টেরি মুর | |
---|---|
Terry Moore | |
জন্ম | হেলেন লুয়েলা কফোর্ড ৭ জানুয়ারি ১৯২৯ গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
অন্যান্য নাম | জুডি ফোর্ড, জ্যান ফোর্ড, জানুয়ারি ফোর্ড |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৪০-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | গ্লেন ডেভিস (বি. ১৯৫১; নিষ্পত্তি ১৯৫২) ইউজিন ম্যাকগার্থ (বি. ১৯৫৬; বিচ্ছেদ. ১৯৫৮) স্টুয়ার্ট ক্রেমার (বি. ১৯৫৯; বিচ্ছেদ. ১৯৭২) রিচার্ড কেরি (বি. ১৯৭৯; বিচ্ছেদ. ১৯৮০) জেরি রিভারস (বি. ১৯৯২; মৃ. ২০০১) |
সঙ্গী | হাওয়ার্ড হিউজ (১৯৪৯-১৯৭৬; নিষ্পত্তি)[১] |
সন্তান | ২ |
টেরি মুর (ইংরেজি: Terry Moore) নামে পরিচিত হেলেন লুয়েলা কফোর্ড (ইংরেজি: Helen Luella Koford; জন্ম: ৭ জানুয়ারি ১৯২৯) হলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি ১৯৫২ সালের কাম ব্যাক, লিটল শেবা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হল মাইটি ইয়ং জো (১৯৪৯) ও পেটন প্লেস (১৯৫৭)। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল দ্য গ্রেট রুপার্ট (১৯৫০), টু অব আ কাইন্ড (১৯৫১), ম্যান অন আ টাইটরোপ (১৯৫৩), ড্যাডি লং লেগস (১৯৫৫), বিটুইন হেভেন অ্যান্ড হেল (১৯৫৬), বার্নার্ডিন (১৯৫৭), আ প্রাইভেট্স অ্যাফেয়ার (১৯৫৯), এবং হোয়াই মাস্ট আই ডাই? (১৯৬০)।[২]
তিনি হলিউডের স্বর্ণযুগের সর্বশেষ জীবিত তারকাদের একজন।
টেরি উর ১৯২৯ সালের ৭ই জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গ্লেনডেলে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম হেলেন লুয়েলা কফোর্ড। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে এক মর্মন ধর্মাবলম্বী পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তিনি শিশু মডেল হিসেবে কাজ করেন এবং ১৯৪০ সালে মেরিল্যান্ড দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর তিনি দ্য হাওয়ার্ডস অব ভার্জিনিয়া (১৯৪০), অন দ্য সানি সাইড (১৯৪২), আ-হন্টিং উই উইল গো (১৯৪২), ট্রু টু লাইফ (১৯৪২), ইংরিদ বারিমানের কৈশোরকালের চরিত্রে গ্যাসলাইট (১৯৪৪), সিন্স ইউ ওয়েন্ট অ্যাওয়ে (১৯৪৪), সুইট অ্যান্ড লো-ডাউন (১৯৪৪) এবং দ্য ক্লক (১৯৪৫) চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। ১৯৪৮ সালে টেরি মুর নাম গ্রহণের পূর্বে পর্দায় তার নাম জুডি ফোর্ড, জ্যান ফোর্ড ও জানুয়ারি ফোর্ড ব্যবহার করা হত।[৩]
সন অব ল্যাসি (১৯৪৫) ও শ্যাডোড (১৯৪৬) চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন, এই চলচ্চিত্রগুলোতে তার হেলেন কফোর্ড নামটি ব্যবহার করা হয়।[৪] দ্য ডেভল অন হুইলস (১৯৪৭) চলচ্চিত্রের মনোগ্রামে অভিনয়শিল্পীদের নামের তালিকার তৃতীয় স্থানে তার নাম জ্যান ফোর্ড লেখা হয় হয়। হার্টেকস (১৯৪৮) ও সামার হলিডে (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে পর্দায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।[৩]
কলাম্বিয়া পিকচার্স মুরের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরের পর তার কর্মজীবনের ব্যপ্তি বৃদ্ধি পায়। তিনি গ্লেন ফোর্ডের বিপরীতে দ্য রিটার্ন অব অক্টোবর (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে টেরি মুর নামক একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীকালে তিনি এই নামটি তার পর্দা নাম হিসেবে গ্রহণ করেন।
১৯৪৯ সালে তিনি ধারে আরকেও পিকচার্সের মাইটি ইয়ং জো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরিচালক জর্জ পাল তাকে দ্য গ্রেট রুপার্ট চলচ্চিত্রে জিমি ডুরান্টের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করেন।[৫]
তিনি ১৯৫২ সালে হ্যাল বি. ওয়ালিস প্রযোজিত কাম ব্যাক, লিটল শেবা চলচ্চিত্রে বার্ট ল্যাঙ্কেস্টার ও শার্লি বুথের সাথে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র সমালোচক জেমস মোনাকোর মতে এটি "টেরি মুরের অন্যতম সুন্দর অভিনয়।"[৬] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বসলি ক্রাউদার বলেন, "টেরি মুর কালোত্তীর্ণ এবং অন্তহীন অমানবিকতার সঠিক চিত্রায়ন দেখিয়েছেন।"[৭] এই চলচ্চিত্রে তার অসাধরন অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৮]