টুপি একপ্রকার পরিধেয় যা মাথা আবরণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রায় ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে টুপি আবিষ্কৃত হয়েছিল।[১] টুপি পাশ্চাত্যের 'হ্যাট'-এর সমতূল্য যা শৈত্য ও রৌদ্র নিরোধেও কাজ করে। সেনাবাহিনী পুলিশ ইত্যাদি ইউনিফর্মড বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ ধরনের টুপি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখেন। হাসপাতালে নার্সরা টুপি মাথায় দায়িত্ব পালন করেন। রান্নাঘরে পাচক টুপি দিয়ে মাথা আবৃত করে রাখেন যাতে মাথার চুল খাদ্যদ্রব্যে না পড়ে। ক্রিকেট ও বেসবল খেলার মাঠে খেলোয়াড়রা সচরাচর টুপি ব্যবহার করেন। টুপি গঠনে হ্যাট, মাথাল এবং হেলমেট থেকে ভিন্ন।[২]
১০০টিরও বেশি ধরনের হ্যাট বা টুপির চল রয়েছে, যা মানুষের পোশাকের অংশে পরিনত হয়েছে। এর কয়েকটি :
ইহুদি ধর্মানুসারীরা টুপি পরিধান করে থাকেন, তবে তার আকার মাথার আকারের তুলনায় হয় অনেক ছোট, এবং তা পরিধান করা হয় মাথার উপরে, পিছনের দিকে। কোনো রকমে তা মাথার তালুর পিছনের অংশ ঢেকে রাখে। ইহুদিদের এই টুপিকে বলা হয় কিপ্পা।
ইসলাম ধর্মে মাথায় আচ্ছাদন রাখার বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে মাথায় আচ্ছাদনের বিধান ইসলামে রয়েছে। যদিও মহিলারা মাথায় টুপি পরেন না; বরং ওড়না বা হিজাব দিয়ে মাথা ঢেকে রাখেন, তবে পুরুষের জন্য টুপি পরিধান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। টুপি ছাড়াও মুসলমান পুরুষ মাথায় পাগড়ি পরিধান করে থাকেন। তবে পাগড়ি পরিধানের সময়ও ভিতরে তারা টুপি পরিধান করে থাকেন।[৪] মুসলমানদের টুপি প্রায় মাথার উপরিভাগ পুরোটাই জুড়ে থাকে এবং এমন হয় যে, তা যেন কপাল জুড়ে না থাকে। কারণ মেঝেতে কপাল ছুঁইয়ে মুসলমানগণ আল্লাহকে সিজ্দা করেন, তাই কপাল উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন৷ ইসলামে ঘুম এবং গোসল ছাড়া সর্বক্ষণ এমনকি প্রাকৃতিক কর্ম সারার সময়ও মাথায় টুপি বা পাগড়ি রাখা সুন্নত। যদিও অনেকে একে কেবল নামাজ পড়ার সময় পরে থাকেন।