চলচ্চিত্রটি দ্য ডব্লিউবিতে প্রচারিত হয় ২০০৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ডিভিডিতে মুক্তি পায় ২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি।
২০১২ সালে কার্টুন নেটওয়ার্কে ডিসি নেশন প্রোগ্রামিং ব্লকের কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য কার্টুন ছবির মধ্য দিয়ে শোটির একটি পরিবর্তিত নতুন রূপের প্রচার শুরু হয়। নিউ টিন টাইটান্স নামে কার্টুনগুলোর প্রচার শুরু হয় ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এ কার্টুনগুলোতে টাইটানদের "চিবি" রূপ উপস্থাপন করা হয়, এবং মূল শো-এর প্রধান কণ্ঠাভিনেতারা এখানে পুনরায় তাঁদের চরিত্রসমূহের কণ্ঠ প্রদান করেন।[৯]
মূল সিরিজটির একটি স্পিন-অফ হিসেবে টিন টাইটান্স গো!-এর নাম ঘোষণা করা হয়, যার সাথে টিন টাইটান্স সিরিজ এবং নিউ টিন টাইটান্স শর্টগুলোর কাহিনীর দিক থেকে উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক নেই।[১০] নতুন সিরিজের প্রচার শুরু হয় ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল।[১১]
টিন টাইটান্সকে কখনওই ডিসি অ্যানিমেটেড ইউনিভার্স বা দ্য ব্যাটম্যান অ্যানিমেটেড সিরিজের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়নি। প্রযোজক ব্রুস টিম বলেছেন যে এ সিরিজটির সঙ্গে জাস্টিস লিগ আনলিমিটেড-এর কোনও ক্রসওভার ঘটবে না। স্পিডি চরিত্রটি, যার প্রথম আবির্ভাব "উইনার টেক অল" পর্বে, পরবর্তীতে জাস্টিস লিগ আনলিমিটেড-এও উপস্থিত হয়, যেখানে তার পোশাকের নকশা টিন টাইটান্স-এর মতই থাকে ও অভিনেতাও (মাইক আরউইন) একই থাকে (যদিও তাকে কিছুটা বয়স্ক দেখানো হয়)। এ শোতে কিড ফ্ল্যাশের কণ্ঠ দিয়েছেন মাইকেল রোজেনবাউম, যিনি জাস্টিস লিগ আনলিমিটেড-এ ফ্ল্যাশের কণ্ঠ দিয়েছিলেন। সিরিজটির উত্তরসূরি টিন টাইটান্স গো!-তে ব্যাটম্যানের কয়েকটি উপস্থিতি আছে, কিন্তু তার কোনওটিতেই তাঁর কোনও সংলাপ নেই। ডিসি নেশনের নিউ টিন টাইটান্স-এর "রেড এক্স আনমাস্কড" নামের পর্বে ব্যাটম্যান এবং আলফ্রেড পেনিওর্থ দু'জনেই উপস্থিত হন। টিন টাইটান্স গো!-এর দ্বিতীয় মৌসুমের "লেট'স গেট সিরিয়াস" পর্বে ইয়াং জাস্টিস দলের আকুয়াল্যাড (যার কণ্ঠ দিয়েছেন কারি পেইটন), সুপারবয় এবং মিস মার্শান উপস্থিত হয়।
এক্স-মেন: এভোলিউশন এবং ব্যাটম্যান: দি অ্যানিমেটেড সিরিজ-এর মত সিরিজটি সিরিজের মূল অনুপ্ররণা যে কমিক থেকে পাওয়া সে কমিককে প্রভাবিত করেছে, যাদের মধ্যে আছে: ডিসির ৫২ কাহিনীতে বিস্ট বয়ের সিরিজের মতো বেগুনি ও কালো রঙের পোশাক পরিধান করা এবং পরবর্তীতে সিরিজের ধারালো কান ও দাঁত নিয়ে উপস্থিত হওয়া,[১২] টাইটান্স টুমরো কাহিনীতে ভবিষ্যতের সাইবর্গের বর্মের ধরন অ্যানিমেটেড সিরিজের সাইবর্গের মত হওয়া,[১৩] ওয়ান ইয়ার লেটার কাহিনীতে রেভেনের তার অ্যানিমেটেড সিরিজের পোশাক ধারণ করা, ৫২ এবং ফাইনাল ক্রাইসিস সিরিজে মাস এবং মেনোস চরিত্রগুলোর উপস্থিতি,[১৪] অ্যানিমেটেড সিরিজের চরিত্রের সঙ্গে মেলানোর জন্য জোতো চরিত্রটির "হটস্পট" হিসেবে পুনঃনামকরণ,[১৫] এবং টাইটানদের সবচেয়ে সাম্প্রতিক কমিক সংস্করণের সাথে ভিলেন সিন্ডারব্লকের একটি যুদ্ধে উপস্থিত হওয়া।[১৬]
টিন টাইটান্স গো! কমিক সিরিজটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। এ সিরিজটিতে টিন টাইটান্স-এর কাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য কাহিনী উপস্থাপন করা হয়। সিরিজটির বেশ কিছু সংখ্যার কাহিনীর সঙ্গে টিভি সিরিজটির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সিরিজটির লেখক ছিলেন জে. তোরেস এবং নিয়মিত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন টড নক এবং ল্যারি স্টাকার। সিরিজটিতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫৫টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
টিন টাইটান্স অ্যানিমেটেড সিরিজের ওপর ভিত্তি করে বানদাই কিছু অ্যাকশন ফিগার বাজারজাত করে। এদের মধ্যে ছিল ১.৫ ইঞ্চির "কমিক বুক হিরো" মিনিফিগার, ৩.৫ ইঞ্চির অ্যাকশন ফিগার (যার মধ্যে ছিল "টিন টাইটান্স লঞ্চ টাওয়ার প্লেসেট", "টিন টাইটান্স কমান্ড সেন্টার", "ব্যাটলিং মেশিনস", "টি-ভেহিকলস", "টি-সাব ডিলাক্স ভেহিকলস"), ৫ ইঞ্চির অ্যাকশন ফিগার, ৬.৫ ইঞ্চির নরম সুপার-ডি খেলনা এবং ১০ ইঞ্চির ফিগার। খেলনায় উপস্থাপিত চরিত্রগুলোর মধ্যে ছিল টিন টাইটান্স দলের মূল সদস্যরা, টাইটান্স ইস্ট এবং বেশ কিছু সহযোগী ও শত্রু।[১৭][১৮]
যদিও সিরিজটির প্রতি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র, পরবর্তীতে বছরগুলোতে সিরিজটি তুলনামূলক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লাভ করে। সিরিজটির প্রচারের প্রথম দিকে নির্বাহী প্রযোজক এবং কার্টুন নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি স্যাম রেজিস্টার শোটির ধরন সম্পর্কিত সমালোচনার জবাব দেন, যেটি ছিল রবিনের "কুল" হওয়া সম্পর্কে মুরাকামির বক্তব্য খণ্ডনকারী:
Justice League is awesome and Samurai Jack is awesome and we buy a lot of anime shows that are great, but those shows really are directed more towards the nine to fourteen age group, and the six and seven and eight-year-olds were not gelling with the Justice League and some of the more of the fanboy shows...The main mission was making a good superhero show for kids. Now if the fanboys happen to like the Teen Titans also, that's great, but that was not our mission.
অবশ্য, যদিও সিরিজটির নির্মাতারা বলেছেন যে কমবয়সী শিশুরাই ছিল দর্শকদের মধ্যে সিরিজটির প্রধান লক্ষ্য, টিন টাইটান্স গো! লেখক জে. তোরেস বলেছেন যে শোটির অগ্রগামিতা এবং গুরুগম্ভীর বিষয়বস্তু সবরকমের দর্শকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে:
... [The show] started out skewed a lot younger... but along the way, I think the producers discovered it was reaching a wider audience. ... [the show] got into some darker story lines, and they introduced a lot more characters, so they expanded on it, and they let the show evolve with the audience.
২০০৯ সালে আইজিএন টিন টাইটান্সকে ৮৩তম সেরা অ্যানিমেটেড সিরিজ হিসেবে আখ্যায়িত করে।[২০] ২০১৪ সালে ওয়াচমোজো.কম টিন টাইটান্সকে বাতিল হয়ে যাওয়া ষষ্ঠ সেরা কার্টুনের খেতাব প্রদান করে।[২১]
টিন টাইটান্স-এর একটি ষষ্ঠ মৌসুম নির্মাণে কার্টুন নেটওয়ার্ককে রাজি করানোর উদ্দেশ্যে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর গোপিটিশনে একটি পিটিশন বা গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করা হয়। এ পিটিশনে অনেক ভক্ত স্বাক্ষর করেছেন, যাঁদের মধ্যে আছেন কণ্ঠ অভিনয়শিল্পী তারা চ্যারেনডফ[২২] এবং গ্রেগ সাইপস,[২৩] যাঁরা যথাক্রমে রেভেন ও বিস্ট বয়ের কণ্ঠদাতা। তাঁরা টুইটারে পিটিশনটির লিংক ভাগ করেন। পিটিশনটি এখনও কার্যকর রয়েছে। চ্যানেলকে রাজি করানোর জন্য আরও কয়েকটি পিটিশন চালু করা হয়েছে। এদের কয়েকটি বর্তমানে কার্যকর রয়েছে, যাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতমটি তৈরি হয়েছে ২০১৬ সালে। এটির লক্ষ্য অ্যাডাল্ট সুইম, যার কারণ অ্যাডাল্ট সুইমের সামুরাই জ্যাককে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত। এ পিটিশনটিতে বর্তমানে ১২২টি স্বাক্ষর রয়েছে। ২০১৩ সালের ১২ জুন সিরিজের লেখক ডেরিক ওয়ায়াট বলেছেন যে ষষ্ঠ মৌসুম ভবিষ্যতে নির্মিত হবে যদি মূল সিরিজের প্রধান অভিনেতারা তাঁদের চরিত্রগুলোতে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য ফিরে আসতে রাজি হন।[২৪] টিন টাইটান্স গো! স্পিন-অফটি শুরু হওয়ার পরে (যাতে মূল কণ্ঠাভিনেতারা তাঁদের নিজ নিজ চরিত্রে কণ্ঠ প্রদান করেছেন) সম্ভাব্য ষষ্ঠ মৌসুম সম্পর্কে কোনও খবর শোনা যায়নি,[২৫] যদিও গ্রেগ সাইপস ভক্তদের চাহিদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ধারণা করা হয় যে স্পিন-অফ নির্মাণের বিষয়ে কার্টুন নেটওয়ার্কের সবুজ সংকেত দেয়ার কারণ হলো তারা মূল সিরিজটির আরেকটি মৌসুম নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নিজেদেরকে রাজি করাতে চায়।