টোড়ি ফতেপুর রাজ্য टोडी फतेहपुर | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য (জায়গীর) | |||||||
১৬৯০–১৯৫০ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত টোড়ি ফতেপুর রাজ্য | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ৯৩ বর্গকিলোমিটার (৩৬ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ৭,০৯৯ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৬৯০ | ||||||
১৯৫০ | |||||||
|
টোড়ি ফতেপুর রাজ্য (টোড়ি নামেও পরিচিত) ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতের মধ্য ভারত এজেন্সির বুন্দেলখণ্ড এজেন্সিতে অবস্থিত অষ্টভাইয়া জায়গীরগুলির একটি৷[১] বর্তমানে এটি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ঝাঁসি জেলার অংশ৷
বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে অবস্থিত এই টোড়ি ফতেপুর রাজ্যটি ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা পায় ওড়ছা রাজ্যের রাজবংশের উত্তরসূরী রাই সিংহের মাধ্যমে৷ ঝাঁসির বড়গাঁওয়ের নিকট তিনি তার জায়গীর পত্তন ঘটান৷ রাজার আট পুত্র সন্তান ছিলো৷ ধুর্বাই, বিজনা, টোড়ি ফতেপুর প্রভৃতি আটটি জায়গীর তিনি তার পুত্রদের মধ্যে ভাগ করে দেন৷[২] পরবর্তীকালে জায়গীরগুলি রাজ্যের মর্যাদা পায়৷
ঝাঁসি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুরসরাইয়ের নিকট ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই রাজ্যটি৷ রাজ্যজুড়ে পাহাড়ের ওপর নির্মিত দুর্গটি তিনশ বছরেরও অধিক পুরাতন৷ এই রাজ পরিবারের একটি তরফ ১৮৮০র দশকে রাজ্যের খরা পরিস্থিতি দেখা দিলে ঝাঁসি শহরের নিকট চলে আসেন৷ তারা পরবর্তীকালে "বিশ্বরী" পদবী ধারণ করেন৷ খরা পরিস্থিতির ফলে রাজ্যটি থেকে সমস্ত বিক্রয় পণ্য, খাদ্য পণ্য শেষ হয়ে যায় ও বহু জনহানি হয়৷ ফলস্বরূপ রাজ্যটির অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়৷
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫০ খ্রিস্টিব্দের ১লা জানুয়ারি তারিখে রাজ্যটির শেষ শাসকের সম্মতি স্বাক্ষরের ভিত্তিতে এটিকে স্বাধীন ভারতের বিন্ধ্যপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
টোড়ি ফতেপুর রাজ্যের শাসকগণ রাজা সাহেব উপাধিতে ভূষিত হতেন৷[৩]