টেলিভিশন মালদ্বীপ | |
---|---|
উদ্বোধন | মার্চ ২৯, ১৯৭৮ |
মালিকানা | পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া |
দেশ | মালদ্বীপ |
প্রচারের স্থান | মালদ্বীপ, দক্ষিণ এশিয়া |
প্রধান কার্যালয় | মালে, মালদ্বীপ |
ওয়েবসাইট | http://www.psmnews.mv |
প্রাপ্তিস্থান | |
ক্যাবল | |
মিডিয়ানেট | চ্যানেল ১০৩ |
আইপিটিভি | |
ধীরাগু টিভি | চ্যানেল ১ |
টেলিভিশন মালদ্বীপ (সংক্ষিপ্ত নাম: টিভিএম) মালদ্বীপের টেলিভিশন চ্যানেল। এটি দেশের সরকারী টিভি মাধ্যম এবং জাতীয় গণমাধ্যম। ২৯শে মার্চ, ১৯৭৮ এ মালেতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চ্যানেলটির মূল কার্যালয় এবং সম্প্রচার স্টুডিও মালেতে অবস্থিত।
২০০৯ সালে টেলিভিশন মালদ্বীপ (টিভিএম) এর ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এবং মালদ্বীপের জাতীয় বেতার, ধীভেহীরাজ্যেগে আদু (ভয়েস অব মালদ্বীপ) নতুন গঠিত মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন (এমএনবিসি) এর অধীনস্থ হয়। এরপর ২০১০-এ টিভিএম এমএনবিসি ওয়ান নামে ও ধীভেহীরাজ্যেগে আদু রায্যে রেডিও নামে আত্মপ্রকাশ করে।মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন (এমএনবিসি) সম্প্রতি টেলিভিশন মালদ্বীপ এর নতুন নাম এমএনবিসি ওয়ান এ পরিবর্তন করে। এ পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ভয়েস অব মালদ্বীপ (ভিওএম) এর নামও পরিবর্তন করে "রায্যে রেডিও" করে। মালদ্বীপ ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন আইন এর অধীনে মালদ্বীপ ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন তৈরি হবার কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ আইন অনুযায়ী নীতি বহির্ভূতভাবে সরকারি গণমাধ্যমগুলো কর্তৃক ব্যবহৃত সকল সম্পদ, জনশক্তি ও ভূমি এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে চলে যাবে। মালদ্বীপ ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন (এমবিসি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে আদালতে টেলিভিশন মালদ্বীপ (টিভিএম) ও ভয়েস অব মালদ্বীপ (ভিওএম) এর সম্পদ, জনশক্তি ও ভূমি উদ্ধারের জন্য মামলা করে এবং এর পরপরই এমএনবিসি ওয়ান ও রায্যে রেডিওআত্মপ্রকাশ করে।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে এমএনবিসি "ইয়ুথ টিভি" নামে একটি অর্ধদিবস পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল চালু করে, যা বিকেলের দিকে সম্প্রচারে থাকত। এটি মালদ্বীপ এর কিশোর ও তরুনদের জন্যই সম্প্রচার করা হতো। যদিও এখন আর এ চ্যানেল সম্প্রচারিত হয়না। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ এর পদত্যাগ এর পর পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি অংশ ও অনেক সাধারণ মানুষ এমএনবিসি স্টেশনের ব্যপারে আদালতের দ্বারস্থ হন। এর পরপর ভিটিভি নামে একটি চ্যানেল একই কম্পাঙ্কে প্রচারিত হয়। অবশ্য সেদিনের পরে ওই চ্যানেলটিরই নাম পাল্টে টিভিএম করা হয়, আর রেডিও চ্যানেলটির রায্যে রেডিও নামটিই অপরিবর্তিত রয়ে যায়।
২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি স্টেশনটি মালদ্বীপ ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশনের অধীনে সরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান এ পরিণত হয়। [১]
৩০শে মার্চ ২০১৫ তে মালদ্বীপের আইনসভায় এমবিসিকে বিলুপ্ত করে পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া (পিএসএম) নামে রাষ্ট্রায়ত্ব গণমাধ্যমগুলো পরিচালনার জন্য নতুন প্রতিষঠান তৈরির জন্য বিল উথ্থাপন করা হয়। বিলে উল্লেখিত 'পিএসএম' এর উদ্দেশ্য একটি হলো রাষ্ট্রীয় অর্থের দ্বারা নতুন গণমাধ্যম, সম্প্রচার যন্ত্র, খবরের কাগজ এবং অন্য যেকোনো প্রযুক্তি - যা খবর, তথ্য, জনসচেতনতা ও বিনোদনে প্রয়োজনীয়, এমন মাধ্যম তৈরি ও তার টেকসই রক্ষণাবেক্ষণ। এবং এটি জাতীয় গণমাধ্যম হিসেবেও থাকবে, যা আইনের ভেতরে থেকে বাকস্বাধীনতা ও সারদেশে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অত্যাবশকীয় হবে। [২]
২৮শে এপ্রিল, ২০১৫ তে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামেন আব্দুল গাইয়ুম পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া বিল অনুমোদন করেন যা আনুষ্ঠানিকভাবে 'পিএসএম' কে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ অনুমোদন অনুযায়ী, পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে সাতজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয়, যারা স্বয়ং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ২৯শে এপ্রিল, ২০১৫ তে নির্বাচিত হন।[৩]