টোংকাটসু বা টনকাতসু যার আক্ষরিক অর্থ হল শুয়োরের মাংসের কাটলেট, এটি একটি জাপানি খাবার। এই পদটি আসলে একটি শূকরের মাংসের কাটলেট যেটি তেলে কড়া ভাজা করে তৈরি করা হয়। কাটলেটটি খাস্তা ও মুচমুচে করতে শুয়োরের মাংসের টুকরোর উপর প্যানকো বা পাউরুটির টুকরোর প্রলেপ লাগানো হয় এবং তারপর সেটিকে তেলে কড়া ভাজা করা হয়। এর দুটি প্রধান প্রকার হল ফিলে এবং কটি।
উনিশ শতকের শেষের দিকে মেইজি যুগে জাপানে টনকাতসুর উদ্ভব হয়েছিল, এটি ইউরোপীয় ধাঁচের রুটি এবং ভাজা মাংসের কাটলেট এই দুই রন্ধনপ্রনালীর মিশ্রণে সৃষ্ট একটি খাবার। ইউরোপীয় কাতসুরেৎসু (কাটলেট) সাধারণত গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করা হতো। ১৮৯৯ সালে জাপানের টোকিওতে রেনগেই নামে ইউরোপীয়-শৈলীর খাবার পরিবেশনকারী একটি রেস্টুরেন্টে শুয়োরের মাংসের কাটলেট তৈরি করা হয়েছিল।[১][২][৩] এটি এক ধরনের ইয়োশোকু ও ইউরোপীয় রন্ধন প্রনালীর জাপানি সংস্করণ যা উনিশ শতকের শেষের দিকে এবং কুড়ি শতকের প্রথম দিকে উদ্ভাবিত হয়েছিল। একে কাতসুরেতসু বা কেবল কাতসু বলা হত।[৪]
টোংকাটসু তৈরির প্রধান উপাদান হল শূকরের মাংস। মাংসটিতে সাধারণত লবণ ও মরিচ মাখিয়ে ও তার উপর হালকাভাবে ময়দার প্রলেপ দিয়ে করে রাখা হয়। তারপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে প্যানকো বা পাউরুটির টুকরোর প্রলেপ দিয়ে মাংসের টুকড়োটি কড়া ভাজা করা হয়।[৫]
ভাজা হয়ে যাওয়ার পর টনকাতসুকে টুকরো টুকরো করে কাটা হয় এবং সাধারণত কাটা বাঁধাকপি দিয়ে পরিবেশন করা হয়।[৫] একে সাধারণত টোনকাতসু সস[৫] বা সহজভাবে সোসু (সস), কারাশি (সরিষা), এবং সম্ভবত লেবুর টুকরোর সাথে খাওয়া হয়। সাধারণত ভাত, মিসো স্যুপ এবং সুকেমোনোর সাথে টনকাতসু পরিবেশন করা হয় এবং চপস্টিক দিয়ে খাওয়া হয়। টনকাতসু সসের পরিবর্তে পঞ্জু এবং কুচি করা ডাইকনের সাথেও এটি পরিবেশন করা যেতে পারে।[৬]
নাগোয়া এবং আশেপাশের এলাকায়, মিসো কাতসু এবং টোনকাটসু বলে বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রচলিত আছে যা হ্যাচো মিসো নামক সস দিয়ে খাওয়া হয়।[৭]